মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৩

বাংলাদেশীরা & Bangladesh

বাঙ্গালীরা ১৯ শতকে ব্রিটেনে আসা শুরু করে। ১৮৭৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সাথে সিলেটি বাংলাদেশীরা রাঁধুনি হিসেবে এখানে আসে রেঁস্তরাতে কাজ করার জন্য। লেখক ক্যারোলাইন অ্যাডামস নথিভুক্ত করেন যে ১৯২৫ সালে একজন হারিয়ে যাওয়া বাঙ্গালী তার অন্য সঙ্গীদের খোঁজ করছিল।

ব্রিটিশ
বাংলাদেশী

একটি ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ নিমোক্ত বিষয়ের ওপর

ইতিহাস

ব্রিটেনের বাংলাদেশীদের ইতিহাস
ব্রিক লেন
ব্রিটেনের এশিয়ানদের ইতিহাস
পরিসংখ্যান
বাংলাদেশীদের অবস্থান
এশিয়ানদের অবস্থান
ভাষাসমূহ
সিলটী • ইংলিশ • বাংলা
সংস্কৃতি
বৈশাখী মেলা
বাংলাদেশের সংস্কৃতি
চ্যানেল এস • বাংলা টিভি
ব্যবসা

ধর্ম

ইস্ট লন্ডন মসজিদ
ব্রিক লেন মসজিদ
ইংল্যান্ডে ইসলাম

উল্লেখযোগ্:

প্রথম দিকের আসা বাংলাদেশীদের আগমনটা ছিল "শিকল অভিবাসন" প্রক্রিয়ায়, যেখানে সিলেটের গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা বাঙ্গালীরা তাদের আত্নীর-স্বজনদেরকেও নিয়ে আসতে থাকেন।সংঘর্ষ থেকে পালাতে, ভালো কাজের খোজে ও ভালো থাকা-খাওয়ার জন্য তারা এভাবে আসতে থাকেন।
৫০ ও ৬০-এর দশকে চাকুরীর খোঁজে বাঙ্গালী মানুষজন ইংল্যান্ডে আসতে থাকেন। বেশির ভাগ বাঙ্গালী টাওয়ার হেমলেট বিশেষ করে ব্রিকলেন ও স্পিটালফিল্ডের চারিদিকে তারা স্থায়ী হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় ও অনেক সিলেটি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। অনেকে আবার সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসেন এখানে।

সত্তরের দশকে ব্রিটেনের পরিবর্তিত অভিবাসন আইন আরও বেশি বাংলাদেশির পক্ষে ব্রিটেনে আসার সুযোগ সৃষ্টি করে, যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশিরা নবোদ্যমে ব্রিটেন গমন ও সেখানে বসতি স্থাপন শুরু করেন। এই নতুন অভিবাসীরা প্রাথমিক ভাবে নিম্ন আয়ের খাতগুলোতে নিযুক্ত হয়েছিলেন- কর্মস্থল প্রধানত ছিল মাঝারি দক্ষতাবিশিষ্ট শ্রম প্রয়োজন হয় এমন কারখানা ও বস্ত্রশিল্প।

ব্রিটেনে দক্ষিণ এশীয় খাবার, যা যুক্তরাজ্যে মূলত ভারতীয় খাবার হিসেবে প্রসিদ্ধ, এর প্রসার ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পর বাংলাদেশিদের অনেকেই ক্যাফে ও রেস্তোরাঁ ব্যবসা শুরু করেন। এখান থেকেই লন্ডনের ব্রিক লেন ও আশপাশের এলাকায় বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ ও ছোট দোকানের প্রসার শুরু হয়। একই সাথে পূর্ব লন্ডনে ধীরে ধীরে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার প্রভাব ও অবস্থান দৃঢ় হতে থাকে।


বাংলাদেশি অভিবাসীদের একটি বড় অংশ লন্ডনের ব্রিক লেন অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন।
শুরুর দিকের বাংলাদেশিরা মূলত টাওয়ার হ্যামলেটস ও আশপাশের অঞ্চলের ছোট কামরাবিশিষ্ট বাসস্থানে বসবাস করতেন। এদের মাঝে পুরুষরা অধিকাংশই ছিলেন স্বল্পশিক্ষিত এবং ইংরেজি ভাষায় অদক্ষ। এর ফলে স্থানীয় ইংরেজিভাষীদের সাথে সহজে মনের ভাব প্রকাশে এরা অক্ষম ছিলেন। অপর্যাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার ফলে এরা ব্রিটেনে উচ্চশিক্ষাও গ্রহণ করতে পারছিলেন না। এদের অনেকেই স্থানীয় কিছু ব্রিটিশের ব্যবসায়িক লক্ষ্যে পরিণত হন। দূর্বল মালিকানার অনেক বাড়ি এ সময়ে ব্রিটিশ মালিকরা সিলেটি অভিবাসীদের কাছে বিক্রি করা শুরু করেন।

সত্তরের দশকের শেষভাগে ব্রিক লেন একটি বাংলাদেশি অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত হয়। ঐ সময়ই অঞ্চলটির ভূতপূর্ব ইহুদি সমাজের আধিপত্যের পতন ঘটছিল। এক্ষেত্রে ব্রিক লেনে বাংলাদেশিরা মূলত ইহুদি অভিবাসীদেরকে প্রতিস্থাপন করছিলেন। পূর্ব লন্ডনে বাংলাদেশিদের ক্রমবর্ধমান আধিপত্যের ফলে ইহুদিরা লন্ডনের অন্যান্য অঞ্চলে সরে যেতে থাকেন। অবশ্য দীর্ঘদিন যাবত বসবাসকারী ইহুদিদের অনেকেই ব্রিটেনের

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ