শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

প্রেমে ব্যর্থতাই সু চির মুসলিম বিদ্বেষী হয়ে ওঠার কারণ!

১৯৬৪ সাল। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সু চি। সে সমমই তারেক হায়দার নামে এক পাকিস্তানি যুবকের প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই প্রেমের পরিণতিতে গড়ায়নি। দারুণভাবে ব্যথিত হন সু চি।

সেই সু চি মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর মনে করেছিলেন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সামরিক শাসনের যাতাকলে পিষ্ট আর অত্যাচার নির্যাতন থেকে হয়ত মুক্তি মিলবে। কিন্তু মিলেনি। তার বিপরীতে সম্প্রতি সময়ে রাখাইন প্রদেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞে অং সান সু চি নিরব ভুমিকা পালন করছেন।

তার কারণ নিয়েও চলছে বিচার বিশ্লেষণ।তাদের অনেকে বলছেন, এক মুসলিম যুবক হায়দারের সঙ্গে প্রেম করে সংসার করতে না পারার ব্যর্থতাই সু চিকে মুসলিম বিদ্বেষী করে তোলেছে।

ইংরেজি এবং বনবিদ্যা নিয়ে অক্সফোর্ডে পড়তে গেলেও পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পাননি তিনি।

পরে অবশ্য ভর্তি হন দর্শন বিদ্যায়। সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় তারেক হায়দারের। তখন তিনি পাকিস্তানের কূটনীতিক ছিলেন। সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অনুমতি নিয়ে অক্সফোর্ডে পড়তে এসেছিলেন তারেক। সু চির মা ছিলেন কূটনীতিক। একই পেশার তারেকের প্রেমে পড়তে সু চির সময় লাগেনি।

সু চির জীবনী লেখক ও সাংবাদিক পিটার পপহ্যাম বলেছেন, ‘সংস্কৃতিগতভাবে অনেক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সু চি এবং তারেক গভীর প্রেমে পড়েছিলেন।’

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় তারেককে খুশি করতে ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করেছিলেন সু চি। প্রেম নিয়ে সু চি এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে, তৃতীয় বিভাগে কোনো রকমে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অক্সফোর্ডের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে তারেক পাকিস্তানে ফিরে যান। সু চি চাইলেও তারেক তাকে বিয়ে করেননি।

পরে হতাশায় বিমর্ষ হয়ে পড়েন মিয়ানমারের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির এই নেত্রী। সেই সময় থেকেই তিনি ধীরে ধীরে মুসলিম বিদ্বেষী হয়ে ওঠেন।

পপহ্যাম আরও লিখেছেন, সু চি প্রায় বছরখানেক বিরহে বিমর্ষ ছিলেন। এই সময়ে ইংল্যান্ডে পুরনো পারিবারিক বন্ধু স্যার পল গর বুথ ও তার স্ত্রী, ছেলে ক্রিস্টোফার সু চির প্রয়াত স্বামী মাইকেল অ্যারিসের সঙ্গে পরিচয় হয় মিয়ানমারের এই নেত্রীর। অতঃপর ১৯৭২ সালে তারা বিয়ে করেন।’

পপহ্যাম ‘দ্য লেডি অ্যান্ড পিকে’লিখেছেন, সু চির ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছুই জটিলতায় পূর্ণ এবং বৈপরীত্যে ভরা। আর এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা নির্যাতনের পেছনে সু চির ব্যর্থ প্রেমের কাহিনীকেও আজকাল উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে।

রাজশাহীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

রাজশাহীর পবা উপজেলায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার দারুশা ইউনিয়নের কৈকুড়ি এলাকার রাস্তার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত যুবকের নাম শাহাবুল। তিনি কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার ইসলামের ছেলে।

পবা থানার ওসি পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, স্থানীয় লোকজন শুক্রবার সকালে কৈকুড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়।

পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।জিন্সের প্যান্ট ও টি-শার্ট পরা যুবকের পকেটে আট হাজার টাকা পাওয়া গেছে।মরদেহের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল।

যেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে কোনো রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায়নি।এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে অন্য কোথাও গলাকেটে হত্যার পর মরদেহ সেখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে।

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা হবে বলেও জানান তিনি।

মেয়েদের নির্যাতন করে অঙ্গ কেটে নিত সেনারা

বারো বছরের কিশোরী রাশেদা এখন আশ্রয় নিয়েছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। প্রাণ নিয়ে রাখাইন থেকে পালাতে পারলেও দুঃসহ স্মৃতি প্রতিটি মুহূর্ত তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাকে। মাত্র ক’দিন আগের কথা। বড় বোন ইয়াসমিন ও তাসমিনের সাথে তাকেও বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে ভয়াবহ নির্যাতনের পর পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেয় দুই বোনকে। ভাগ্যগুণে কোন রকম পালাতে পেরেছিল রাশেদা। কিন্তু বাড়িতে এসে দু’দিন পর আরেক নির্মম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। চোখের সামনে মরতে দেখেছে বাবাকে। এতসব দুঃস্হ স্মৃতি নিয়ে রাশেদা বেঁচে থাকাই যেন অভিশাপ হয়ে উঠেছে এই বালিকাটির জন্য।

কাঁপা কণ্ঠে রাশেদা বলছিল সেনাদের হাত থেকে পালিয়ে আসার কথা। “ঝোপঝাড়ের নিচ দিয়ে লুকিয়ে, কখনো বা পানিতে ভেসে ভেসে এসেছি। আল্লাহ বাঁচিয়েছেন আমাদের। অনেক অত্যাচার করা হয়েছে আমাদের ওপর।”

সুচি সরকারের সেনাবাহিনীর হাতে এমন বর্বরতার শিকার নারীর সংখ্যা আদৌ কত তা জানার কোনো উপায় নেই। কিন্তু সেনারা যে গণহারে নারীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তা বুঝা যায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া অন্য অনেকের সাথে কথা বলে। যাকেই জিজ্ঞাসা করা হয়েছে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন ধর্ষণ-গণধর্ষণের মতো ঘটনা। এমনকি ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যাও করা হয়েছে অসংখ্য তরুণী-কিশোরীকে।

একজন বললেন, ‘ওরা আমাদের ঘরে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে একের পর এক হত্যা করেছে।” অন্য একজন জানালেন সুন্দরী তরুণীদের ওপর চালানো বর্বতার কথা। “যুবর্তী ফর্সা মেয়েদের ধরে ধরে নির্যাতন করছে। কারো শরীরের অঙ্গ পর্যন্ত কেটে নেয় সেনারা।”

এসব ঘটনার শিকার নারীরা আদৌ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানীরা। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হয়ে ক্যাম্পে চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকি করা ডা. নাসরিন বলেন, তারা এমনতিই সাধারণ সহিংসতার ট্রমা নিয়ে এখানে এসেছে। তার ওপর নারীদের মধ্যে যারা ধর্ষণের শিকার হয়ে এসেছেন তারা ভয়াবহ মানসিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সামাজিক কারণে অনেকে এমন পরিস্থিতির কথা স্বীকার করতে চান না।

খোলামেলা ছবিতে টিভি অভিনেত্রী


 হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ‘গোপী বহু’ অর্থাৎ দেবলীনা ভট্টাচার্য ইনস্টাগ্রামে খোলামেলা ছবি দিয়ে ঝড় তুললেন নেটিজনদের মাঝে।
বোকাবাক্সের পর্দায় ‘সংস্কারি’ হয়ে থাকা বাধ্যতামূলক ছিল তার। কিন্তু এখন আর সেই বাধ্যবাধকতা নেই। তাই ক্যামেরার সামনে বোল্ড মেজাজেই ধরা দিলেন এই টিভি অভিনেত্রী।

অসমিয়া পরিবারে জন্ম দেবলীনার। রিয়্যালিটি শো ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স ২’-এর অডিশন দিতে গিয়ে গ্ল্যামার দুনিয়ার কর্তাদের নজরে পড়েন। এরপর ‘এনডিটিভি ইমাজিন’-এর একটি সিরিয়ালে চান্স পান। কিন্তু হিন্দি টেলিভিশনের জগতে নিজের পরিচিতি পান ‘সাথ নিভানা সাথিয়া’ সিরিয়ালের ‘গোপী বহু’ হিসেবে।

এতদিনে ‘বহু’র সেই ইমেজ থেকে বেরিয়ে এলেন দেবলীনা। আর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন ‘হটনেস’-এর গ্লামার নিয়ে।

দেবলীনার এই নতুন রূপ বেশ পছন্দ হয়েছে দর্শকদের। অনেকেই অভিনেত্রীকে এমনই সিজলিং অবতারে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আপাতত দেবলীনারও নাকি এমনই পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন রূপে নতুনভাবে দর্শকদের মন জয় করতে চান তিনি। সেই কারণেই এই হট ফটোশুট করেছেন দেবলীনা। বিগ বসের নতুন মৌসুমের একজন প্রতিযোগী হিসেবেও নাকি দেখা যাবে তাকে।

কেন অন্তরঙ্গ হতে চান না ঐশ্বরিয়া?



সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায় ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ইনিংসে খুব সতর্কভাবে চরিত্র বেছে নিচ্ছেন। এখন ভিন্নধর্মী গল্পকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন আবেদনময়ী এ অভিনেত্রী।

আর এসব বোঝা যাচ্ছে তার চিত্রনাট্য বাছাই করা দেখে। এখন তিনি ব্যস্ত তার পরবর্তী ছবির শুটিংয়ে। ১৭ বছর পর ঐশ্বরিয়া ও অনিল কাপুর আসছেন একই ছবিতে। ছবির নাম ‘ফান্নে খাঁ’। কিন্তু ছবিতে অনিল কাপুর ও ঐশ্বরিয়াকে জুটিতে দেখা যাবে না বরং ঐশ্বরিয়াকে প্রেম করতে দেখা যাবে তার থেকে বয়সে অনেক ছোট রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে। অথচ শুটিং ফ্লোরে এবার নাকি রাজকুমারের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে শুট করতে আপত্তি জানালেন ‘দেবদাস’ খ্যাত অভিনেত্রী।

সবশেষ ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনকে দেখা গিয়েছিল রণবীর কাপুরের বিপরীতে। ছবিতে তাদের কেমিস্ট্রি ছিল চোখে পড়ার মতো। শুধু তাই না ছবিতে তাদের একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যও ছিল, যেটি বাদ দিতে বাধ্য হন পরিচালক করণ জোহর।

রণবীরের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করায় ঐশ্বরিয়ার উপর বেজায় চটেছিলেন জয়া বচ্চন। প্রায় কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন বউমার সঙ্গে। তারপর বচ্চন পরিবার থেকেই নাকি অনুরোধ করা হয় করণকে, যাতে তিনি সিনেমা থেকে ওই দৃশ্য বাদ দেন। তার জেরেই এবার ‘ফান্নে খাঁ’ ছবিতে কোনওরকম অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে আপত্তি জানান ঐশ্বরিয়া।

আপাতত জমিয়ে চলছে ‘ফান্নে খাঁ’র শুটিং। যেখানে অনিল কাপুর একজন সঙ্গীতশিল্পী। শুধু চিত্রনাট্যেই নয়, এই ছবিতে সত্যি সত্যিই গান গাইবেন তিনি। এরই মধ্যে রেকর্ডও করেছেন বেশ কিছু গান। তবে শুধু অনিলই নয় এই ছবিতে প্রথমবার গান গেয়েছেন ঐশ্বরিয়া। তবে ছবিটি কবে নাগাদ মুক্তি পাবে তা জানা যায়নি।

পচা চাল আমদানিতে সরকারের রাঘব-বোয়ালরা জড়িত

ভোটারবিহীন পচা সরকার বলেই পচা গম ও চাল আমদানি করছে অভিযোগ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন, থাইল্যান্ড থেকে যে ৩২ হাজার ১৪০ টন পচা ও নিম্নমানের চাল আমদানি করা হয়েছে তার সঙ্গে সরকারের রাঘব-বোয়ালরা জড়িত। এর আগেও খাদ্য অধিদফতর ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটদের মাধ্যমে ব্রাজিল থেকে ৪০০ কোটি টাকায় ২ লাখ ৫ হাজার ১২৮ মেট্রিক টন পচা গম আমদানি করার কথা মানুষ ভুলে যায়নি এখনো।

শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, পচা গমের পর এবার আমদানি করা হয়েছে পচা চাল। থাইল্যান্ড থেকে দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা প্রায় ৩২ হাজার ১৪০ টন চাল নিয়ে দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এরমধ্যে এমভি থাই বিন বে নামের একটি জাহাজ ১২ হাজার ২৯০ টন চাল নিয়ে ৩১শে আগস্ট এবং এমভি ডায়মন্ড-এ নামের অপর চালবাহী জাহাজ আসে চলতি মাসের এক তারিখ। এতে ১৯ হাজার ৮৫০ টন চাল রয়েছে। পচা চাল নিয়ে দেন-দরবার করতে গিয়ে গত দু’দিন আগে ফাঁস হয়ে যায় পচা চালের গোমর।

তিনি বলেন, গত ২০ দিন ধরে সরকারের খাদ্য বিভাগ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অনেকটা গোপনে কাজ করে গেছেন। কোন কারণে ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এখন তা হজম করতে পারছেনা। যেহেটু পচা ঘটনা ফাঁস হয়ে গেছে তাই এখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এগুলো খালাস করা যাবে না। তাই খাদ্য বিভাগ চালগুলো ফিরিয়ে নিতেও বলেছে থাইল্যান্ডের এ জাহাজ দুটিকে। কিন্তু জাহাজের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা চাল ফেরত না নিয়ে চালগুলো বেসরকারিভাবে হলেও বিক্রি করে যাবেন।

রিজভী বলেন, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। খাদ্যের অনুপযোগী চাল বা গম সরবরাহ করা সংবিধান পরিপন্থী। এটির মাধ্যমে সরকার শুধু সংবিধান বিরোধী কাজই করেনি, মানবতাবিরোধী কাজ করছে, জনগণের ক্ষুধাকে নিয়ে তামাশা করছে।

তিনি বলেন, দেশ বর্তমানে ভয়ঙ্কর দু:সময়ের মধ্যে পতিত হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা ভয়াবহ সংকট ডেকে আনতে পারে। এর উপর রোহিঙ্গা ইস্যু এক নতুন ধরণের বিপর্যয়ের মাত্রা যুক্ত হয়েছে, এটি কতদুর যাবে তা বলা মুশকিল।

দেশ মহাবিপর্যয়ের মধ্যে থাকলেও সরকারের বিরোধী দল দমনের কোন কমতি নেই বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।

বলেন, সীমাহীন ক্ষোভ ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে রোহিঙ্গা ইস্যু ও চাল সংকটের মধ্যেও দেশব্যাপী গ্রেফতার, হামলা মামলা, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ীঘরে আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।

উদ্বাস্তুদের ঘরে ফেরার আহ্বান সেনাপ্রধানের




মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার কারণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থাকা উদ্বাস্তুদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং।

বৃহস্পতিবার তিনি দেশের অভ্যন্তরের উদ্বাস্তুদের এ ধরনের আহ্বান জানালেও বাংলাদেশে পালিয়ে আসা চার লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।

২৫ আগস্টের পর থেকে শুরু হওয়া সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।

মিয়ানমারের দাবি, মুসলিমদের হামলার শিকার হয়ে দেশের অভ্যন্তরে ৩০ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। উগ্র মুসলিমরা বৌদ্ধ এবং অমুসলিমদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলেও দাবি তোলা হচ্ছে। অথচ মুসলিম রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে লুটপাট করেছে দেশটির সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধরা।

রোহিঙ্গাদের গণহত্যার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন মিন অং। তিনি তার বক্তব্যে একবারও রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেননি। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশের নাগরিক হিসেবেই শিকার করে না। তাদের দাবি, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে গিয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেছে। অথচ শত শত বছর ধরে রোহিঙ্গারা সেখানে বসবাস করে আসছে।

মিন অং বলেন, এই অঞ্চলে আমাদের জনগোষ্ঠীর মানুষ রয়েছে। জাতীয় স্বার্থেই আমাদের উচিত এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করা। আমাদের জাতির বাইরে সেখানে কোনো মানুষ থাকলে তাদের জন্য আমরা কিছু করতে পারি না।

মিয়ানমারকে অস্ত্র দেবে ভারত

 
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নির্যাতনের কারণে যুক্তরাজ্য মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার এক দিন পর দেশটিতে অস্ত্র বিক্রির আলোচনার কথা জানিয়েছে ভারত। খবর রয়টার্সের।
আন্তর্জাতিকভাবে প্রচণ্ড চাপে থাকা মিয়ানমারের কাছে ভারতের অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে আলোচনা দেশটির প্রতি নয়াদিল্লির জোরাল সমর্থনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

মিয়ানমারের নৌপ্রধানের নয়াদিল্লি সফরে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আলোচনার সিদ্ধান্ত দৃশ্যত এই অঞ্চলে চীনের প্রভাবের বিপরীতে নিজেদের দাঁড়ানোর চেষ্টার অংশ।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মিয়ানমারের নৌবাহিনী সদস্যদের প্রশিক্ষণের বিষয়েও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে।

ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, বার্মার রাখাইন প্রদেশে চলমান সহিংসতা, এর কারণে সৃষ্ট মানবিক সংকট এবং সেখানে মানবাধিকার লংঘনের যেসব ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগের কারণে সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গ্রহণযোগ্য কোনো সমাধানে না আসা পর্যন্ত বার্মিজ সেনাবাহিনীর সব শিক্ষা কোর্স স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।

নয়াদিল্লিভিত্তিক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভারতের প্রতিবেশী-নীতি বিশেষজ্ঞ কে ইওমে বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সমালোচনা করছে সে সময় উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাদের আনছে ভারত সরকার, এটা একটি বার্তা দিচ্ছে। বার্তাটি হচ্ছে, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ভারত মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আছে।

শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৭

'Top criminals' to walk free as witnesses fail to appear before court for years


Last year ‘killer Abbas' walked free in similar circumstances and this time three other murder accused – Sanjidul Hasan Emon, Tarik Sayeed Mamun and Al Mamun Munshi are on verge of walking free as witnesses have failed to show up in nearly 100 hearing dates.

Abdur Rahim, 33, a fast food vendor, was allegedly killed by the trio, listed by police as 'top criminals', in 1999.
Victim's brother, Md Tarek, lodged a case following which only seven out of 13 witnesses appeared before the court between 2004 and 2010.
Since then even the plaintiff failed to turn in nearly 100 hearing days assigned by the court during when the case changes hands of four to five judges.
Currently, the case awaits decision before Dhaka's Fifth Special Judge's Court.
According to case dossier available from the court, the prosecution failed to present even the plaintiff at court on Aug 8 last year, prompting Judge Md Akhtaruzzaman to once again assign Dec 27 as the next date for hearing.
Court clerk Mokarram Hussain however failed to say if the judge had assigned a new date or not.
Hussain however revealed that of the accused only Mamun is now in jail. The other two, Emon and Munshi, are absconding.
Under the circumstances, Mamun is likely to be released.
The lawyers for the accused, Sayed Ahmed Gazi or Muslem Uddin, chose to remain tightlipped on the issue.
The State side at court and the police prosecution wing also reportedly do not have much information to explain the bizarre turn of events.
'Killer Abbas' released
Accused in the 1999 murder of Juba League leader Ataur Rahman Azad and in the 2001 shooting to death of rice trader Ishak Ahmed Dulal, infamous miscreant Abbas alias 'Killer Abbas' was released from jail last year due to lack of enough evidence.
Interestingly, the State lawyer did not even know about the release.
Dhaka Metropolitan Police (Prosecution) Deputy Commissioner Anisur Rahman, when asked about it, said he could not speak on the issue without going through documents related to the case.

Startup investors fret over risks of mass data collection

বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৭

Several injured in Barisal clash between BNP, Awami League supporters

The BNP claims their supporters were attacked while preparing for a procession -- a claim rubbished by Awami League activists, who say the clash was staged by the BNP.

Police said the clash erupted around 11:30am at the city's Sadar Road,
Deputy Police Commissioner Golam Rouf said that BNP activists gathered in front of its party office in an attempt to take out a procession.
Around the same time, activists the AL's student and youth affiliates gathered nearby, he said.
"The clash erupted when a bottle was thrown at the Awami League supporters from the BNP gathering," said senior officer Rouf.
Awami League activists were spotted with sticks during the clash. After a while the police intervened and dispersed the trouble makers, according to Rouf.
The Awami League came to power for a second successive term after the Jan 5, 2014 national elections, which the BNP had boycotted.
Since then the BNP observes it as the 'Death of Democracy Day' and take out black flag processions across the country, as they did on Thursday.
The Awami League, however, describes Jan 5 as the day when 'democracy was restored.'
It has announced its own programmes and its leaders have said that the people will not allow BNP to take to the streets on Thursday.
"Awami League activists attacked us while we were getting ready for a peaceful procession," BNP's Barisal South unit General Secretary Abul Kalam Shahin told bdnews24.com.
He claimed more than 50 of their supporters have been injured.
The Awami League denied the allegations.
"It's all staged by the BNP to make things murky. They have started the clash and blamed it on us," said Abdur Razzak, general secretary of Barisal unit of the AL student front.

Police have arrested the alleged mastermind of the attack on Hindus in Brahmanbarhia's Nasirnagar Upazila.



Local Awami League leader Dewan Atiqur Rahman Ankhi, who is also the chairman of Haripur Union, has been detained from Dhaka, said Nasirnagar police's Sub Inspector Ishtiak Ahmed.
 
He was arrested around 3pm on Thursday from Dhaka's Bhatara area, said the police officer.

12 gold bars in anal


Customs have held a man who was carrying at least 12 gold bars in his anal from Malaysia to Dhaka.
The passenger landed at Hazrat Shahjalal International Airport in Dhaka on Thursday morning.
Dr. Moinul Khan, director general of the Customs Intelligence and Investigation Directoratej, confirmed the news to risingbd.
Custom officials also seized gold bars carried following same process several times in 2016.

Yaba factory busted in N`ganj, 3 held


Detectives in a drive detained three drug peddlers with Yaba making equipments and Yaba tablets from Baburail area in the district town on Tuesday.
The detainees are identified as Amjad Hossain and his two cohorts Samiul Islam and Rajesh Chowdhury Sham.
The authority confirmed the matter at a press conference at District Police Office on Tuesday.
Additional Police Super Mostafizur Rahman said that acting on a tip off, a team of detectives conducted the drive in residence of Amjad Hossain Badal and found the Yaba making factory.
Meanwhile, the law enforcers seized 250 yaba tablets, yaba raw materials, device and machine from the spot.

পৃষ্ঠাসমূহ