বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট, ২০১৮

ভুয়া সংবাদ বোঝার ১০টি টিপস

প্রায়ই অদ্ভুত কোনো খবর চলে আসে আপনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিউজ ফিডে। অনেক সময় বোঝা যায় না যে খবরটি বিশ্বাস করা ঠিক হবে কি না। অনেক ভুয়া সংবাদ মানুষকে বিভ্রান্তও করে। এমন অবস্থায় কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখলে ভুয়া খবরগুলো সহজে চিহ্নিত করা যায়।ফ্যাক্টচেকিং-বিষয়ক যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন ‘ফুল ফ্যাক্ট’ ভুয়া খবর বন্ধে কাজ করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের সঙ্গে। ফেসবুক ও ফুল ফ্যাক্ট ১০টি টিপস দিয়েছে ব্যবহারকারীদের, যার মাধ্যমে বোঝা যাবে এটা ভুয়া সংবাদ। বিভ্রান্তিও কিছুটা দূর হবে ব্যবহারকারীদের। টিপস গুলো জেনে নিন।
টিপস ১ঃ সন্দেহজনক শিরোনাম
ভুয়া খবরের শিরোনাম সব সময় খুব চমকপ্রদ হয়। হয়তো এমন কোনো খারাপ সংবাদ আপনার নিউজ ফিডে এল, যা অবিশ্বাস্য। হতেই পারে না। এমন ক্ষেত্রে সংবাদটি ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
টিপস ২ঃ ইউআরএলের দিকে একটু নজর
ওয়েব ব্রাউজারের ওপরের অংশে ‘অ্যাড্রেস বার’ থাকে। অ্যাড্রেসবারের ভেতর যে লেখাগুলো থাকে, তাকে ইউআরএল বলা হয়। সন্দেহ হচ্ছে ভুয়া কি না, এমন সংবাদের ইউআরএলটা একটু দেখে নিতে পারেন। যদি দেখা যায় খুব পরিচিত বা জনপ্রিয় সাইটের সঙ্গে নামের মিল পাওয়া যাচ্ছে, তাহলে সংবাদটি যাচাই করার প্রয়োজন আছে।
টিপস ৩ঃ খবরের উৎস কী?
নিশ্চিত করুন সংবাদে যে উৎসের কথা বলা হয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্য সূত্র কি না। একটু গুগল করে দেখতে পারেন। এমন যদি হয়, খবরটি কোনো অপরিচিত সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে পাওয়া গেছে; তাহলে ওই সংস্থার ওয়েবসাইটে গিয়ে একটু খোঁজখবর করে দেখুন।
টিপস ৪ঃ অস্বাভাবিক বিন্যাস
অনেক সময় খবরে প্রচুর বানান বা নামের ভুল পাওয়া যায়। সাধারণত নির্ভরযোগ্য কোনো মাধ্যম নাম বা বানান ভুল করে না। এটা খেয়াল রাখুন।
টিপস ৫ঃ ছবিটি পরখ করে দেখা যেতে পারে
ভুয়া খবরগুলোতে সব সময় কারসাজি করা ছবি বা ভিডিও যোগ করা হয়। অনেক সময় দেখা যায়, ছবি হয়তো ঠিক কিন্তু যে বিষয়ে সংবাদ দেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয় সম্পর্কিত নয়। সন্দেহ হলে ছবিটা একটু পরীক্ষা করে দেখুন। অন্য কোথাও এমন ছবি আছে কি না, একটু যাচাই করে নিলে ভুয়া খবর সহজেই বোঝা যায়।
টিপস্ ৬ঃ কত তারিখের সংবাদ?
ভুয়া খবরগুলোতে দিন-তারিখে প্রায়ই ভুল থাকে। অনেক সময় অদ্ভুত তারিখ উল্লেখ থাকে। এগুলো লক্ষ করুন।
টিপস্ ৭ঃ প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখুন
লেখক সংবাদে যেসব উৎসের কথা বলেছেন, তা পরীক্ষা করে দেখুন। কোনো অর্থনীতিবিদের উদ্ধৃতি দিয়ে থাকলে তার নাম-পদবি ঠিক আছে কি না তা দেখুন। এতেও ভুয়া খবর চেনা যায়।
টিপস্ ৮ঃ অন্য কোথাও সংবাদটি রয়েছে কি না
একেবারেই বিশ্বাস হচ্ছে না। হতেই পারে না—এমন সংবাদের ক্ষেত্রে দেখে নেওয়া যেতে পারে অন্য কোনো সংবাদমাধ্যম এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে কি না। না হলে বুঝবেন এটা ভুল তথ্য।
টিপস্ ৯ঃ খবরটা মজা করার জন্য নয় তো?
অনেক সময় মজা করার জন্যও সংবাদ বানানো হয়। চলে আসে নিউজ ফিডেও। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ওটা সংবাদ নয়, জোকস।
টিপস্ ১০ঃ কিছু গল্প ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা
খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লেও ভুয়া সংবাদ বোঝা যায়। এসব ক্ষেত্রে সংবাদের যেটুকু সত্যি মনে হয়, সেটুকুই শেয়ার করলে ক্ষতি কী!

বউ হিসাবে কোন ধরনের মেয়ে উপযুক্ত?

প্রশ্নঃ বউ হিসাবে কোন ধরনের মেয়ে উপযুক্ত?

উত্তরঃ বিভিন্ন ব্যক্তি বিভন্ন ধরণের মতামত ব্যক্ত করছেন আমরা শুধু সেই মতামতগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছি 
১ঃ বউ হিসেবে কেমন মেয়ে ভাল হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আমি নিজে কেমন তার উপর।তবে দেখা যায় যে মেয়ের মা ভাল গুনের অধিকারী হয় সে মেয়ে ভাল বউ হয়। যে মেয়ে আমাকে পুরাপুরি বুঝতে পারবে এবং আমার ভালবাসার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে সেই মেয়ে বউ হিসেবে ভাল হবে…।শেষ কথা হচ্ছে আমি যদি তাকে রানীর মত সন্মান করি তবে সে আমায় রাজার মত সন্মান করবে.
২ঃ আমার মতে সর্ব প্রথম দেখতে হবে , মেয়েটি সু-শিক্ষিত কিনা ..কারণ বিয়ের পর আপনার যখন সন্তান হবে, তাদের কে শিক্ষার দাওয়ার বেপারে কিন্তু একজন মা এর ভূমিকা বেশি থাকে , কারণ বাবারা তাদের কাজ কর্মে মগ্ন থাকে .. মা সু-শিক্ষিত হলে, তার সন্তান কেও সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারবেন .. আমি দেখেছি অনেক মা-বাবাকে যাদের সন্তান কে নিয়ে নানা দুশ-চিন্তায় থাকেন.. ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এ দিয়ে পরে ভাবেন ভুল হলো কিনা, বাংলা মাধ্যম এ দিয়ে দিব কিনা .. আবার উল্টা তাও ভাবেন.. এই রকম নানান রকম দিধাতে থাকেন তারা.. দুক্ষিত আমি আপনার প্রশ্নের প্রসঙ্গের থেকে দুরে সরে গেছি.. আশা করি আপনি যাকে বিয়ে করে বউ করবেন, তাকে নিয়ে সারাটি-জীবন সুখে-শান্তিতে থাকবেন.. আপাদের সন্তান অনেক বড় হবে, এই দেশের মুখ উজ্জল করবে ইনশাল্লাহ..
৩ঃ সকল পুরুষ এর ই উচিৎ একটি ইসলামিক পরিবারের ধা‌‌‌র্মিক মেয় কে বিয়ে করা। একটি ধার্মিক মেয় ই পারে একটি পুরুষ এর জীবনে পরিপূর্ন শান্তি এনে দিতে।
৪ঃ মেয়ের মধ্য চারতি গুন থাকতে হবে। ১) দ্বীনদার হতে হবে ২) ভাল বংশের হতে হবে ৩)সম্পদশালী কিনা ৪) মেয়ে সুন্দর কিনা তা দেখতে হবে। তবে দ্বীনদার হলে ভাল হয়।
৫ঃ এমন একজনকে বউ করবেন, যে আপনাকে বুঝবে, আপনাকে ভালোবাসবে, অকারনে রাগ করবে না কিন্তু অভিমান করবে যাতে করে আপনি অভিমান ভাঙ্গাবেন… আপনার খুব খুব খেয়াল রাখবে এমন একজন মেয়ে বউ হিসেবে উপযুক্ত।
৬ঃ বউ হিসাবে সেই মেয়েই সবচেয়ে উপযুক্ত – যে মেয়ে স্বামীর সঠিক সিদ্ধান্তে তার আনুগত্য করে কিন্তু স্বামী ভুল করলে তার ভুল ধরিয়ে দেয়।
৭ঃ সুন্দর চেহারার চেয়ে সুন্দর মন আর সত চরিত্র বেশি জরুরি। তবে সুন্দর চেহারা হলে সোনায় সোহাগা। একইসাথে সৎ বংশও জরুরি। তবে এসব কিছুর আগে এর জন্য নিজেকেও উপযুক্ত করার দরকার। তবে সংসারে সুখী হতে হলে মেয়ের পরিবার হতে হবে ছেলের পরিবার হতে আথির্কভাবে দুর্বল।

ঘরের ওয়াইফাই গতি বাড়ানোর ৫টি সহজ টিপস

বর্তমানে অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য বাসায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ নিয়ে রাউটারের মাধ্যমে ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বাড়ির সব ডিভাইসগুলো সঠিক ইন্টারনেট গতি পাচ্ছেনা।

ASUS T-AC88U

আর তাই এখানে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম গ্যাজেটস নাউ এর দেওয়া ৫টি টিপস দেওয়া হলো যা আপনার ঘরের ওয়াই ফাই গতি বাড়িয়ে দিবে।

কিছুদিন পর পর ওয়াই ফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
বেশীরভাগ মানুষ তার রাউটারটি ঘরের এক কোনায় রেখে দেন। কিন্তু এতে ইন্টারনেট গতি ভালো পাবেন না। তাই ঘরের মাঝামাঝি কোনো জায়গায় রাউটার সেট করুন।

ওয়াইফাই সংযোগের ডিভাইস সংখ্যা সীমিত করে দিন। ঘরে থাকা সব ডিভাইস বা আত্মীয় বন্ধুদের ডিভাইস ও সংযোগ দিলে ধীরগতি হবে ইন্টারনেট।

আপনি যদি বড় বাসায় থাকেন তাহলে পুরো বাড়ি একটি রাউটারে যথেষ্ট নয়। এজন্য রিপিটার ব্যবহার করতে পারেন।
ইউএসবি পোর্ট রয়েছে এমন রাউটার ব্যবহার করুন।

নবজাতককে কোলে নেওয়ার পদ্ধতিগুলো

নবজাতককে কোলে নেওয়ার পদ্ধতিগুলো

বাবা-মারা তাদের নতুন ইনিংস শুরু করার সময় আত্মবিশ্বাসী এবং খুশি থাকলেও কয়েকটা দিন যেতে না যেতেই তারা বুঝে যান বাচ্চা বড় করা মোটেও সহজ কাজ নয়। আমার সব কাজ ঠিক মতো করছি তো? এই ধরনের ধোঁয়াশায় ঘিরে থাকে বাবা-মায়েদের মন। সেই সঙ্গে তারা এটা বুঝে উঠতে পারেন না নবজাতককে কোলে নেবেন কীভাবে। অনেকেই প্রথম প্রথম এই একটা ব্য়পার বেশ সমস্য়ায় পরেন। আপনার অবস্থাও যদি এরকমই হয়, তাহলে পড়ে ফেলুন বাকি লেখাটা।




বাচ্চাকে কীভাবে কোলে নেওয়া উচিত সে ব্য়পারে বাবা-মায়েদের জেনে নেওয়াটা আবশ্য়িক। কারণ জন্মানোর পরে অনেক দিন পর্যন্ত বাচ্চার ঘার শক্ত হয় না। তাই এই সময় যদি বাচ্চাকে ঠিক মতো কোলে নেওয়া না যায়, তাহলে তাদের ঘারে আঘাত লাগার আশঙ্কা থাকে। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক নবজাতকদের কোলে নেওয়ার নানা পদ্ধতি সম্পর্কে।

কীভাবে বাচ্চাকে কোলে নিলে আপনার সুবিধা হয় তা বুঝে নিন: নানাভাবে বাচ্চাকে কোলে নেওয়া যায়। কিন্তু কীভাবে নিলে আপনার সুবিধা হয়, সেটা আপনাকেই বুঝে নিতে হবে। আর যদি দেখেন এ বিষয়ে বুঝতে খুব অসুবিধা হচ্ছে, তাহলে একজন অভিজ্ঞ মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না।

ধীরে ধীরে শিখুন: বাচ্চাকে তখনই কোলে নিন, যখন তাকে ভালো করে ধরতে পেরেছেন। আর সেটা করবেন কীভাবে? খুব সহজ। প্রথমে বাঁ হাতের তালু দিয়ে বাচ্চার মাথার পিছনে রাখুন, আর ডান হাত দিয়ে বাচ্চার কোমরটা ধরুন। দেখবেন ভালো গ্রিপ পাবেন। আর এই অবস্থায় তাকে কোলে তুলে নিতে দেখবেন কোনও অসুবিধাই হচ্ছে না। এখনও যদি বুঝতে না পারেন তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন। তিনি আপনাকে হাতে কলমে দেখিয়ে দেবে।

সাবধানতা অবলম্বন করুন: বাচ্চাকে কোলে নেওয়া সময় একটা হাত অবশ্য়ই তার মাথা বা ঘারের কাছে রাখবেন। যেমনটা আগেও বলেছি। জন্মের পরে বাচ্চার ঘাড় শক্ত হতে সময় লাগে। এই সময় তাই অতিরিক্ত সাবধান হওয়াটা জরুরি। নচেৎ ঘাড়ে লেগে গিয়ে বড় কোনও সমস্য়া হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

দি ক্রেডেল হোল্ড: বুঝতে পারলেন না তো কী বলছি। ক্রডেল হোল্ড বলতে বোঝায়, বাচ্চাকে যখনই কোলে নেবেন তখন তার মাথাটা বুকের কাছে নিয়ে নেবেন। তারপর ধীরে ধীরে অন্য় হাতটা মাথার কাছে নিয়ে গিয়ে ঘারটা ধরবেন। এই পদ্ধতিটি সবথেকে সহজ এবং নির্ভরযোগ্য়।

শোলডার হোল্ড: বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ধীরে ধীরে বুকের কাছে নিয়ে আসুন। তারপর তার মাথাটা আপনার কাঁধের উপর রেখে দিন। অপর হাত দিয়ে ঘারটা ধরুন। বাচ্চাকে ঘোরানোর সময় এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে পারেন।

ভালো করে ধরুন বাচ্চাকে: বাচ্চাকে সব সময় শরীরের কাছাকাছি রাখবেন। এমনটা করলে আপনার বাচ্চা নিরাপদ মনে করবে, সেই সঙ্গে আপনারও সুবিধা হবে তাকে কোলে নিতে।

সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করার ৭টি টিপস

সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করার ৭টি টিপস

রাতদিন বাবা মা বলেই যান, “বেশি করে পড়! রেজাল্ট ভাল হতে হবে এবার!” আমরাও ভাল রেজাল্টের জন্য অথবা ভাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবার আশায় নাকমুখ গুঁজে ডুবে থাকি পড়ালেখায়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এত পরিশ্রমের পরও ফলাফল মনমতো হচ্ছে না। অথচ পাশের বাড়ির ছেলেটাই সারাদিন খেলাধুলা নিয়ে মেতে থাকার পরও পরীক্ষায় অনেক ভাল ফল করছে। এর কারণ কি শুধুই মেধার তারতম্য? কখনোই নয়! স্রষ্টা সবাইকেই সমান মেধা দিয়ে পাঠিয়েছেন, কিন্তু মেধার সঠিক ব্যবহারই ক্লাসের ফার্স্ট বয় আর লাস্ট বয়ের ব্যবধান তৈরী করে দেয়।সমাজে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী আমরা অনেকেই “স্টাডি হার্ড” অর্থাৎ “বেশি বেশি পড়লেই ফল ভাল হবে”- এমন ধারণা পোষণ করি, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে “স্টাডি হার্ড” এর চেয়ে “স্টাডি স্মার্ট” বা “সঠিক নিয়মে পড়াশোনা” অনেক বেশি ফলপ্রসূ।দৈনন্দিন পড়াশোনার পদ্ধতিতে ছোট্ট ছোট্ট কিছু পরিবর্তন জাদুকরী এক ভূমিকা রাখবে তোমার পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল করার পেছনে।তার জন্য এই টিপস গুলো মেনে চলতে হবে। চলো, ঝটপট দেখে নেওয়া যাক ৭টি “স্টাডি স্মার্ট” টিপস!

টিপস ১ঃএকনাগাড়ে বেশিক্ষণ পড়াশোনা নয়
বিজ্ঞানীরা বলেন, মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা টানা ২৫-৩০ মিনিট পরিশ্রমের পর হ্রাস পেতে শুরু করে। সুতরাং, একটানা ঘন্টার পর ঘন্টা বই নিয়ে পড়ে থাকার অভ্যাস বন্ধ করো। পড়ার সময়টুকুকে ছোট্ট ছোট্ট ভাগে আলাদা করে সাজিয়ে নাও।
প্রত্যেকটা ভাগ শেষ হওয়ার পর পাঁচ মিনিট ব্রেক নিবে। এই সময়টুকু একদম chill! তোমার যা করতে ভাল লাগে (কিছু খাওয়া, গান শোনা, ফেসবুকে একবার ঢুঁ মেরে আসা) এই সময়টুকুতে করবে, তারপর সতেজ মনে আবার পড়াশোনায় ঝাঁপিয়ে পড়বে।

টিপস ২ঃমুখস্থ নয়, বুঝে পড়ো
ছোটবেলা থেকে আমাদের ছড়া, কবিতা প্রভৃতি দাঁড়িকমা সহ মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় লিখতে লিখতে অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায় সবকিছু মুখস্থ করে ফেলার। এটি খুব ভুল একটি পদ্ধতি। অনেকেই আছে, যাদের কোন কিছুর সংজ্ঞা জিজ্ঞেস করলে হুবুহু বই এর সংজ্ঞা গড়গড় করে বলে দিতে পারবে, কিন্তু ব্যাখ্যা করতে বললেই নিশ্চুপ!
বর্তমান সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষায় এই মুখস্থবিদ্যা নির্ভরতা তোমাকে একদমই সাহায্য করবে না ভালো ফল করতে। সুতরাং বই এর সংজ্ঞা মুখস্থ করা বন্ধ করে মূল টপিকটা বুঝতে চেষ্টা করো। কেননা, মুখস্থ দশবার করলে দশবার ভুলবে, কিন্তু একবার ভালভাবে বুঝে নিতে পারলে কোনদিনও ভুলার চান্স নেই!

টিপস ৩ঃবিভিন্ন সোর্স থেকে পড়ো
বুঝে বুঝে পড়ার একটি চমৎকার উপায় হচ্ছে একই টপিক বিভিন্ন সোর্স থেকে পড়া। অন্ধের হাতি দেখার গল্প মনে আছে তো? শুধুমাত্র একটি বই থেকে পড়তে গেলে তেমনটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। সুতরাং সম্ভাব্য সবরকম সোর্স থেকে শেখার চেষ্টা করো। বন্ধুদের সাথে গ্রুপ স্টাডি করো, বিভিন্ন লেখকের বই থেকে পড়ো, বড় ভাই/আপুদের সাহায্য নাও। ইন্টারনেটে একটু খুঁজলেই চমৎকার সব শিক্ষামূলক সাইট পেয়ে যাবে তোমার টপিকের উপর।

টিপস ৪ঃকাউকে শেখাও
আইনস্টাইন বলেন, “একটা বিষয় তোমার পরিপূর্ণভাবে আয়ত্ত হবে তখনই, যখন বিষয়টি তুমি কাউকে বুঝিয়ে বলতে পারবে।”
পড়ালেখাকে যদি একটি গাড়ির সাথে তুলনা করো, তাহলে তুমি যখন একটি টপিক পড়লে, তখন সেটি হচ্ছে গাড়ির ইঞ্জিন। কিন্তু শুধু এটুকু দিয়েই তুমি কাউকে ঠিকভাবে বুঝাতে পারবে না টপিকটা। কেননা, কেবল ইঞ্জিন থাকলেই তো গাড়ি চলে না! গাড়ির অন্যান্য যন্ত্রাংশ – চেসিস, টায়ার ইত্যাদি সব মিলে যুক্ত হয়েই তৈরী হয় একটি গাড়ি।
যখন কাউকে বুঝাতে যাবে একটি টপিক, তখন লক্ষ্য করবে শুধু বইপড়া জ্ঞান দিয়ে কাজ হচ্ছে না। ঠিক গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মতো, সবগুলো ঠিকমতো জোড়া দিলে তবেই চলবে গাড়ি, সেরকম তোমার টপিকটার বিভিন্ন আঙ্গিকের উপর সার্বিক একটা ধারণা থাকতে হবে, এবং সেটা গড়ে উঠবে কাউকে শেখাতে গেলেই, টপিকটার উপর তোমার জ্ঞান অনেক গভীরে পৌঁছাবে তখন।

টিপস ৫ঃনিবিড় মনোনিবেশ
একবার ভেবে দেখো তো, দিনে গড়ে কত ঘন্টা তুমি বইয়ের সামনে বসে কাটাও? এর মধ্যে কতটুকু সময় তোমার অখন্ড মনোযোগের সাথে পড়া হয়? খেয়াল করলে দেখবে, প্রচুর সময় হেলাফেলা করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। “জাস্ট ২ মিনিটের জন্য ফেসবুকে ঢুকবো!” “খেলার স্কোরটা দেখেই টিভি বন্ধ করে দিবো!” পড়তে বসলেই এমন অনেক ইচ্ছা কিলবিল করতে থাকে মাথার ভেতর। এই ইচ্ছাগুলো ঝেড়ে ফেলে দাও এখনই।
একই সাথে একাধিক কাজ করতে গেলে কোনটিই ভালভাবে করা হয়না। যখন পড়তে বসবে, তখন সম্পুর্ণ মনোযোগ থাকবে বইয়ের পাতায়। মনোযোগ বিঘ্ন করার মত যা কিছু আছে, সবকিছু দূরে সরিয়ে রাখবে এই সময়টুকুতে। অল্প সময় পড়বে, কিন্তু ১১০% মনোযোগের সাথে পড়বে। আর বিনোদনের জন্য স্টেপ ওয়ানে বলা পাঁচ মিনিটের ব্রেক তো আছেই!
টিপস ৬ঃছোট ছোট লক্ষ্য তৈরী করো
আমরা সবাই বছরের শুরুতে লক্ষ্য ঠিক করি, “এইবছর ফাটায়ে পড়াশোনা করবো!” এবং বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে সেটা “লক্ষ্য” হয়েই থেকে যায়, কার্যকরী আদৌ হয়ে উঠেনা! কেন এমনটি হয় কখনো ভেবে দেখেছো? আমরা ছোট থাকতে গুরুজনেরা আমাদের খাইয়ে পরিয়ে দিতেন, নিয়মিত পড়া আদায় করাতেন। এখন তুমি বড় হয়েছো, এখন আর কেউ প্রতিদিন তোমার পড়া ধরতে আসে না। তোমার সাফল্য ব্যর্থতার দায়ভার তোমার নিজের হাতেই।
প্রতিদিন ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করো। “আমি এই টার্মে ফার্স্ট হতে চাই!” এত দীর্ঘমেয়াদী প্ল্যানে না গিয়ে “আমি আজকে ম্যাথ অমুক চ্যাপ্টার কমপ্লিট করবো” এরকম একদিনের প্ল্যান ঠিক করো। এবং সেটা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত হাল ছেড়ো না। প্রতিদিন এরকম ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করতে করতে বছরের শেষে গিয়ে দেখবে সত্যিই বছরজুড়ে ফাটাফাটি পড়াশোনা হয়েছে!

টিপস ৭ঃপড়ালেখা হোক গল্পের, আনন্দের!
তুমি একদিন বাসে উঠে তোমার বন্ধুকে বললে, “এই জানিস! গতকাল কলেজের সামনে রাস্তায় কি কাহিনী ঘটেছে!” আমি বাজি ধরে বলতে পারি, বাসের সবাই সাথেসাথে কান খাড়া করে ফেলবে “কি কাহিনী ঘটেছে” সেটা শোনার জন্য! কারণটা খুব সোজা, আমরা সবাই গল্প শুনতে ভীষণ ভালবাসি! পড়াশোনাকে যখন সংজ্ঞা/ফর্মুলার নীরস জায়গা থেকে গল্পের ছাঁচে ফেলতে পারবে, দেখবে জিনিসটা আসলে কত মজার! গণিতের “x=?” এর সমাধান যেন গোয়েন্দা কাহিনীর “কে সেই কালপ্রিট?” বের করার মতোই! “ব্রেকিং ব্যাড” এর কল্যাণে রসায়নের ফর্মূলাগুলো তো এখন সবাই আগ্রহ নিয়েই শিখে!
ফিজিক্সের প্লবতার “ইউরেকা!” থেকে শুরু করে আতশ কাঁচের সাহায্যে আর্কিমিডিস কিভাবে রোমান যুদ্ধতরী পুড়িয়ে দিলেন সমুদ্রে -এরকম অজস্র ইন্টারেস্টিং গল্প আছে। এরকম সব সাবজেক্টেই অনেক মজার মজার গল্প, ঘটনা জড়িয়ে আছে। বাস্তব জীবনে চারপাশের উপকরণের সাথে যখন পাঠ্যবই এর টপিকগুলো মিলিয়ে গল্প তৈরী করতে শিখবে, দেখবে পড়ালেখার চেয়ে মজার আর কিছুই হতে পারে না!

নাক ডাকা বন্ধ করার ৯টি উপায়

নাক ডাকা বন্ধ করার ৯টি উপায়

রাতের নীরবতা ভেঙে একটানা বা থেমে থেমে বিচিত্র স্বরে বিচিত্র লয়ে সে ডেকে যাচ্ছে। শব্দ কখনো বাড়ছে কখনো কমছে। কারও নাক ডাকছে। পাশের ঘরে হলে না হয় দরজা-জানালা বন্ধ করে, হালকা শব্দে গান ছেড়ে কোনো না-কোনোভাবে বাঁচলেন। কিন্তু নাকডাকে এমন কারও সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাতে হলে! হায় হায় রাতের ঘুমের একেবারে দফারফা! এ তো গেল যে শুনছে তাঁর অবস্থা। কিন্তু যিনি নাক ডাকেন, তাঁর কী হাল?


চিকিৎসকেরা বলছেন, নাকডাকা অন্য অনেক স্বাস্থ্যসমস্যার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ এমনকি স্ট্রোকের ঝুঁকির আলামতও হতে পারে। লন্ডনের দ্য প্রাইভেট ক্লিনিকের নাক-কান-গলারোগ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎকেরা ণাক ডাকার নয়টি কারণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে জানিয়েছেন।

অ্যালকোহলকে না বলুন
বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল বা মদ-জাতীয় পানীয় পানের কারণে কারও নাক ডাকতে পারে। অ্যালকোহল জিভের পেশিগুলোকে শিথিল করে দেওয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসের নালি সংকুচিত হয়ে পড়ে আর এ থেকে ণাক ডাকা শুরু হয়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে এই সমস্যা দূর করার চেষ্টা চালানো যেতে পারে।

ধূমপান ছাড়তে হবে
ধূমপানের কারণে এমনিতেই শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কিছু জটিলতা তৈরি হয়। আবার ধূমপান থেকে টারবাইনেটস নামে নাকের বিশেষ এক ধরনের টিস্যু স্ফীত হয়ে যেতে পারে এবং এ থেকেও শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। ধূমপানের এই দুই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেই নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। ধূমপানের বদ-অভ্যাস ত্যাগ করতে পারলে আপনার আর আপনার সঙ্গীর রাতের ঘুমই শুধু ভালো হবে না, তা আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের নাটকীয় উন্নতিতে সহায়ক হবে।

মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত পরিমাণে মসলাযুক্ত খাবার খেলে পাকস্থলীতে বেশি মাত্রায় অ্যাসিডের প্রতিক্রিয়া শুরু হতে পারে। অনেক গবেষণা থেকেই দেখা গেছে, এজাতীয় সমস্যার সঙ্গে নাক ডাকার সম্পর্ক আছে। যদি কিছুতেই অাপনার Nose ডাকার কারণ খুঁজে বের করতে না পারেন, তাহলে খাবারদাবারে মসলার পরিমাণ কমিয়ে বিষয়টা পরীক্ষা করে দেখতে ক্ষতি কি।

অতিরিক্ত ওজন কমান
অতিরিক্ত ওজন নাক ডাকার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর একটা। আপনার ওজন যত বেশি হবে, Nose ডাকার আশঙ্কাও তত বেশি বাড়তে থাকবে। আর অতিরিক্ত মুটিয়ে মানুষের ণাক ডাকার শব্দও কিন্তু বেশি। ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। কয়েক কিলোগ্রাম ওজন কমাতে পারলেও হয়তো নাকডাকা না-ডাকার বিষয়টা আপনার কাছে স্পষ্ট হতে পারে।

শোয়ার ভঙ্গি বদলান
যাঁদের নাকডাকে, তাঁরা চিত্ হয়ে বিছানায় পিঠ ঠেকিয়ে শোয়ার অভ্যাসটা বাদ দিয়ে দিতে পারেন। আর যদি চিত্-কাত হতে হতে আর সঙ্গীর খোঁচা খেতে খেতে বিব্রত হয়ে থাকেন, তাহলে সঙ্গীর দিকে পিঠ দিয়ে কাত হয়ে শুয়ে পড়ুন। আপনার পাজামায় কোমরের কাছে একটা টেনিস বল গুঁজে রাখলে আপনা-আপনি চিত্ হয়ে যাওয়া থেকে রেহাই পেয়ে যেতে পারেন। এতে আপনার Nose ডাকাও কমতে বা বন্ধ হতে পারে।

বিছানা পরিষ্কার রাখুন
বিছানাপত্রে বেশি ধুলাবালি থাকলে, ঘর বেশি ময়লা হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়। এ পরিস্থিতিতে নাকের নালিতে ধুলা-ময়লা সংক্রমিত হয়ে নাকের পেশি ফুলে উঠতে পারে এবং নাকডাকা শুরু হতে পারে। তাই বিছানাপত্র ও ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাটা খুবই জরুরি। এটাই স্বাস্থ্যসম্মত এবং এতে ঘুমও ভালো হয়। আর Nose ডাকাও দূর হতে পারে।

জৈবিক কারণ খুঁজুন
চিকিত্সাবিজ্ঞান অনুসারে Nose ডাকার তিনটি প্রধান জৈবিক কারণ আছে। নাকের নালিতে পুরু নরম প্রলেপ থাকা, অন্য কোনো কারণে নাকের নালি আংশিক সংকুচিত থাকা এবং জিহ্বার পেছনে বায়ুপথ সংকুচিত থাকা। আসল কারণ খুঁজে বের করতে না পারলে এ থেকে নিস্তার পাবেন না। একজন সাধারণ চিকিত্সক যদি এ বিষয়ে সাহায্য করতে না পারেন, তাহলে নাক-কান-গলারোগ বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে পরামর্শ নিন।

নাক না গলা জেনে নিন
আপনি আপনার Nose দিয়ে শব্দটা করছেন, নাকি গলা দিয়ে—সেটা আগে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। অনেকের ক্ষেত্রে আবার দুটাই একসঙ্গে হতে পারে। তবে দুটোর যেকোনো একটায় সমস্যা থাকলে নিশ্চিন্তে আপনি নাকের ড্রপ বা গলার স্প্রে—যেকোনো একটা বাদ দিয়ে দিতে পারেন।

স্থায়ী সমাধান
নানা ধরনের বুদ্ধি-পরামর্শ চেষ্টা করে দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে থাকলে কিংবা এ নিয়ে বিব্রত হতে হতে বিষয়টা মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে থাকলে এবার স্থায়ী সমাধানের দিকে এগোন। একজন নাক-কান-গলারোগ সার্জনের কাছে যান। এখন লেজার রশ্মির মাধ্যমে নাকের ও জিহ্বার পেছনের শ্বাসনালির সংকুচিত অবস্থা দূর করার চিকিত্সা সম্ভব। স্থানীয়ভাবে চেতনানাশক ব্যবহার করে এ অপারেশন খুব বেশি সময়সাপেক্ষও নয়। তবে অবশ্যই তা হতে হবে দক্ষ অস্ত্রোপচার বিশেষজ্ঞের অধীনে।

পৃষ্ঠাসমূহ