মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৩

গণজাগরণ মঞ্চের বেশ কিছু ভূল সিদ্ধান্ত

গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক এবং পরিচালনা কমিটিতে যারা আছেন তাদের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, এই আন্দোলন কারও একার বা একটি গোষ্ঠির নয়, এটি গনমানুষের আন্দোলন। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আপনাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিৎ।
হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ এ বাধা দেওয়া বা তাদের হরতালে বাধা দেওয়া মোটেই ভাল সিদ্ধান্ত হয়নি। আপনাদের বোঝা উচিৎ ছিল এটা জামাতের অনেক পুরাতন খেলা, তাই পুরাতন জবাব কাজ হবে না, বাংলাদেশের মানুষ আদতে ইসলাম ধর্মের ধারের কাছেও ঘেসে না কিন্তু ধর্মকে অবমাননাকারীর পক্ষে তারাখনও কোন অবস্থাতেই নিবে না। হেফাজতে ইসলাম তো দেশে ইসলামী শাসনতন্ত্র কায়েম করতে চায়, এটা পুরোপুরি তাদের, সরকারের এবং সাধারন মানুষের বিষয়। তারা যেসব ব্লগারের বিষয়ে আপত্তি তুলেছে তাদের অধিকাংশই অনেক আগে থেকেই ব্লগে নাস্তিক হিসাবে পরিচিত। আপনারা সেইসব নাস্তকদের তাদের সাফাই গাইতে গিয়ে আমাদের মূল আন্দোলন কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। যে সমস্ত ব্লগার আমাদের ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করেছে তাদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিৎ এবং তা প্রচলিত আইনেই হবে। অহেতুক তাদের পক্ষ নিয়ে মুক্তি যুদ্ধ এবং তার চেতনাকেও প্রশ্ন বিদ্ধ করেছেন, সাথে সাথে সাধারন মানুষের সমর্থন হারিয়েছেন প্রচুর পরিমানে।

আবার আগামীকাল হরতালও তো বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক প‌্যাচাল, এর মধ্যে জড়ায়ে আপনারা প্রমান দিলেন আপনারা না চাইলেও কোন না কেনভাবে আওয়ামীলীগ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন।

আমাদের গনমানুষের আন্দোলনকে নষ্ট করার কোন অধিকার আপনাদের নেই। আপনাদের ভূল সিদ্ধান্তের কারনে এখন দ্যাখেন আওয়ামীলীগ বগল বাজাচ্ছে এবং বিএনপি নিধনে ঝাপিয়ে পড়েছে এবং সাধারন জনগন আঙ্গুল তুলে আপনাদেরকে আওয়ামীলীগের দালাল বলছে যার পুরোপুরি প্রমান আপনাদের তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।

এখনও সময় আছে কিনা জানি না, তবে দ্রুত ভূল শুধরে নিন। রাজনৈতিক প‌্যাচালে আমাদের মূল আন্দোলন ব্যর্থ হবে, আমারা আবার পরাজয় বরন করব এবং তার জন্য পুরোপুরি দায়ি হবেন আপনারা। আমরা আগেও ছিলাম এখনও আছি। ভবিষ্যতে যদি কেউ ডাক দেয়, তার সাথেও থাকব।

এই জন্যই বলা হয়, " বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, তার মত নেতৃত্ব আর মনে হয় তৈরী হবে না।"

জামায়াতের গঠনতন্ত্র সংবিধান পরিপন্থ !!!

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হওয়ার সময় জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রের কিছু ধারা সংবিধান পরিপন্থী এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। ২০০৮ সালের নভেম্বরে দলটিকে এই শর্তে নিবন্ধন দেওয়া হয়, নবম জাতীয় সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে গঠনতন্ত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনতে হবে। কিন্তু তার পরও ওই গঠনতন্ত্র যথাযথভাবে সংশোধন করা হয়নি। জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট মামলায় আদালতের রুলের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে
নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে কমিশনের একটি লিখিত জবাব গত রবিবার অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে আদালতে দাখিল করার জন্য।
কমিশনের ওই লিখিত জবাবে কিভাবে, কোন শর্তে জামায়াতকে সে সময় নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল এবং পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সে শর্ত যথাযথভাবে পূরণ হয়েছিল কি না, সেসব তথ্য রয়েছে। ২০০৯ সালের পর জামায়াতের গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ে কমিশনের অন্যান্য পদক্ষেপের তথ্য জানানো হয়নি।
জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৯০বি(১), (বি)(২) ও ৯০(সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না, তা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চান আদালত।
কমিশনের লিখিত জবাবে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ২০ অক্টোবর জামায়াত নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে। ওই সময় আবেদনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কমিশনের শর্ত ছিল, নিবন্ধন পেতে হলে দলের গঠনতন্ত্র সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে হবে। প্রয়োজনে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে অস্থায়ীভাবে সংশোধিত গঠনতন্ত্রও জমা দেওয়া যাবে। কিন্তু নির্বাচনের পর নবম জাতীয় সংসদ অধিবেশন শুরুর পরের ছয় মাসের মধ্যে স্থায়ীভাবে সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিতে হবে। অন্যান্য দলের মতো জামায়াতও তাদের অস্থায়ীভাবে সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দেয়। দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকার জামায়াতের গঠনতন্ত্রের কিছু অংশ নিজ হাতে লাল কালিতে কেটে দেন এবং এই প্রতিশ্রুতি দেন যে, এগুলো দলের পরবর্তী কাউন্সিলে স্থায়ীভাবে সংশোধন করা হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের গঠন করা একটি কমিটির পরীক্ষায় দেখা গেছে, জামায়াতের ওই গঠনতন্ত্রের ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২ ধারা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়া গঠনতন্ত্রের ৫ ধারাসহ আরো কয়েকটি ধারা সংবিধান পরিপন্থী।
ইসির জবাবে আরো বলা হয়, জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়ায় কারো কোনো আপত্তি রয়েছে কি না, তা জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের ২৬ ও ২৭ অক্টোবর সংবাদপত্রের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আপত্তি জানায় ৯টি সংগঠন। এগুলো হচ্ছে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও ওয়্যার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। নির্বাচন কমিশন ওই আপত্তির বিষয়ে সে বছরের ১ নভেম্বর শুনানি গ্রহণ করে এবং সে সময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয়। তথ্যসূত্র: কালেরকণ্ঠ।

বিভিন্ন ব্লাড গ্রুপের মানুষের চরিত্র

বিভিন্ন ব্লাড গ্রুপের মানুষের চরিত্র
মানুষের ব্লাড গ্রুপ ৮ ধরণের হয়ে থাকে। এগুলো হল এ পজেটিভ, এ নেগেটিভ, বি পজেটিভ, বি নেগেটিভ, এবি পজেটিভ, এবি নেগেটিভ, ও পজেটিভ এবং ও নেগেটিভ। You
and your Blood type নামক নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশিত এই বইয়ে লেখক তসিকাত আনমি এবং আলেকজেন্ডার বেলার ব্লাড গ্রুপ ভিত্তিক মানুষের চরিত্রের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সাধারণত কোন গ্রুপের মানুষের আচরণ কেমন হয় ব্যাখ্যা করেছেন। মুক্তকণ্ঠের পাঠকদের জন্যে তুলে ধরলাম-
এ পজেটিভঃ এরা খুঁতখুঁতে ও গোছালো হয়ে থাকে। আত্নকেন্দ্রিক, সুবিচারক, শান্ত নিয়মতান্ত্রিক, বিশস্ত, নিয়মানুবর্তী ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হিসেবে খ্যাত। চাকুরি ক্ষেত্রে এরা দক্ষ হয়ে থাকে। এ নেগেটিভঃ এরাও খুঁতখুঁতে। প্রয়োজনীয় কাজে অমনোযোগী হলেও, অপ্রয়োজনীয় কাজে মনোযোগ দেয় বেশি। লাজুক এবং একঘেয়েমিতে অভ্যস্ত। অন্যের দোষ খুঁজতে পটু। বি পজেটিভঃ স্বাধীনচেতা, স্বাস্থ্যবান, মেধাবী, নমনীয়, মনোযোগী, সহজ-সরল, বাস্তববাদী, দক্ষ, পরিকল্পনাবাদী, আবেগপ্রবণ এবং খুব বেশি রোমান্টিক হিসেবে এরা পরিচিত। বি নেগেটিভঃ এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা অগোছালো, অবিবেচক, অসংযমী, অপরিনামদর্শী, দায়িত্বহীন, অলস, স্বার্থপর এবং স্বার্থান্বেষী হয়ে থাকে। এবি পজেটিভঃ এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত সুবিবেচক, বু্দ্ধি সম্পন্ন, হিসেবী পরিকল্পনাবাদী, সৎ কৌশলী সংবেদনশীল, নিরেট এবং খুব চমৎকার সাংগঠনিক হয়ে থাকে। এবি নেগেটিভঃ দুর্বোধ্য, ক্ষমতাহীন, অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা বেশি, দুর্বল, অত্যাধিক রক্ষনশীল ও বড় বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন এবি নেগেটিভ মানুষ। ও পজেটিভঃ এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বচ্ছ দৃষ্টি সম্পন্ন, গভীর মনোযোগী, উচ্চাকাঙ্খী স্বাস্থ্যবান, বাকপটু, বাস্তববাদী, রোমান্টিক এবং অত্যান্ত বুদ্ধিমান হয়ে থাকে। ও নেগেটিভঃ এই গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত অন্যের মতামতকে গ্রাহ্য করে না। সমাজে মর্যাদা বাড়াতে আগ্রহী, বড়লোকের সঙ্গপ্রিয় এবং বড় বেশি বাচাল।

আল্লাহু লেখা অসাধারণ কিছু ক্যালিগ্রাফি

বোরকা বনাম বিকিনি

সামনের দেয়ালেএকটা ছবি আছে একজন মুসলিম নারীর, যার সমগ্র দেহ বোরখায়আবৃত। পাশাপাশিই আরেকটা ছবিযেখানে একজন আমেরিকান সুন্দরী প্রতিযোগী, যার পরনে রয়েছে বিকিনি। একজন সম্পূর্ণভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে, যাকে চেনার কোনো উপায়ই নাই। আরেকজন বলতে গেলে পুরোপুরি নগ্ন। ‘সভ্যতার সংঘাত’ বলে যদি কিছু থাকে, এই দুই ছবি তা অনেকটুকু পরিষ্কার করে তুলে।
যেকোন সভ্যতার সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে নারীর ভুমিকা মুখ্য। আফগানিস্তান এবং ইরাকে পরিচালিত যুদ্ধ কেবল তেল চুরির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তা আরো বিস্তৃতহয়ে মুসলিমদের ধর্ম আর সংস্কৃতির উপরও হাত দিতে শুরু করেছে, যার অন্যতম লক্ষ্য হল বোরখা উৎখাত করে বিকিনি আমদানি করা।
আমি মুসলিম নারীদের বর্তমানঅবস্থার উপর কোন বিশেষজ্ঞ নই। আমি বোরকা’র পক্ষেও কথা বলছিনা। কিন্তু বোরকা কিছু মূল্যবোধকে তুলে ধরে, যেগুলোকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনোউপায় নেই। আমার মতে, বোরকা একজন মেয়ের তার স্বামী এবং পরিবারের প্রতি গুরুত্বকে স্পষ্ট করে তুলে। একজন মুসলিম নারীর কাছে সবচেয়ে প্রাধান্য পায় তার পরিবার। যেখানে তার সন্তানরা নিশ্চিন্তে বড় হয়ে উঠে। যেখানে তার স্বামী বাইরের সংঘাতপূর্ণ জীবন থেকে ফিরে এসে আশ্রয় নিতে পারে।
অন্যদিকে স্টেজে হাজার লোকের সামনে হেঁটে চলা একজন বিকিনি পরিহিতা পশ্চিমা নারী মূলত নিজের দেহকে প্রতিনিয়ত নিলামে বিক্রি করে চলছে। পাশ্চাত্যের সংস্কৃতিতে একজন নারীকে বিচার করার মূল মাপকাঠি তার দৈহিক সৌন্দর্য। যতদিন সৌন্দর্য আছে, ততদিন সে তাকেপুঁজি করে নিজের দাম বাড়িয়ে চলে। পাশ্চাত্যের নারীদের এই সৌন্দর্য পূজাকে কেন্দ্রকরেই গড়ে উঠেছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বিউটি পার্লার, কসমেটিক্স আর ডায়েট কন্ট্রোল ব্যবসা।পাশ্চাত্যে একজন কিশোরীর আদর্শ থাকে ব্রিটনিস্পিয়ার্সের মত তারকা যার কাছ থেকে সে অল্প বয়সেই নিজের যৌন আবেদনময় শরীরকে পুঁজি করে আশেপাশের সবার দৃষ্টি আকর্ষন করা শিখে। এসব ছলাকলা শিখতে শিখতে সে তার সরল এবং নিষ্পাপ মনটাকে হারায় যা তার সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ।অসংযমী জীবন যাপন করতে করতে সে তার স্বামীর কাছে প্রকাশিত হওয়ার পুর্বেই প্রকাশিত হয়ে পড়ে ডজনখানেক পুরুষের কাছে।
পাশ্চাত্যের নারীবাদ নারীদের এই ধোঁকায় ফেলে রাখতে চায় যে নারীত্ব নারীদের জন্য অপমানজনক; তাই তাদেরকে নারীত্ব বাদ দিয়ে পুরুষালী আচার-আচরণ গ্রহণ করতে হবে তাদের মুক্তির স্বার্থেই। নারীরা তাই পুরুষ হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পরছে পারিবারিক ব্যবস্থা’র উপর। ভেংগে যাচ্ছে ঘর-সংসার। নতুন বিশ্বব্যবস্থায় নারীরা আর মা, বোন অথবা স্ত্রী নন, তারাশুধুই নারী, যার দেহ ভোগের সামগ্রী।
আফগানিস্তানের উপর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের অযুহাত হিসেবেপ্রায়শই নারীদের স্বাধীন করার কথা বলা হয়। কিন্তু এই স্বাধীনতা কিসের স্বাধীনতা?ব্রিটনি স্পিয়ার্সকে অনুসরণকরার স্বাধীনতা? ছোট আঁটসাটকাপড় পরার স্বাধীনতা? পুরো সমাজকে একটা পতিতালয় বানানোর যৌন স্বাধীনতা? পাশ্চাত্য আমাদের সামনে এমনএকটা সমাজ ব্যবস্থাকে মডেল করে তুলছে যেখানে পর্ণোগ্রাফি হচ্ছে বিয়ের বিকল্প। প্রতিটা মানুষ যেখানে মানসিকভাবে নিঃসঙ্গ,যৌনবুভুক্ষ আর আত্মমগ্ন। প্রত্যেকেই নিজ স্বার্থ চিন্তায় মগ্ন। যা বিশেষ করে নারীর জন্যে চরম ধ্বংসাত্নক। কারন যতদিন তারযৌন আবেদন আছে, ততদিন তার কদর আছে। কিন্তু সৌন্দর্য, বিশেষ করে যৌন আবেদন ক্ষনিকের সম্পদ। যা খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়। নারী তাইএই সম্পদকে পুঁজি করে সমাজে নিজের অবস্থান গড়ে নেয়ার অর্থ সৌন্দর্য ফুরিয়ে গেলে তার অবস্থানের মূল্যায়নও ফুরিয়ে যাওয়া।আমি বোরকার পক্ষপাতিত্ব করছিনা। বোরকা এবং বিকিনি-দু’টোই চরম প্রান্তিক দুই অবস্থানের প্রতিনিধিত্ব করে। সমস্যার সমাধান এই দুইয়ের মাঝখানে কোথাও, যা আমাদেরকেই খুঁজে নিতে হবে।

হেফাজতে ইসলামের লংমার্চঃ নেপথ্যের এক ভয়াবহ কাহিনী

ভূমিকাঃ
প্রিয় পাঠকেরা আজকে আপনাদের বলব এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের কাহিনী। যা শুনলে আপনারা শিউরে উঠবেন। আপনারা বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে যাবেন।

[লন্ডন শাখার হেজাফিত ইসলামী কর্মী হামিদীকে পুলিশ অনৈতিক কাজের জন্য গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে]

এই আন্দোলন আসলে হেফাজতী ইসলাম যে করবে তার কথা ছিলো না শুরুতে। জামাতের ইমেজ সারা বাংলাদেশে খারাপ থাকায় জামাত হন্য হয়ে একটা চ্যানেল খুজঁছিলো যে অন্য কোনোভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানো যায় কিনা দেশের পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে। এইসময় জামাতের ভাগ্য ভালোই বলতে হয়। কেননা শাহবাগ আন্দলোনের সময়। শাহবাগে ২২ শে ফেব্রুয়ারী শেখ নূরে আলম হামিদী নামক একজন যিনি বৃটিশ নাগরিক তিনি শাহবাগে এসেছিলেন তার হ্যান্ডি ক্যামেরা নিয়ে শাহবাগের আন্দোলন ভিডিও করতে। সে সময় হামিদী খুঁযে খুঁজে সেখানকার তরুনদের সিগেরেট খাওয়া, পথে বসে জাগ্রত নারীদের গান গাওয়া ইত্যাদি রেকর্ড করছিলেন। ঠিক সে সময় সেখানে অবস্থানরত তরুনদের সন্দেহ হয় এবং তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় সে এখানে কি করছে তখন হামিদী ঠিক ঠাক কিছু বলতে পারেনি। পরে তার সাথে থাকা ক্যামেরা, ভিডিও ডিভাইস ইত্যাদি ঘেটে দেখা যায় যে হামিদী সেখানে মেয়েদের শরীরের নানা স্থান দূর থেকে ভিডিও করেছেন এবং ক্যামেরাতেও নানান ছবি তুলেছেন যেমন একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে একটি ছেলে সিগেরেট খাচ্ছে, একটি মেয়ে স্লোগান দিতে গিয়ে তার ওড়না পড়ে গেছে কিংবা একটি মেয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে তার বান্ধবীর কাঁধে। ঠিক সে সময়ে ক্লান্ত ঐ বোনের অসতর্ক মুহুর্তের নানান স্থানের ছবি তুলে হামিদী এগুলো দিয়ে প্রচার চালাতে চেয়েছিলো।
কে এই শেখ নূরে আলম হামিদীঃ
এই হামিদী একজন ব্রিটিশ নাগরিক। ১৯৯৮ সালের দিকে আওয়ামীলীগ আমলে এই হামিদীর নামে জঙ্গি তৎপরতা বিষয়ে এলার্ট জারি হয় এবং পুলিশ হন্য হয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। ১৯৯৯ সালে এই ব্যাক্তি পালিয়ে প্রথমে ভারত তারপর সেখান থেকে তার আরেক ভাইয়ের সাহায্যে যুক্তরাজ্যে যায়। হামদীর গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল। তার বাবা শেখ খলিলুর রহমান হামিদী বরুনার পীর। হামিদী বরুনা মাদ্রাসায় একসময় শিক্ষকতা করত। হামিদী লন্ডনে মূলত হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি হিসেবেই কাজ করে যাচ্ছিলো। তাদের এই মাদ্রাসা পূর্ব লন্ডনের প্লাস্টোতে অবস্থিত। লন্ডনে এই হেফাজতী ইসলাম তাদের নাম ধারন করে আঞ্জুমানে হেফাজতী ইসলাম। প্রতি বছর লন্ডনে পহেলা এপ্রিলের মেলাতে এই হেফাজতী ইস্লামের কর্মীরা লন্ডনের বিভিন্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে লিফ্লেট দিত যাতে মানুষ মেলায় না যায়। এটা নাকি ইসলাম বিরোধী কাজ। হেফাজতে ইসলামের অধীনে যত মাদ্রাসা আছে সেগুলোর জন্য এই হামিদী প্রতি বছর রমজানে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বা উৎসবের আগে টিভিতে, রেডিওতে এবং লন্ডনের বিভিন্ন সোর্স থেকে পাউন্ড সংগ্রহ করত।
শাহবাগের তরুনেরা হামিদীকে তার এইসব ঘৃণ্য কর্মকান্ড সহ হাতে নাতে ধরে গণপিটুনী দেবার চেষ্টা করলে সেখানকার কিছু তরুন তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে এবং হামিদীর কাছ থেকে উদ্ধার করে মহামূল্যবান কিছু ডকুমেন্টস। এইদিকে হামিদীও স্বীকার করে অনেক কিছু। আর এইসব কারনেই হেফাজতী ইসলাম নামে জঙ্গী দলটি ধীরে ধীরে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে প্রতি
[উপরের ছবিতে জঙ্গী নূরে আলম হামিদীকে দেখা যাচ্ছে]
ডেটলাইন ২৮ শে ফেব্রুয়ারীঃ
সাঈদীর রায় শুনবার পর থেকেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার বার বার চেষ্টা চালাতে থাকে বি এন পি’র হাই কমান্ডের এম এক আনোয়ার, আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সাথে। বি এন পি’র হাই কমান্ড অনেক আগের থেকেই সাকার উপর নাখোশ, এইদিকে সাদেক হোসেন খোকার একটা গ্রুপ সাকার ব্যাপার বি এন পি’তে পুরোপুরি অফ করে দিতে সক্ষম হয়েছে। তারেক রহমান সাফ জানিয়ে দিয়েছে সাকার ব্যাপারে কোনো কথা না বলতে। সব কিছু মিলিয়ে সাকার ছেলে ফাইয়াজ এবং হুম্মাম প্রাণপণে বি এন পি’র হাই কমান্ডে চেষ্টা করে যাচ্ছিলো খালেদা যাদে একটাবারের জন্য হলেও সাকার নাম উল্লেখ করে স্টেটমেন্ট দেয়। হুম্মাম শুধু তদবির করার জন্য এম কে আনোয়ারকে ৪৫ লাখ টাকা দেয় তবে আলতাফ হোসেন এইজন্য কোনো টাকা নেয় নি। এরা দুইজন মিলে যখন খালেদার সাথে দেখা করতে যান তখন এই বিষয়ে খালেদা শুধু শুনে গিয়েছিলেন, নেতা দুইজন উঠে আসবার সময় খালেদা আলতাফের দিকে তাকিয়ে বলেছিলো, সালাউদ্দিনকে একটু ঠাট কমাতে বলেন। এইভাবে বি এন পিতে তার জায়গা হবে না। সাকার পরিবার এই খবর শুনে বুঝতে পারে যে বিপদের সময় বি এন পি মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। হাসিনার সাথে সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের দেখা করতে চাইলেও হাসিনা সরাসরি বলে দেন সাকার পরিবারের কেউ যেন তার আশে পাশে না আসে কোনোভাবেই।


মার্চের প্রথম সপ্তাহঃ
এমন একটা অবস্থায় সাকার অত্যন্ত কাছের লোক মাওলানা আবদুর রহমান চৌধুরী সাকার বড় ছেলে ফাইয়াজ কাদেরের কাছে একটা প্রস্তাব আনে যে হেফাজতী ইসলামের এক নেতাকে সরকার আর শাহবাগের জনতারা খুব অপদস্থ করেছে, এখন সে জেলে এই ব্যাপারে সাকা যদি হেল্প করতে পারে তাহলে তারা বসতে পারে। সেই সাথে আব্দুর রহমান আরো জানায় যে হেফাজতী ইসলামী একটা বড় সড় আন্দোলনে যেতে চায়। এই পুরা আন্দোলোনের জন্য অনেক টাকার দরকার। সাকার ছেলে ফাইয়াজ আবদুর রহমান চৌধুরীকে সরাসরি কথা দেয় না। সে বলে তারা বাবার সাথে কথা বলে তাকে জানাবে। হেফাজতী ইসলামের প্রধান আল্লামা শফি অনেক আগের থেকেই সাকার কৃপায় চট্রগ্রামে টিকে থাকা লোক। এখন সাকাকে এইভাবে প্রস্তাব করায় তেলে বেগুনে তেঁতে উঠে সাকার স্ত্রী ফারহাত। তারপরেও পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে নেই দেখে পিপড়াও লাথি দেয়, এই হিসেব কষে চুপ থাকেন তিনি। সাকাকে এই প্রস্তাব দিলে সাকা তার ছোট ছেলে হুম্মামকে এই ব্যাপারে ইনভলভড হতে বলে এবং জামায়াতে ইসলামীর একটা স্ট্রং লিঙ্ক এখানে কাযে লাগাতে বলে। কারাগারে এই প্রস্তাব শুনে সাকার প্রথম কথা ছিলো “সোদানির পুতেরা তাইলে এখন প্রস্তাব নিয়া আসছে?”

ফাইয়াজ আর হুম্মাম জামাতের সেলিম, রফিকুল,শিবিরের নেতা দেলোয়ার, হেফাজতের মাওলানা রুহী, জুনায়েদ আল হাবিবি এবং আব্দুর রহমান চৌধুরীর সাথে একটা গোপন বৈঠকে বসে রাঙ্গুনিয়ার পেনিনসুলা হোটেলে। এই সময় হুম্মাম জামাত শিবিরের তিন নেতা এবং হেফাজতের মাওলানা রুহীকে ও জুনায়েদকে আই ফোন ৫ গিফট করে। এই বৈঠকে আসার আগে ফাইয়াজ তারা চাচা গিয়াসুদ্দিন কাদের চৌধুরী, মীর নাছির ও তার ছেলে শেখ হেলালের সাথে বৈঠক করে নেয়। যদিও গিকার সাথে সাকার পরিবারের অত্যন্ত খারাপ সম্পর্ক, তথাপিও গিকা এই ব্যাপারে আগের সব কথা ভুলে থাকে। কেননা গিকার নামেও এখন তদন্ত চলছে। এইদিকে মীর কাশিমের ছেলে আরমানের সাথেও হুম্মামের একটা ফোন কনফারেন্স হয় এবং আরমান পুরো নিশ্চিত করে যে, সে সাকার পরিবারের যে কোনো সিদ্ধান্তের সাথে আছে। সাকার স্ত্রী যোগাযোগ করে চট্রগ্রামের মেয়র মহিউদ্দিনের সাথে এবং মহিউদ্দিন সরাসরি কিছু না বল্লেও তাদের পুরা পরিবারের সাথে আছে বলে জানায় এবং চিন্তা করতে মানা করে। সব কিছু নিশ্চিত করার পর হুম্মাম এবং ফাইয়াজের সাথে জামাত-শিবিরের ওই তিন নেতা, হেফাজত ইসলামীর মাওলানা রুহী এবং সাকার নিকট আত্নীয় মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরীর সাথে মিটং হয়। মিটিং চলে প্রায় সাড়ে ৫ ঘন্টার মত এবং সেখানেই মূলত প্ল্যান করা হয় যে এখন সামনে সবকিছু করবে হেফাজতী ইসলামী। পেছনে সাপোর্ট দিবে সাকা-গিকার পরিবার, মীর কাশিমের পরিবার এবং জামাত। বি এন পি’কে বুঝানোর দায়িত্ব থাকে আলতাফ হোসেন চৌধুরী আর মীর নাছিরের উপর। মজার ব্যাপার হোলো এই বৈঠকের শেষে আলাদা ভাবে মাওলানা রুহী হুম্মামের কাছে আর্জেন্ট ভিত্তিতে ৭ লাখ টাকা ধার চায়। হুম্মাম পরের দিন মাওলানা রুহীকে সাত লাখ টাকা দেয় এবং এই টাকা দিতে যায় নুরুল আমীন নামে হুম্মামের এক কাছের লোক।
কি করতে চায় সাকা এবং আল্লামা শফি?
এই লং মার্চের একটা বড় প্ল্যান ছিলো যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বি এন পি’র সাবেক এম্পি আব্দুল আলীমকে খুন করা। এতে করে দেশে একটা ভয়াবহ বিশৃংখলা তৈরী হবে। নাজিমুদ্দিন রোডের জেলখানায় পাগলা ঘন্টি বাজানোর পরিকল্পনাও আছে সেখানকার দুইজন কয়েদীকে খুন করে। এখানে পরিকল্পনা করা হয় কওমী মাদ্রাসার প্রায় ৫০ জনকে ফেলে দেয়া হবে আওয়ামীলীগ আর বাম দলের নাম করে। ঢাকাতে তারা অতর্কিতে হামলা করবে গণ জাগরণ মঞ্চে এবং সেইখানেও তারা হামলা করে কমের পক্ষে ৫ জনকে ফেলে দিবে। এই দায়িত্ব টা নেয় জামাতের শিবিরের দেলোয়ার। এই একই সাথে হিজবুত তাহরীর একটা বড় অংশকেও সাকার পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে তাদের কার্যক্রম চালাবার জন্য। এই টাকার লেনদেন হয়েছে ঢাকার মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের এক বাড়িতে। হিজবুত তাহরীর প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি আত্নঘাতী বোমা হামলায় খুন করবার জন্য এক পায়ে দাঁড়ানো। এই লং মার্চেও এরকম প্রস্তাব আসলেও সাকার পরিবার এবং বি এন পি’র থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এখনো সময় হয়নি বলে এই প্রস্তাবে সায় দেয়নি। উলটা তারা ভয় পেয়েছে যে হিজবুত তাহরীর এই লং মার্চে বড় ধরনের নাশকতা করতে পারে আর পুরো লং মার্চের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। হিজবুতীরা যাতে এই ধরনের সহিংস কিছু না করে এই জন্য দফায় দফায় বৈঠক হয় তাজমহল রোডের ওই বাড়িতে। এদের একটা বৈঠক হয় সাকার মেয়ে ফারজিনের গুলশানের ক্যাফে বিটার সুইটে।

[সাকার মেয়ে ফারজিনকে তার ক্যাফে বিটার সুইটের দেখা যাচ্ছে]

[মাওলানা রুহী]

আমার দেশ কার্যালয়ে বৈঠকঃ
আমার দেশ কার্যালয় সব সময় পুলিশের নজরদারী থাকলেও সেখানে গোপনে একটি বৈঠক হয় গত ১১ মার্চ সন্ধ্যা ৭ টায়। এই বৈঠকটাতেই মূলত হেফাজতের অন্যতম নীতি নির্ধারক বৈঠক। এই মিটিঙ্গে ফরহাদ মজাহার, শওকত মাহমুদ, শিবিরের দেলোয়ার, সাকার ছেলে হুম্মাম, মাওলানা রুহী,আল্লামা সুলতান যওক নদভী,ইনামুল হক কাসেমী, মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী, মীর কাশেমের ছেলে আরমান এবং আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় অনেক কিছুর। এখানে টাকা পয়সা থেকে শুরু করে কিভাবে কিভাবে লং মার্চ হবে, কিভাবে নৈরাজ্য চালানো হবে সব ধরনের সিদ্ধান্ত হয়। মীর কাশেম, জামাত এবং সাকার পরিবার মিলে মোট ৮০ থেকে ৯০ কোটি তাকার একটা রাফ বাজেট ব্যাবস্থা করবে বলে বলা হয় এবং টাকাটা মাহমুদুর রহমানের মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউট করা হবে বলে ঘোষনা দিলে বৈঠকে মাওলানা রুহী এবং হারুন ইজহার বলে এই টাকা সরাসরি যারা যারা আন্দোলন করবে সেইসব দলের নেতাদের আলাদা আলাদা দিতে হবে। মাওলানা রুহী হেফাজতী ইসলামের জন্য একাই ৪৫ কোটি টাকা দাবী করে বসে। এই সময় শওকত মাহমুদ মাওলানা রুহীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে মাওলানা রুহীও পালটা পালটি তর্ক করতে থাকে। এক সময় শওকত মাহমুদ ওই মিটিং ছেড়ে সব হুজুরদের চলে যেতে বললে একটা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়। তখন ফরহাদ মজাহার, আল্লামা নদভী এবং হুম্মাম মিলে পরিস্থিতি ঠান্ডা করেন। মাহমুদুর রহমান এ সময় চুপচাপ ছিলেন। মাহমুদুর রহমান মাওলানা রুহীকে বলেন যে আমরা দুইবার আপনাদের বিজ্ঞাপন প্রথম পাতায় দিয়েছি সম্পূর্ন ফ্রি, প্রতিদিন আপনাদের খবর ছাপাচ্ছি প্রথম পেইজে এইটা ভুলে যাবেন না। মিটিং শেষ হয় ওইদিন রাত ২ টায়। পরে চাইনিজ খাবার আনা হয় রেস্টুরেন্ট থেকে। হুম্মাম এবং আরমান না খেয়ে চলে যান তাড়া আছে বলে।

[হেফাজতীদের সাথে মাহমুদূর রহমান]

১৫ ই মার্চঃ
সাকার পরিবার থেকে একটা সিদ্ধান্ত হয় যে যারা যারা আন্দোলন করবে তাদেরকে আলাদা ভাবে দল ভিত্তিক টাকা দেয়া হবে। কারন মাহমুদুর রহমানের অফিসে মিটিং থেকেই তারা বুজতে পেরেছে যে হুজুরেরা টাকা না দিলে লড়বে না। এর মধ্যে তার থেকে মাওলানা রুহী ধারের কথা বলে ৭ লাখ টাকাও নিয়েছে হুম্মামের কাছ থেকে। এই একই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় মীর কাশেমের পক্ষ থেকেও। এইসময় মীর নাছিরের ছেলে মীর হেলাল বার বার বলে আমার দেশের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে যাতে কিছু করা না হয়। এই নতুন ঝামেলা নিয়ে আবারো সাকার মেয়ে ফারজিনের ক্যাফেতে বৈঠক হয় হুম্মাম, আরমান, মীর হেলাল এবং হেলালের সাথে আসা এক বন্ধু লিটনের। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মাহমুদুর রহমানকে ৩ কোটি, দারুল মাআরিফ চট্রগ্রামের মহাপরিচালক মাওলানা নদভীকে ২ কোটি, কওমী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানকে ১ কোটি, পটিয়া মাদ্রাসার মহা পরিচালক আব্দুল হালিম বোখারীকে ৫০ লক্ষ এবং হেফাজতী ইসলামকে দেয়া হবে ৪৫ কোটি টাকা এবং জামাত নিজে খরচ করবে বাকী টাকার অংশ তাদের নিজেদের ফান্ড থেকে। সিদ্ধান্ত হয় যে এই পুরা লং মার্চের সব দায় দায়িত্ব থাকবে হেফাজতী ইসলামের কাছে এবং চট্রগ্রাম থেকে পুরো ব্যাক আপ দিবে জামাত-শিবির আর বি এন পি’র সাকা গ্রুপ।

টাকা নিয়ে গ্যাঞ্জাম এবং আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোঃ
কওমী শিক্ষা বোর্ডের ফুফতি কাশেমী এই অর্থ নিতে রাজী হয় কিন্তু ওইদিকে বেঁকে বসেন বর্ষীয়ান মুফতি আব্দুর রহমান। তিনি বুঝতে পারেন এখানে হেফাজতীদের অনেক টাকা দেয়া হচ্ছে সেই তুলনায় তাদেরকে অনেকটা ভিক্ষার মত দেয়া হচ্ছে। একই ব্যাপার বাকীদের সাথেও হয় এবং এদের সবার সাথে একটা বৈঠক হয় মার্চের ২০ তারিখে সাকার ধানমন্ডির বাসায়। এখানে কোনোভাবেই এদের কাউকে বুঝানো যায় না। পরে বৈঠক শেষ হলে হুম্মাম, ফাইয়াজ, মীর হেলাল বুঝতে পারে যে যেখানে এই হুজুরেরা টাকার কাঙ্গাল এবং এত টাকা যারা জীবনে চোখেও দেখে নাই তারা সরকারী ভয়েই সরে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এই পুরো অংশটাই এই লং মার্চ থেকে সরে দাঁড়াবার অবস্থা হলে জামাত এই পুরো সিন্ডিকেট কে প্রায় ২৫ কোটি টাকায় রাজি করায়। মাহমুদুর রহমানের সাথে শেষ পর্যন্ত ৪ কোটি টাকায় রফা হয় পুরো ব্যাপারটাতেই আর হেফাজতীদের মোট দেয়া হয় ৪৫ কোটি টাকা। নিজেদের ভেতর অন্তর্দন্দ্ব ও চরম অবিশ্বাস-কলহঃ
এই পুরো ব্যাপারটা যেহেতু কোনো আদর্শিক আন্দোলন নয় এবং এর সাথে সম্পূর্ণ ভাবেই টাকা পয়সা আর নিজের লাভ জনিত কারনে সেহেতু খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই পুরো গোষ্ঠীর বিভিন্ন মতাদর্শের দলের ভেতর শুরু হয় কোন্দল। সেটাও টাকা নিয়ে। হেফাজতী ইসলাম একসাথে এত টাকা পাবে এইটা কোনোভাবে মানতে পারছে না অন্যান্য দলে গুলো। এবং সে কারনেই আস্তে আস্তে কয়েকটা দল আস্তে আস্তে বিভক্ত হয়ে পড়লো। হেফাজতের কর্মসূচিতে যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি দাবিসহ কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি তুলে শেষ মুহূর্তে লংমার্চ থেকে দূরে সরে গেছেন বলে খবর আসে বিভিন্ন স্থান থেকে। পরে জামাতী ইসলামের মধ্যস্থতায় সম্মিলিত কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের বর্ষীয়ান আলেম ফকিহুল মিল্লাত আল্লামা মুফতি আবদুর রহমান, ঐতিহ্যবাহী পটিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী, দারুল মাআরিফ চট্টগ্রামের মহাপরিচালক আল্লামা সুলতান যওক নদভী মোট ২৫ কোটি টাকায় একটা রফা করে। যার মধ্যে ১০ কোটি টাকাই পাচ্ছে মুফতি আব্দুর রহমান।


এই ঘটনাতে মুফতী কাশেমী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। কারন এই ডিল করার সময় তাকে জানানো হয়নাই এবং টাকার ব্যাপারেও তাকে কিছু বলা হয়নি। সম্মিলিত কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় নেতা ও মুফতি আবদুর রহমানের ঘনিষ্ঠভাজন মুফতি ইনামুল হক কাসেমী এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আলাদা দল নিয়ে লং মার্চের ঘোষনা দিলে পরে এইবার হুম্মাম, জামাতের রফিকের মাধ্যমে আবার একটা সুরাহা হয়। কাশেমীকে দেয়া হয় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কাশেমি প্রথমে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পটিয়া মাদ্রাসায় কঠোর নির্দেশ জারি করেছিলো কেউ যাতে লং মার্চে না যায়, কোনো ছাত্র-শিক্ষক হেফাজতের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না। এমনকি বিশেষ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে, কেউ যাতে মাদ্রাসা ক্যাম্পাসের বাইরে বেরোতে না পারেন। পরে কাশেমী ও আব্দুর রহমানের ভেতর একটা দফা হয় যে তারা এক সাথে মিলে মিশে কাজ করবে।
এদিকে গত ২৯ মার্চ শুক্রবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় মহাসমাবেশে চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম হেফাজতের লংমার্চ কর্মসূচিতে সমর্থন ঘোষণা করলেও তাতে তাঁর দল ও মুরিদরা অংশ নেবেন না বলে জানা গেছে। সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক বারিধারা মাদানিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করে। বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে কাসেমী সাহেবের সাক্ষাৎ-রহস্য এবং বিভিন্ন সময়ে উত্থাপিত হেফাজতের নেপথ্যে জামায়াত-শিবিরের প্রভাব ও ষড়যন্ত্র বিষয়ে হিসাব-নিকাশ শেষে চরমোনাইয়ের পীরের অনুসারীরা শেষ পর্যন্ত লংমার্চে অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তারা এই লংমার্চে দেওয়া সমর্থন বহাল রাখলেও লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেবে না। দলটির কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানো তার সিদ্ধান্তের কথা জানান যে তারা আর এই আন্দোলনে নেই।

কিভাবে অর্থ দেয়া হোলোঃ
এখানে উল্লেখ্য যে মোট ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকার একটা মোটামুটি রাফ বাজেট করা হয়েছিলো শুরুতেই। এত টাকার বাজেটের মধ্যে যে টাকা জামাত নিজে খরচ করবে তার পরিমান প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। জামাত অবশ্য তাদের এই টাকা শুধু নিজেদের দলের জন্য নয় বরং মুফতি আব্দুরু রহমান, কাশেমী ইত্যাদি খাতে ব্যয় করবে বলে ঠিক হয়। এর মধ্যে ৪৫ কোটি পাচ্ছে হেফাজতী ইসলামী এবং ৪ কোটি পাচ্ছে মাহমুদুর রহমান। বাকী বাজেটের মধ্যে মধ্যে ১০ কোটি পায় মুফতি আব্দুর রহমান, ১ কোটি ৭০ পায় মুফতী কাশেমী, কিছু টাকা টাকা হুম্মাম ডিস্ট্রিবিউট করে বাবু নগর, হাটজাহাজারি সহ আরো কিছু মাদ্রাসায় ও এতিম খানায় এবং সেখানে কওমী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের নিষেধ মেনেও যাতে তারা লং মার্চে শরিক হয় এই চেষ্টা চলতে থাকে। মজার ব্যাপার হলো মহাপরিচালক আব্দুর রহমানের অগোচরে আরো কিছু টাকা দেয়া হয় ইনামুল হক কাশেমিকে তাদের দফার বাইরে । যাতে করে সে গহিরা, হাটহাজারি, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান সহ অনান্যা এলাকায় মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়ে ব্যাপক নৈরাজ্য তৈরী করতে পারে শনিবার। এই টাকার পরিমান নিয়ে দুই রকমের বক্তব্য পাওয়া গেছে। একটা সূত্র থেকে বলছে ৮০ লক্ষ, আরেকটা সূত্র থেকে বলছে ১ কোটি। এই টাকা দেয়া হয় বাবুল চৌধুরী নামে এক ব্যাক্তাধ্যমে চিটাগাং নিউমার্কেটের পাশের এক রেস্তোরায়।
হেফাজতী ইসলাম সহ সকল শরীকরা কিভাবে লং মার্চ আগাবেঃ

এইখানে লং মার্চের দুইটা প্ল্যান আছে। প্ল্যান ১ আর ২, এই দুইটা প্ল্যান পুরো সাজিয়েছে জামাত নেতা রফিক ও সেলিম। ষড়যন্ত্রকারীরা জানে যে সরকার এই মার্চে বাঁধা দিতে পারে সে কারনে শুরু থেকেই তারা চেয়েছে মূল ব্যাক্তি আল্লামা শফিকে তারা ঢাকায় নিয়ে আসবে এবং এইখানে একটা জমায়েত তারা বৃহস্পতিবার [মার্চ-৪] থেকেই করবে। যদি কোন কারনে আল্লামা শফিকে চট্রগ্রাম থেকে না আসতে দেয় তাহলে তারা ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে সেন্ট্রাল ঢাকার একটা অংশে তান্ডব চালাবে। জামাতের লোকেরাই জামাতের কিছু তরুন নেতাদের খুন করবে, কিছু মাদ্রাসা পুড়িয়ে দিবে। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত আবদুল আলীম কে হিট করবার জন্য তারা এরই মধ্যে পাকিস্তান থেকে স্নাইপার এনেছে। এই ঘটনাটা ঘটিয়ে দিতে পারলেই জামাত দেখাতে পারবে যে এই ট্রাইবুনালে আটক যারা তারা নিরাপদ নয় এবং এই বিচার পুরাই প্রহসন। চট্রগ্রামে ইনিশিয়ালী সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবে আব্দুর রহমান চৌধুরী এবং এম এ হাসেম খান। এরা দুইজনই সাকার অত্যন্ত কাছের লোক এবং পুরা ব্যাপারটাই এরা শুরু থেকেই তদারকি করছে নিভৃতে। হেফাজতী ইসলাম সহ সব দল বিভিন্ন এলায় মোট ১৫৬ টা টিম বানিয়েছে। এরা বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও থানা থেকে লং মার্চের সাথে যোগ দিবে। মূলত এই দলটি ঢাকাতে ঢুকার সাথে সাথেই এদের মধ্যে ১৫ টি ইউনিট শুরু করবে তান্ডব। খুলনাতে একটা গ্রুপ নাস্তিক সেজে কোরান শরীফ পুড়িয়ে দিবে এবং এই ঘটনার জের ধরে হিন্দুদের মন্দির ভাঙচুর হবে। এসবের জের ধরে ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে একদল হানা দিয়ে পুরো কারাগারে পাগলা ঘন্টী বাজিয়ে দিবে। একাত্তর টিভি, প্রথম আলো কার্যালয় সহ অন্যান্য ভবনে এদের একটা ইউনিট এটাক করবে বলে খবর আছে।

মূলত কি উদ্দেশ্যে এই লং মার্চ?
আসলে প্রাথমিক ভাবে এক নূরে আলম হামিদীর অনৈতিক কার্যকলাপের জের ধরে যদিও হেফাজতী ইসলাম এই ব্যাপারটিকে তাদের উপর আক্রমণ হিসেবে নিয়েছে পরবর্তীতে এই তথাকথিত ইসলামী দলটি টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায় এবং জামাত ও সাকার পরিবার পুরো ব্যাপারটিকে একেবারেই যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাবার কৌশল হিসেবেই শুধুমাত্র টাকার জোরে সব কিছু কিনে নেয়। অতি সংক্ষেপে এই আন্দোলনকে শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাবার আন্দোলনই বলা যেতে পারে, অন্য কিছু নয়।

ভালো বউ খোঁজার সূত্র

সম্প্রতি জেনেভা স্কুল অব বিজনেসের গবেষকরা দাবি করেছেন, তারা আদর্শ পাত্রী খুঁজে বের করার গাণিতিক সূত্র উদ্ভাবন করেছেন।
গবেষকদের মতে, আদর্শ গৃহিণী হতে হলে কনেকে বরের চেয়ে কমপক্ষে পাঁচ বছরের ছোটো হতে হবে। আদর্শ গৃহিণী খুঁজে দীর্ঘস্থায়ী পারিবারিক জীবনযাপন করতে হলে বর-কনের বয়সের পার্থক্য হতে হবে কমপক্ষে পাঁচ বছর এবং তারা একইরকম পারিবারিক সংস্কৃতি থেকে উঠে আসতে হবে এবং মেয়েকে ছেলের তুলনায় বেশি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হতে হবে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, আদর্শ পরিবার গঠনের উদাহরণ হিসেবে ডিউক অব এডিনবরা এবং রানীর কথাটি বলা যায়। এ ক্ষেত্রে ডিউক এবং রানীর বয়সের পার্থক্য প্রায় ৫ বছরের। গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপীয় গবেষণা সাময়িকী ‘অপারেশনাল রিসার্চ’-এ। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, সুখী এবং দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্যে সামাজিকতার বিষয়গুলো গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেয়েদের শতকরা ১৭ ভাগ বেশি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হতে হবে এবং পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে কমপক্ষে একটি বেশি ডিগ্রিধারী হতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে ফর্সা মেয়েদের তুলনায় শ্যামলা, উজ্জ্বল শ্যামলা কিম্বা কালো রং এর মেয়েরা স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের বেশী ভক্তি করে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে স্বাস্থ্যবতী মেয়েরা শান্ত শিষ্ট ও ধর্য্যশীল হয় আর ক্ষীন স্বাস্থ্যের মেয়েরা খিটখিটে মেজাজের হয়। জানা গেছে, যে পাত্রীরা তুলনামূলক আলজেবরায় ভালো, তারা সাংসারিক দুঃখ সুখ শেয়ারিং এ ভালো, আর যারা পাটীগণিতে ভালো তারা কিছুটা স্বার্থান্বেষী ধরণের হয়। আর জিওমেট্রিতে ভালো যারা, তাদের লোভ বেশী থাকে। আর, যাদের গলার স্বর চিকন থাকে, তারা বেশ লাজুক ধরণের হয়, সুরেলা কন্ঠের অধিকারীরা স্বাধীনচেতা, এবং অল্প কিছুদিনে একঘেয়েমীতে ভোগে, মোটা কন্ঠের অধিকারীরা কিছুটা রাগি এবং গম্ভীরভাবের হয়। অনেকাংশে তাদের মন ভালো হয়ে থাকে, অনেক সময় থাকে না। এছাড়াও, যেসব মেয়েরা খুব সামান্য কিছুতেই ভয় পায়, বা নোংরা দেখে খুব বেশী রিআ্যাক্ট করে এবং নাক সিঁটকায়, তাদের সাথে সম্পর্কের আগে বেশ ক’বার ভাববেন! কারণ তারা, বেশ আহ্লাদী এবং ডোমিনেটিং স্বভাবের হয়। যারা খুব বেশি খুতখুতে, কাপড় কেনার সময়, ইউনিকনেস এবং দামী হওয়া যা কিনা স্ট্যটাস সিম্বলের প্রতীক, তাদের ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের সাথে মানবে কিনা, ভালো করে একবার ভেবে দেখবেন এ সব নিয়ম মেনে বিয়ে করলে শতকরা ২০ ভাগ সংসার সাধারণের তুলনায় বেশিদিন টিকে থাকার সম্ভাবনা থাকে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, বিয়ে বিষয়টি অনেকটাই টিম ওয়ার্ক এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের বিষয়। তবে একজন আরেক জনের ওপর বেশি আধিপত্য দেখাতে গেলেই সর্বনাশ ঘটতে পারে।

জামায়াত ও সালাহউদ্দিন কাদেরের টাকায় হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ!

হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ জামায়াতে ইসলামি ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের টাকায় হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম টুইটারে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সম্পর্কিত একটি লেখা ‘বাংলাদেশ অবজারভার ডট ওয়ার্ডপ্রেস ডটকম’ থেকে টুইটারের একাধিক অ্যাকাউন্টে শেয়ার দেওয়া হয়েছে। ওই লেখায় বলা হয়েছে, প্রথমে হেফাজতে ইসলাম তাদের এক কর্মীকে বাঁচাতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও পরে তারা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায়। জামায়াত ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার হেফাজতে ইসলামকে ৮০ থেকে ৮৫ কোটি টাকা দেয়। আর তাদের এই সমঝোতা, লেনদেন ও পরিকল্পনার জন্য বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান- অনুযায়ী, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর কৌশল হিসেবেই লংমার্চ দেয় হেফাজতে ইসলাম। একইসঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আবদুল আলীমকে হত্যা, কারাগারে পাগলা ঘণ্টা বাজানো, মাদ্রাসার প্রায় ১০০ ছাত্রকে হত্যা এবং শাহবাগে হামলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এ লেখাটি টুইটার থেকে সংগ্রহ করা হলেও সংশি¬ষ্ট কোনো সূত্র থেকে এ ধরনের তথ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
লেখাটিতে বলা হয়, জামায়াতের ইমেজ যখন নানাভাবে ক্ষুণ্ন হয়ে যায়, তখন দলটি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে একটি চ্যানেল খুঁজছিল। এরই মধ্যে গত ২২ ফেব্রুয়ারি হেফাজতে ইসলামের লন্ডন শাখার কর্মী ও ব্রিটিশ নাগরিক শেখ নূরে আলম হামিদী শাহবাগে অনৈতিক কাজ করায় (মেয়েদের আপত্তিকর স্থানের ছবি তোলা ও ভিডিও করায় এবং ছেলেদের সিগারেট খাওয়ার ছবি তোলায়) গ্রেপ্তার হন। বিষয়টি নিয়ে সরকারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল হেফাজত। এদিকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় শোনার পর থেকে সাকা চৌধুরীর ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে তার পরিবার। সাকার ব্যাপারে বিএনপি নেতাদের মুখ থেকে পজেটিভ কথা বলানোর চেষ্টা করে। বিএনপি থেকে সাকার সম্পর্কে স্ট্যাটমেন্ট বের করার জন্য সাকার ছেলে ফাইয়াজ ও হুম্মাম প্রাণপণ চেষ্টা চালান। এজন্য এম কে আনোয়ারকে ৪৫ লাখ টাকাও দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আলতাফ হোসেনকেও টাকা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি তা নেননি। কিন্তু এ দুজন নেতা খালেদা জিয়ার কাছ থেকে সাকার ব্যাপারে পজেটিভ কিছু বের করতে ব্যর্থ হন। একই কারণে সাকার স্ত্রী ফারহাত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সাফ ‘না’ বলে দেন।

এ অবস্থায় মার্চের প্রথম সপ্তাহে সাকার কাছের লোক মাওলানা আবদুর রহমান চৌধুরী সাকার বড় ছেলে ফাইয়াজ কাদেরের কাছে .....
বাকিটুকু পড়ুনঃ Click This Link


সহজে ২/৩ ঘন্টা সময় ব্যয় করে আয় করুন ১০ হাজার টাকা...

ইন্টারনেট এ ইনফরমেশন বিক্রয় করে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারেন যে কেউ।
এই নেটওয়ার্ক কে মার্কেটিং-এর কাজে লাগানো যেতে পারে।

সারাদেশ ব্যপী কিছু অতি প্রয়োজনীয় , নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি
ডাইরেক্ট সেলিং করে অথবা ডাইরেক্ট সেলার বা রিটেইলার তৈরী করে
প্রতি মাসে খুব সহজেই আয় করতে পারেন ৮ থেকে ১০ হাজার বা এরও অধিক টাকা।

পড়াশোনার পাশাপাশি, যে কোনো চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি যে কেউ ঘরে বসে আয় করতে পারেন এই সম্মানি।

প্রজেক্ট এক.
প্রোডাক্ট কিনে নিয়ে ডিষ্ট্রিবিউটর হিসেবে রিটেইলারদের কাছে সেল করা।

প্রজেক্ট দুই.
ডিষ্ট্রিবিউটার তৈরি করে কমিশন পাওয়া।

প্রজেক্ট তিন.
নিজেই ডাইরেক্ট সেলার হওয়া বা অধিক মুনাফা করা।

প্রজেক্ট চার.
ইনফরমেশন আদান , প্রদান এবং প্রতিদিন এক শতাধিক ই মেইল করে প্রতি মাসে ৩-৫ হাজার টাকা আয় করা।

প্রজেক্ট পাঁচ.
ডাটা কালেকশন এবং ইনফরমেশন লিটল সোর্স হয়ে আয় করা।
( প্রজেক্ট পাঁচ এর মূল কাজ হচ্ছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা আর প্রয়োজনে তথ্য দিয়ে লাভবান হওয়া।)
১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ।

প্রজেক্ট ছয়.
গার্মেন্টস আইটেমের কোয়ালিটি চেকার হিসেবে কাজ করা।
( পার্টটাইম জব। ৪-৫ ঘন্টা কাজ করে ২০০ টাকা।)

প্রজেক্ট সাত.
৫০০০ টাকা বেতন ভিত্তিক কন্ডিশনাল জব।
প্রতিদিন ২ ঘন্টা , সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৮ টা। ডাইরেক্ট সেলিং।

প্রজেক্ট আট.
রানার জব।
স্যাম্পল নিয়ে পার্টিদের কাছে পৌছে দেয়া।
যেমন নারায়নগঞ্জ থেকে উত্তরা একটি টি শার্ট পৌছে দেয়া।
প্রতিদিন-১৫০ টাকা।

প্রজেক্ট নয়.
মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে কমিশন ভিত্তিক পার্ট টাইম জব করা। নিটিং ওয়েল , নিটিং নিডল সেল করা।

প্রজেক্ট দশ.
রিসার্চার
প্রতি প্রজেক্ট রিসার্চ ৩ দিন।
৫০০ টাকা।

নামায না পড়ার শাস্তি

যারা নামায পড়েনা তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক পনেরটি আজাব নির্দিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন। পনেরটি আজাবের মধ্যে ছয়টি দুনিয়ায়, তিনটি মৃত্যুর সময়, তিনটি কবরের মধ্যে, তিনটি হাশরের মধ্যে দেয়া হইবে।
#দুনিয়াতে ছয়টি আযাব
১, তাহার জীবনে কোনরূপ বরকত হইবেনা।
২, আল্লাহ্ তার চেহারা হইতে নেক লোকের চিহ্ন উঠাইয়া লইবেন।
৩, যে যাহা কিছু নেক কাজ করবে, তাহার ছওয়াব পাইবেনা।
৪, তাহার দোয়া আল্লাহ্ পাকের নিকট কবুল হইবে না।
৫, আল্লাহ্ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তাহার উপর অসন্তুষ্ট থাকবে।
৬, ইসলামের মূল্যবান নেয়ামত সমূহ হইতে বঞ্চিত করা হইবে।

#মৃত্যুর সময় আজাব তিনটিঃ

১, অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হইয়া মৃতু্যবরণ করিবে।
২, ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করিবে।
৩, মৃত্যুকালে তাহার এত পিপাসা পাইবে যে, তাহার ইচ্ছা হইবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান করিয়া ফেলিতে।

#কবরের মধ্যে তিনটি আজাবঃ
১, তাহার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তাহার এক পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে মিলিত হইয়া চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইবে।
২, তাহার কবরে, দিনরাত্রি সবসময় আগুন জ্বালাইয়া রাখা হবে।
৩, আল্লাহ্ তাহার কবরে একজন আজাবের ফেরেশ্তা নিযুক্ত করিবেন। তাহার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে, দুনিয়ায় কেন নামায পড় নাই। আজ তাহার ফল ভোগ কর। এই বলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হইতে জোহর পর্যন্ত, জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিব হইতে এশা পর্যন্ত এবং এশার নামাযের জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। প্রত্যেক বার আঘাতের সময় বজ্রপাতের মত শব্দ হইবে এবং শরীর চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া পঞ্চাশ গজ মাটির নিচে চলিয়া যাইবে। সেই ফেরেশ্তা পুনরায় তাহাকে জীবিত করিয়া হাড় মাংস এক করিয়া আবার আঘাত করিতে থাকিবে। এই ভাবে কিয়ামত পর্যন্ত লোহার মুগুর দিয়া তাহাকে আঘাত করতে থাকবে।

#হাশরের মাঠে তিনটি আজাবঃ
১, একজন ফেরেশতা তাকে পা উপরের দিকে এবং মাথা নিচের দিকে অবস্থায় হাশরের মাঠে লইয়া যাইবে। আল্লাহ পাক তাহাকে অনুগ্রহের দৃষ্টিতে দেখবেন না। সে চির কালের জন্য দোযখী হইয়া নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে থাকবে।

নবী করিম (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে আট শ্রেণীর লোকের উপর কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক অসন্তুষ্ট থাকবেন। তাহাদের মুখের আকৃতি অত্যন্ত কুশ্রী ও ভীষণাকার হইবে। হাশরের মাঠে প্রত্যেক ব্যক্তি তাহাদিগকে দেখিয়া ঘৃণা করিবে।
এই কথা শুনার পরে সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! সে সমস্ত লোক কাহারা?
নবী করীম (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বললেন —১, জ্বেনা-কারী ২, অবি-চারক বাদশাহ্ বা হাকিম। ৩, মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান। ৪, সুদখোর ৫, পর-নিন্দাকারী ৬, অন্যায়কারী এবং অত্যাচারী ৭, মিথ্যা সাক্ষীদাতা। ৮ বে-নামাযী।
ইহাদের মধ্যে বে-নামাযীর শাস্তিই বেশী হইবে। বে-নামাযীকে আগুনের পোশাক পড়াইয়া শিকলে বাঁধিয়া আগুনের কোড়া মারতে থাকবে। বেহেশত তাহাকে বলতে থাকবে তুমি আমার দিকে অগ্রসর হইওনা। দোযখ তাহাকে বলবে আমি তোমার জন্যই অপেক্ষা করছি। তোমার দ্বারা আমার পেটের ক্ষুধা নিবারণ করব। এই বলিয়া দোযখ তাহার জিহ্বা বাড়াইয়া ভিতরে নিয়া যাইবে।

নবী করীম (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, জাহান্নাম দোযখের মধ্যে লমলম নামে একটি কুপ আছে। উহা অসংখ্য সাপ বিচ্ছুতে ভর্তি। প্রত্যেকটা সাপ একটি পাড়ের সমতুল্য এবং একটা বিচ্ছু হাতির সমতুল্য হইবে। সেই সমস্ত সাপ বিচ্ছু সব সময় বে-নামাযীকে কামড়াইতে থাকিবে, একবার কামরাইলে সত্তর বৎসর পর্যন্ত তাহার যন্ত্রনা থাকিবে এবং কাহারও মৃত্যু হইবে না।

আল্লাহু আকবার!!!
কি ভয়ংকর!!!
হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে পাঁচওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন আর আমাদের সবাইকে এইসব ভয়ংকর আজাব থেকে রক্ষা করুন, এবং আমাদের সবাইকে বিনা হিসাবে জান্নাত নসীব করুন.........আমীন.........

সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৩

কারো আপনজন যেন না হারায় এই রাজতন্ত্র দখলের খেলায় ।

রাজতন্ত্র জিন্দাবাদ।শেখ বংশের রাজকন্যা অথবা জিয়া বংশের রাজমাতা যার হাতেই ক্ষমতা থাকুক পাব্লিক খুশি ,কিন্তু প্রতিবার ৫ বছর পর পর নতুন নাটকের মোহরা হয় । মনে আছে আর্মি ক্ষমতা নেবার আগে কি হয়েছিল ।হাজার ন্যাক্তা করে রাস্ট্রপতিকে বানানো হল তত্বাবধায়ক প্রধান। ইস্যু আর পাল্টা ইস্যু খেলার পর সংলাপ সংলাপ খেলা এর সাথে জাতীয় ডাইলগ পেয়েছিলাম আমরা "রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই ।"মাইনেস ২ প্লাস ১ ,বিকল্প ধারা,ইউনুস আরও কত কি ।২০১৩ এবার শুরু হলো নিবাচন কিভাবে হবে তা নিয়ে ,তারপর যুদ্ধঅপরাধী ইস্যু , তারপর গন জাগরন ,তারপর গনজাগরনে হালকা ভাটা এরপর হেফাজতে ইসলাম সবই এই সময় ! কেনরে ভাই যুদ্ধঅপরাধী বিচার কি আরও আগে শুরু করা যেত না বা ইসলামকে হেফাজত করতে একটু আগে মাঠে নামা যেত না ? কিন্তু না সব এই সময়েই হতে হবে তবে যাই হোক আমি চাই ---শেখ বংশের রাজকন্যা অথবা জিয়া বংশের রাজমাতা যে কোন একজনের হাতেই থাকুক ক্ষমতা। কেননা ক্ষমতা পরিবতনের নামে ইরাক,লিভিয়া,সিরিয়া,আফগানস্তানের কি অবস্তা হয়েছে তা সবার জানা ।তাই রাজতন্ত্র জিন্দাবাদ। আমরা চাকরি করবো ব্যাবসা করবো রাতে ফিরবো কর্মক্ষেত্র থেকে চায়ের আড্ডায় বলবো ছি ! সরকারি দল এটা কি করলো ?ছি ! সরকারি দল এটা কি করলো ? ছি ! বিরোধী দল এটা কি করলো ?শুধু আল্লাহর কাছে প্রাথনা একটাই কারো আপনজন যেন না হারায় এই রাজতন্ত্র দখলের খেলায় ।

সব কথা মুখে বলতে হয়না!!

ইসলাম ও মুসলিম : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

আদম শুমারীর হিসেব-নিকেষ বলছে আমাদের এই দেশ-বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্টদের দেশ অর্থাৎ দেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলিম (১০০জনে প্রায় ৯০জন)। আমাদের স্রষ্টা প্রদত্ত আকল বা জ্ঞান বলছে কোন দেশ যদি মুসলিম প্রধান দেশ হয় তবে স্বাভাবিকভাবেই সে দেশে আল্লাহ্’র সার্বভৌমত্ব এবং দ্বীন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকার কথা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশের মুসলিম নামধারী শাসক আর শাসিতদের দ্বীনের অবস্থা এতটাই নাজুক যে, মুসলিম দাবী করার পরও সমাজ বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সালাত কায়েম নেই, যাকাত আদায় হচ্ছে না আর সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় পারিবারিক ও উত্তরাধিকার সম্পর্কিত মুসলিম আইনের আংশিক প্রয়োগ ব্যতীত সকল ক্ষেত্রে ইসলামী আইন-বিধান অনুপস্থিত। প্রকৃতপক্ষে নামধারী ৯০% মুসলিমের মধ্যে অধিকাংশই ব্যক্তিগত সালাত, সিয়াম, হজ্জ, যাকাত প্রভৃতি ইবাদাতের বাইরেও ইসলাম যে কিয়ামত পর্যন্ত সমগ্র মানব জাতির জন্য ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে একটি চির আধুনিক যুক্তিগ্রাহ্য পরিপূর্ণ দ্বীন-জীবন ব্যবস্থা সে সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণাই রাখেন না।
অপ্রিয় হলেও সত্য যে, কাগজে কলমে বাংলাদেশ এখন একটি সেক্যুলার দেশ (গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙালী জাতীয়তাবাদ এই রাষ্ট্রের মৌলনীতি)। আবার এ কথাও বলা হয়ে থাকে যে এটি প্রায় ৯০% মুসলমানের দেশ, এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। এই সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী দুই উপাধির মাঝে সমন্বয় সাধন করতে গেলে যে চিত্রটি ফুটে উঠে, তাই আসলে আমাদের দেশের বাস্তব অবস্থা। নামধারী ৯০% মুসলমানের দেশকে সেক্যুলার করা সম্ভব হয়েছে সুদীর্ঘ সময় ধরে শুদ্ধ ইসলামিক জ্ঞানের চর্চা থেকে দেশের মানুষকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছিন্ন রাখার সুচিন্তিত পরিকল্পনা সফল হওয়ায়। অন্যদিকে, একইসাথে দেশের মানুষ তথাকথিত ধর্মভীরু হওয়ায় যে কোন ব্যবসা বা মতবাদ, তা ইসলামের সাথে যতটা সাংঘর্ষিকই হোক না কেন ইসলামিকভাবে প্যাকেট করে বাজারজাত করা হলে তাতে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া যায় নিশ্চিতভাবে। ফলশ্রুতিতে এখন শূন্য (ক্ষেত্রবিশেষে মাইনাস) জ্ঞান নিয়েও যে টপিক নিয়ে উদ্দাম আলোচনায় মত্ত হওয়া যায় তা হল ইসলাম। জেনে, বুঝে, দল নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলাম পালন করার চেষ্টা এখন নিতান্তই ক্ষুদ্র, ব্যক্তিগত উদ্যোগের মাঝে সীমাবদ্ধ। আর সেই সাথে যে কোন ধরণের বিভ্রান্ত মতবাদ প্রচার করার জন্য বাংলাদেশ এখন উত্তম Fishing Ground-এ পরিণত।
এমতাবস্থায় যখন দেখি খুব কাছের মানুষগুলো অনুরূপ কোন কৌশল/প্রচেষ্টার ফাঁদে পা দিয়ে ঈমান হারাচ্ছে (In the eye of ALLAH), অথচ তা উপলব্ধিও করতে পারছে না, তখন যে প্রবল কষ্টের অনুভূতি হয়, তার তাড়না থেকেই এই লেখার অবতারণা। একজন মুসলিম এই দুনিয়ায় তার ক্ষণস্থায়ী আবাসকালে সবকিছু হারাতে পারে অর্থ, খ্যাতি, সন্তান, সংসার। কিন্তু যা কখনো হারায় না বা হারাতে পারে না, তা হলো জীবনের উদ্দেশ্য (Goal)। কি করছি, কেন করছি-এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকালে, যে কোন পরিস্থিতিতেই সে অবিচল থাকতে পারে । এই অবিচলতা তাকে এনে দেয় অনাবিল মানসিক প্রশান্তি। শান্তির এই বিষয়টি ইসলামের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। অপরপক্ষে যখন ঐশী জ্ঞানের পূর্ণাংগ চিত্রের সাথে সে সম্পূর্ণ ভাবে অপরিচিত থাকে, তখন নানা অতৃপ্তি, হাহাকার তাকে পেয়ে বসে। শান্তির খোঁজে যে কোন কিছুকেই অবলম্বন করতে সে দ্বিধাবোধ করে না। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের অবস্থাই এখন এমন।
“আসলে সকল ধর্মের মর্মকথা একই, পার্থক্য শুধু অভিব্যক্তিতে বা বাহ্যিক প্রকাশে বা Rituals-এ” এই কথা যদি সত্যি হত, তবে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মিশনের কোন প্রয়োজনই ছিল না। মক্কার পৌত্তলিকরা সবাই আল্লাহ’কে মানতো। আবু জাহেল, আবু লাহাব সবাই আল্লাহ’য় বিশ্বাস করতো কথায় কথায় আল্লাহ’কে নিয়ে শপথ করতো। কিন্তু তবু আমরা তাদের কাফির ও মুশরিক বলে থাকি এবং কাফির ও মুশরিকদের সাথে কিছুতেই মুসলিমদের নির্বিচার প্রেম-প্রীতি মেলামেশা যে সম্ভব নয়, সে কথা পবিত্র কুরআনের বহু আয়াতে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বহু হাদীসেও মুসলিমদের সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।
আমাদের বাংলাদেশের মানুষের নিকট ইসলামের ব্যাখ্যা আর আরবদের ইসলামের ব্যাখ্যা এক না। ইসলামের রাজনৈতিক জন্ম ও বিকাশ আরব ভুখন্ডে। এর কারণ আরবীয়রা সবসময়ই ইসলামকে দুনিয়া এবং আখিরাত এই দুই স্বার্থের অনুকূল দ্বীন হিসাবেই গন্য করেছে। রাজনীতি যেহেতু পার্থিব স্বার্থের বিষয় তাই তাদের ব্যাখ্যাতে রাজনীতি ইসলাম-এর জরুরী অঙ্গ। দুনিয়াবী (পার্থিব) স্বার্থে ইসলাম-এর ব্যবহার আরবীয়দের কাছে বক ধার্মিকতা না, কিন্তু আমাদের কাছে বক ধার্মিকতা। এর কারণ আমাদের ‘ধর্ম’ শব্দটা সম্পর্কে ধারণা। আমাদের প্রায় সকলের ধর্ম চর্চার প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে পার্থিব স্বার্থ ত্যাগ করে নির্মোহ হয়ে উঠা। আমাদের প্রায় সকলের কাছে ইসলাম মানে মাসজিদ, দরগাহ আর খানকার চার দেয়ালের মাঝে সীমাবদ্ধ ইবাদাত-বন্দেগী সমৃদ্ধ একটা ধর্ম। যে কারণে আমরা নাবী-রাসুলগণকে উপস্থাপন করি পার্থিব স্বার্থহীণ আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু হিসাবে। আরবদের কাছে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি একজন রাজনৈতিক নেতা, আদর্শ সফল রাষ্ট্রনায়ক, অন্যদিকে আমাদের কাছে তিনি হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অপার্থিব জ্ঞানসম্পন্ন মহাপুরুষ। আমাদের বাংলাদেশের ইসলামে কি তাইলে রাজনীতি নাই? আলবৎ আছে। তবে সেই রাজনীতি এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সেক্যুলার, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী রাজনীতির সাথে একাকার হয়ে গেছে, তার ধারাবাহিক বিকাশ হয়ে গেছে। একটা উদাহরণ দিলেই বাংলার মুসলমানদের রাজনীতির ধরনটা বুঝতে পারবেন: ফকির মজনু শাহ, মুসা শাহ কিংবা করিম শাহ এর রাজনীতি হলো বাংলার মুসলমানদের রাজনীতি যেটিকে পলিটিক্যাল ইসলাম বলার উপায় নাই। কারণ মজনু শাহ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে হিন্দু মুসলিম ঐক্যের চেষ্টায় রানী ভবানির কাছে যেই চিঠি লিখছিলেন তাতে স্পষ্ট দেখা যায় যে, তিনি হিন্দু রানীকে নিজের শাসক মেনে নিয়েছেন। আবার করিম শাহ এবং তার ছেলে টিপু শাহ যেই পাগলা তরিকা এবং রাজনীতি করেছে ব্রিটিশ রাজ ও জমিদারদের বিরুদ্ধে তাতে দেখবেন যে, হিন্দু, মুসলিম, আদিবাসী একাকার হয়ে গেছে এবং এদের ধর্ম বিশ্বাসও মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। অন্যদিকে আবার মীর নিসার আলী তিতুমীর ছিলেন পলিটিকাল ইসলামিস্ট, তিনি আরব থেকে এটা শিখে এসেছিলেন। মজনু শাহ কিংবা করিম শাহ ব্রিটিশরা বিধর্মী খ্রিষ্টান, তাগুত বলে তাদের বিরোধীতা করেন নি, করেছেন তাদের শোষন-বঞ্চনার কারণে। কিন্তু তিতুমীর ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করতে গিয়ে তাদের শাসনকে তাগুতী-কুফরী শাসন ব্যবস্থা বলে চিহ্নিত করেছেন এবং সেই সুবাদে এর বিরোধীতা করেছেন।
কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশে মুসলিমদের নিকট সবচেয়ে প্রিয় ও সম্মানিত গ্রন্থ কুরআন শরীফ-এর অবমাননা করা নিয়ে অনেক কিছুই হলো। মানুষের ঘর পুড়লো। মুর্তি ভাঙা হলো। যারা ঘর পুড়িয়েছেন তাদেরকে যেমন গ্রেফতার করা হয়েছে তেমনি কুরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগেও লোকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কুরআন শরীফ-এর অবমাননা ঠিক কিভাবে, কোন কোন কারণে হয় বিষয়টা বুঝা দরকার। আমরা কুরআন শরীফ শব্দটা শুনলে আমাদের চোখের সামনে যেই দৃশ্যটা চোখে ভেসে উঠে তা হলো- ঘরের উঁচু কোন নিরাপদ স্থানে রাখা মোটা একটা আরবী বই। যে বইটা বেশিরভাগ সময় একটা মোটা কাভার বা গিলাফে মোড়ানো থাকে। বাঙালি মুসলমানের ঘরে বইটা থাকে, কাভারে মোড়ানো, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই ধুলি জমা। নিতান্তই প্রয়োজন ছাড়া পড়া হয় না বিধায়, ধুলো-ময়লা কাভারে/গিলাফে লাগে, কুরআনের গায়ে লাগে না, তাই এর অবমাননা হচ্ছে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমার মতো অধিকাংশ বাংলাদেশিই আরবী বুঝেন না, যদিওবা অনেকেই আরবী বানান করে, সুর করে পড়া শিখেছেন, তাও আবার কুরআন খতম দিয়ে লক্ষ-কোটী সওয়াব লাভের আশায়, কিন্তু অর্থ শিখেন নাই। অর্থ জানলে কী কল্যাণ হবে সে সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে শেখার তাকিদও নাই। অর্থ ছাড়াই ভাষা শিক্ষার মতো আজব একটা বিষয় বাংলাদেশের বাঙালি মুসলমানদের কালচারে আছে, আর আরবী ভাষায় কুরআন শিক্ষা এর মাঝে অন্যতম। ভাষা জ্ঞান না থাকার কারণে আমাদের জীবনে এর দাবী আর গুরুত্ব আমরা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হচ্ছি। কুরআনকে সংবিধান-সমাজ ও রাষ্ট্র্র পরিচালনার আইন-বিধান সম্বলিত গ্রন্থ জ্ঞান করে মধ্যযুগে আরব দুনিয়ায় নানান রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি হয়েছিলো। এইসব রাষ্ট্রে কুরআন বলতে মোটা কাভার/গিলাফে মোড়া মোটাসোটা আরবী বই ভাবা হতো না। এইসব রাষ্ট্রে কুরআন ছিলো আল্লাহ’র জীবন্ত বাণী, শরীয়াহ’র ভিত্তি, আল্লাহ প্রদত্ত আইন-বিধান সম্বলিত গ্রন্থ। বাংগালী অধ্যুষিত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র কুরআনকে অদ্যবধি সংবিধান হিসাবে গ্রহণ করে নাই। এর কারণ, কাগজ-পত্রে মুসলিম পরিচয় উপস্থাপন করে গর্ববোধ করলেও আমাদের সিংহভাগই মূলতঃ পশ্চিমা সেক্যুলার ভাবাদর্শে উজ্জিবিত। মুসলিম পরিচয়ে সেক্যুলার ভাবাদর্শ গ্রহণে আমাদের তেমন কোন সমস্যাও হয় নাই। কারণ বাঙালি মুসলমানের কালচার পীর-মুর্শিদ নির্ভর কালচার। অপ্রীতিকর হলেও সত্য যে, মানুষের মুখের বাণী এবং আল্লাহ’র মুখের বাণীর ফারাক চিন্তা করার মতো লোক আমাদের দেশে কখনোই খুব বেশি ছিল না। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ আমাদের দেশে তাই মানুষের লেখা সংবিধান রাষ্ট্রের ভিত্তি হওয়ায় বাঙালি মুসলমানের কোন সমস্যা হয় নাই। তবে আজব ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মুসলিম নামধারী জনগণ সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় কুরআনকে গ্রহণ না করলেও তা পুরোপুরি বর্জন করে নাই। কুরআনকে অন্তত কাভারে/গিলাফে পেচানো মোটা কাভারের পবিত্র একটা বই হওয়ার মর্যাদা দিয়েছে, যা অযু অবস্থায় হাত দিয়ে ধরতে হবে, মাটিতে পরে গেলে বা পা লাগলে সালাম করতে হবে, কপালে ঠেকিয়ে চুমু দিতে হবে এবং মাঝে মাঝে না বুঝে তোতাপাখির মতো তা আবৃতি করতে হবে। কেউ যদি এই গ্রন্থটিতে পা লাগায়, ফেসবুকে লাথি দেয়ার ছবি দেয় অথবা পুড়িয়ে দেয় বা ফেসবুকে পোড়ানোর ছবি দেয় তাহলে এই গ্রন্থটির অবমাননা হয়েছে এমনটা বাঙালি মুসলমানরা ধরে নিয়েছে। কিন্তু আল্লাহ পাকের সুস্পষ্ট নির্দেশ থাকার পরও কুরআনকে সংবিধান হিসাবে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানানোতে কুরআনের কোন অবমাননা হয় না এমন একটা বাড়তি সুবিধা বাংলাদেশ রাষ্ট্র দিয়ে থাকে।
কুরআন যদি রাষ্ট্রে আল্লাহ প্রদত্ত আইন-বিধান তথা সংবিধান হয়ে উঠে তবে সেই রাষ্ট্রে কোন নারী রাষ্ট্রপ্রধান/প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, দুর্নিতীবাজ, লুটেরা, মুনাফিক, দুশ্চরিত্র লম্পট, বেঈমান প্রমুখ ব্যক্তিরাও রাষ্ট্রপ্রধান/প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। কুরআনকে তাই মুসলিম নামধারী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আল্লাহ প্রদত্ত আইন হিসাবে সংবিধানের মর্যাদা দিতে রাজি না। তাদের দলের লোকজনও এতে রাজী হবেন না। এরা যেহেতু সবাই পুজিবাদী সমাজে বস্তুবাদী ধ্যান-ধারণা নিয়ে বাস করে, তার সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে, সূদ নির্ভর অর্থনীতি যেহেতু তাদের শাসক শ্রেণী প্রতিষ্ঠিত করেছে তাই কুরআনকে আল্লাহ প্রদত্ত আইন হিসাবে সংবিধান এর মর্যাদা দেয়া সম্ভব না, সেটা তাদের শ্রেণী চরিত্র বিরোধী হবে। মধ্যবিত্ত বাঙালি মুসলমানদের মাঝেও তার শাসকশ্রেণীর এই চরিত্র বর্তমান। এমনকি তাদের প্রতিনিধিত্বকারী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোও এই একি চরিত্র বহন করে। কারণ মুখে এরা কুরআনকে আল্লাহ প্রদত্ত সংবিধান হিসাবে স্বীকৃতি দিলেও নাজায়েয নারী নেতৃত্ব মেনে নেয়, মানুষের সার্বভৌমত্বভিত্তিক গণতান্ত্রিক পদ্ধতির রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে।
আমাদের দেশের নামধারী মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে- পশ্চিমের কাছে তাদের মানসিক দাসত্ব। তারা ইসলাম শিখতে চায় পশ্চিম থেকে, গণতন্ত্রও পশ্চিম থেকে শিখতে চায়, আবার প্রগতিশীলতাও। তাদের মতে ইসলাম থাকে মদিনায়, মদনগঞ্জে ইসলাম নাই। সুতরাং মদনগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে মাদনীনগর অথবা রসূলপুর রাখলে সেখানে ইসলাম চলে আসবে। তাই একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধের পরে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের দেশে আল্লাহ প্রদত্ত কুরআন সংবিধানের পরিবর্তে মানব রচিত সংবিধানই জাতির মানুষ মেনে নিয়েছিলো। ফলাফল একাত্তুরের আগে উপনিবেশ, পরে নয়া উপনিবেশ। উপনিবেশ আমাদের তাবৎ গোজামিল, অবক্ষয়, নোঙরামি আর সুবিধাবাদী সমঝোতা এবং ঐক্যমতের মূল ভিত্তি। উপনিবেশের কারণে আমাদের ইসলাম মদিনায় থাকে আর প্রগতিশীলতা থাকে ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স বা সোভিয়েত রাশিয়ায় এবং কারো কারো জন্যে আমেরিকায়।
বাংলাদেশে কি কখনও ইসলামকে রাজনৈতিক ভিত্তিতে প্রতিষ্টিত করা হয়েছে? -পুরোপুরি উপনিবেশিক ব্যবস্থার উপরে বসে আছে পুরো সমাজ – সেখানে ইসলামকে রাজনীতির অনুসংগ হিসাবে দেখার কি কোন সুযোগ আছে? কার্যত এখনও বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক আর সংস্কৃতিক নেতৃত্বে আছে উপনিবেশের দাসরা – যারা তাদের মগজের ভিতরে দাসত্বকে ধারণ করে আছে। যাকে আমরা বাঙালী সংস্কৃতি বলে চালানো চেষ্টা করছি – তাতো শুধু পশু-পাখির মুখোশ পড়ে প্রভাত ফেরী আর ১লা বৈশাখ উদযাপনের মাঝেই আটকে আছে।
ইসলাম পার্থিব এবং পরলৌকিক বিষয়গুলোকে সমান গুরুত্ব দিয়েছে। যদিও বাংলাদেশের মিলাদ আর জানাযা নির্ভর ইসলাম চর্চার কারণে আমরা হয়তো সেটুকু জানার সুযোগ পাচ্ছি না। কুরআনের ২য় সুরা বাকারা’র ২য় লাইনেই গায়েবের (অদেখা বিষয়ের) উপর ঈমান আনার কথা বলার পরই বলা হয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়ের কথা। অথচ আফসোস – দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া – সেলফে রাখা কুরআন খুলিয়া।
আমাদের দেশের অধিকাংশ আলেম যারা মানুষের শত্রুতার ভয়ে অথবা তাদের চাকরী চলে যাওয়ার ভয়ে অথবা রুটি-রুজিতে আঘাত আসার ভয়ে অথবা শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জুলুম নির্যাতনের শিকার হওয়ার ভয়ে কিংবা নিজেদের সামাজিক অবস্থান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে জাতির মানুষকে প্রকৃত ঈমান-ইসলামের দাওয়াত দেন না আর তাগুত ও র্শিকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোন আন্দোলন দুরে থাক স্পষ্ট করে কোন কথাই বলেন না। আবার একশ্রেণীর পোষা আলিম আছেন যারা র্শিক-বিদ’আত বলতে মাজার-কবর-তাবিজের বাইরে কিছু দেখতে পান না। মূর্তি পূজা, কবর-মাজারে সিজদাহ্ করা অবশ্যই র্শিক। কিন্তু অজ্ঞতার কারণে মানুষের তৈরী মূর্তির পূজা, অন্ধ আবেগে মৃত মানুষের কবর-মাজারে সিজদাহ্ দেয়াকে যারা র্শিকে আকবর বলে অভিহিত করে থাকেন, অথচ আল্লাহ্দ্রোহী শক্তির আইন-বিধান প্রনয়ণের ক্ষমতা ও তা মান্য করাকে র্শিক বলে আখ্যায়িত করেন না এবং মূর্তি পূজারী, মাজার পূজারীকে মুশরিক মনে করেন, কিন্তু তাগুতী শক্তি তথা মানব রচিত আইনের প্রণেতা, রক্ষক ও অনুসারীদের র্শিককারী-মুশরিক মনে করেন না, তারা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্’র কিতাব কুরআন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাহর প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে পারেননি। যদ্বারা বুঝা যায় ঈমানদার দাবী করা সত্বেও তারা ইসলামকে পরিপূর্ণরূপে গ্রহণ করেননি। দুনিয়াবী স্বার্থ ক্ষুন্ন হওয়ার ভয়ে যারা কুরআন ও সুন্নাহর ফায়সালা জানা থাকা সত্বেও তদনুযায়ী আমল (কাজ) করেন না, তাদের সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
“হযরত বুরাইদা (রাযিআল্লাহু আনহু) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “তিন ধরনের বিচারক রয়েছে। এক শ্রেণী জান্নাতে যাবে এবং দু’শ্রেণী জাহান্নামে যাবে। যে জান্নাতে যাবে সে ব্যক্তিতো এমন, যে হক্বকে (সত্যকে) জানার পর তদনুযায়ী বিচার-ফয়সালা করবে। পক্ষান্তরে যে বিচারক হক্বকে হক্ব হিসেবে জানার পরও স্বীয় বিচার-ফয়সালায় জুলুম করবে সে জাহান্নামে যাবে। আর যে ব্যক্তি অজ্ঞতাবশতঃ হক্বের জ্ঞান ছাড়াই ভুল বিচার করবে সেও জাহান্নামে যাবে।” [আবু দাউদ-অনুচ্ছেদ/৩৮৬-হা/৩৫৩৫-ই.ফা.বা, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, তিরমিযী]
মহান রব্ব আল্লাহ্ সুস্পষ্ট ভাষায় ফরমান জারী করে দিয়েছেন-
“নিশ্চয়ই আল্লাহ্’র নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।” (সূরা আল ইমরান ৩:১৯)
অর্থাৎ ইসলামকে মহান রব্ব আল্লাহ্ মনোনীত করলেন একমাত্র গ্রহণযোগ্য দ্বীন-জীবন ব্যবস্থা হিসেবে। অর্থাৎ কি ব্যক্তিগত জীবনে, কি সামাজিক জীবনে বা রাষ্ট্রীয় জীবনে সকল ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা (SYSTEM) হিসেবে আল্লাহ্’র নিকট গ্রহণযোগ্য হচ্ছে একমাত্র ইসলাম। তাই যদি কেউ নিজস্ব ধ্যান-ধারণাপ্রসূত কোন বিষয়কে ইসলামের বিকল্প বা পরিপূরক হিসেবে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তবে সে স্পষ্টতঃই পথভ্রষ্টদের দলে শামিল বলে গণ্য হবে। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের জিম্মাদারী থেকেও সে/তারা সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে যাবে। কারণ, আল্লাহ্ রাব্বুল ইয্যত সুষ্পষ্ট ঘোষণা করেছেন-
“যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন-জীবন ব্যবস্থা তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।” (আল ইমরান ৩:৮৫)
আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, যারা সমাজ ও রাষ্ট্রের মানুষ ঈমানে আছে না শিরকে, ইসলামে আছে না জাহিলিয়্যাতে, সেদিকে তাদের কোন দৃষ্টিপাত করেন না। অথচ তাদের মধ্যে কেউবা ডাকেন জিহাদের দিকে, কেউবা ডাকেন ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের দিকে, কেউবা ডাকেন খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার দিকে। তাদের কর্মকান্ড দেখে মনেই হয় না যে কুরআনে এরূপ কোন আয়াত আছে:
“যে ব্যক্তি আল্লাহ্’র সাথে কাউকে শরীক করেছে তার ওপর আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার আবাস হবে জাহান্নাম। আর এ ধরনের জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।” (সূরা মায়িদাহ ৫:৭২)
“যদি তুমি র্শিক করো, তাহলে তোমার আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং তুমি হবে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত।” (সূরা যুমার ৩৯:৬৫)
“কিন্তু যদি তারা কোন র্শিক করে, তাহলে তারা যত আমলই করুক না কেন তা ধ্বংস হয়ে যাবে।” (সূরা আনআ’ম ৬:৮৮)
সুতরাং দেখা যাচ্ছে আল্লাহ্’র নিকট আমাদের কোন কাজ কবুল হওয়ার এবং তাঁর নিকট হতে বিশেষ সাহায্য পাওয়ার মূল শর্তই হচ্ছে পরিপূর্ণ তাওহীদ গ্রহণ করা অর্থাৎ বিশ্বাস বা কর্মে র্শিক মুক্ত থাকা।
অতএব, শুধু সমালোচনা নয়; দেশে শান্তি চাইলে, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সন্তুষ্টি হাসিল করতে চাইলে আমাদের এ অমূল্য জিন্দেগীকে নশ্বর দুনিয়ার পদতলে সঁপে না দিয়ে আল্লাহ্ প্রেরিত মহামানব, উম্মতের কাণ্ডারী, হিদায়াতের ঝাণ্ডাধারী, বিশ্বশান্তির প্রবর্তক, তাগুতী শক্তির মূল্যেৎপাটনকারী, মূর্তি ধ্বংসকারী, সূদ-ঘুষ, মদ-জুয়া,,যেনা- শরীয়ত এবং প্রদর্শিত পথে পরিচালিত করতে হবে। কারণ, মুসলমানদের ঈমানে আজ যে ভাইরাস আক্রমণ করেছে তার জন্য কার্যকর একমাত্র এন্টিবায়োটিক হচ্ছে আল-কুরআন ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাহ্। তাই আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে কুরআন এবং সুন্নাহ্ মোতাবেক চলার তাওফিক দিন। আর নিজ নিজ ঈমানী ভাইরাস দূর করে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ কর্তৃক মনোনীত সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রচারিত মহাসত্য “মানুষের নয়, সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহ্’র” গ্রহণের মাধ্যমে ঐক্য গঠন এবং তাঁর আদর্শ অনুসরণে মানব জাতির জন্য কল্যানকর একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজের সময় ও অর্থ কুরবানী করার মাধ্যমে তাঁর ক্ষমাপ্রাপ্তদের দলে কবুল করে নিন। আমীন! ইয়া রাব্বাল আ’লামীন।

ব্লগারদেরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাল্টা প্রতিরোধে নামা জরুরী

কোন কমিউনিটিই তার স্বাধীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে না যদি সেই কমিউনিটি তার সাধারণ সদস্যদের নিরাপত্তা বিধান করতে না পারে, রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের হাত থেকে তাদেরকে মুক্ত করতে না পারে বা মুক্ত করার সংগ্রামটা জারি না রাখে। সন্দেহ নেই আর সব কমিউনিটির মতো ব্লগারস কমিউনিটির মধ্যেও বিভিন্ন আদর্শ উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে ভিন্নমত, বিভেদ, দলাদলি ইত্যাদির অস্তিত্ব আছে এবং এগুলো থাকবে। এর মধ্যেও একটা বটম লাইন ঠিক করে ব্লগাররা দল-মত নির্বিশেষে এক হতে পারে, ব্লগারদের উপরে বিভিন্ন ব্যাক্তি গোষ্ঠী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের চালানো আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারে। বাংলা ব্লগের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, জাতীয় স্বার্থ, অসাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে এরকম একটি বটম লাইন ঠিক করা যেতে পারে যার স্বপক্ষের সমস্ত ব্লগাররা ঐক্যবদ্ধ হয়ে, দল-মত-ব্যাক্তিগত বিভেদ ইত্যাদি ভুলে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করবে।
বতর্মানে আমরা এমন একট সময় পার করছি যখন ব্লগাররা বিভিন্ন ব্যাক্তি/গোষ্ঠী/রাষ্ট্রের আক্রমণ, নিপীড়ন ও অপপ্রচারের স্বীকার। ব্লগারদেরকে মতপ্রকাশের জন্য কোপানো হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ইচ্ছা মত অপপ্রচার হচ্ছে, তাদেরকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে দাগী আসামীর মতো রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে এমনকি তাদের ফাসীর দাবীতে লংমার্চ মহাসমাবেশ পর্যন্ত হচ্ছে। এরকম একটা ক্রান্তিকালীন সময়ে আক্রান্ত ব্লগারের দোষ-গুণ, ভালো-মন্দ খুজে বেড়ানো বা তাকে নিয়ে বিদ্যমান দলাদলির কাদা ঘাটাঘাটির বদলে হুমকী আক্রমণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যাপক হৈ চৈ প্রতিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন সংগ্রাম করতে না পারলে যে কোন ব্লগার যে কোন সময়ে স্রেফ তার লেখার জন্য মত প্রকাশের জন্য আক্রান্ত হবে, নিপীড়িত হবে। এভাবে একজন দুইজনকে মেরে, গ্রেফতার করে, নির্যাতন করে পারে পেয়ে যেতে যেতে একসময় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে – ও, এরা তো ব্লগার, এদেরকে তো চাইলেই মারা যায়, হুমকী দেয়া যায়, গ্রেফতার করা যায়, রিমান্ডে নেয়া যায়। এরকম একটা ধারণা/বাস্তবতা একবার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে তখন কিন্তু সর্বনাশ হয়ে যাবে।

আক্রমণ কারী ব্যাক্তি/গোষ্ঠী/প্রতিষ্ঠান/রাষ্ট্রকে যদি এই বার্তাটা দিয়ে দেয়া যায় যে- মতপ্রকাশ বা লেখালেখির জন্য ব্লগারদের যে কাউকে গ্রেফতার-নির্যাতন করলে, আক্রমণ করলে বা আক্রমণের হুমকী দিলে তার বা তাদের অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি শুরু করে দেবে ব্লগাররা (সরকারকে বাধ্য করার মধ্যে দিয়ে এবং অন্যান্য কমিউনিটির সহযোগীতা সাথে নিয়ে), কেবল তখনই ব্লগারদের আক্রমণ বা আক্রমণের হুমকী দেয়ার সাহস পাবে না কেউ। এর জন্য সবার প্রথমে ব্লগারদের নিজেদের মধ্যে হুমকী ধামকীর চর্চা বন্ধ করতে হবে, সেই সাথে যে কোন ব্লগারের উপর হুমকী ধামকিকে গোটা কমিউনিটির স্বাধীন অস্তিত্বের উপর হুমকী হিসেবে বিবেচনা করে অন্যান্য কমিউনিটির সাথে পারস্পারিক সহযোগীতার মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার। আর এই কাজে প্রভাবশালী, প্রথিত যশা ব্লগার/অনলাইন এক্টিভিষ্টদের দ্বায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। এই বিষয়ে ব্লগাররা যে মাঠে নাই বা প্রতিবাদ করছেন না তা নয়, ব্লগারদের গ্রেফতার কিংবা আক্রমণের প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই অনেক ব্লগার মাঠে নেমে এসেছেন, মিছিল সমাবেশ করেছেন, লেখালেখি করেছেন এবং এখনও করছেন। কিন্তু সকলের অংশ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে যে ব্যাপক মাত্রায় এটা হওয়া দরকার তা এখন পর্যন্ত হয় নি।

ব্লগারদের থেকে ভিন্ন ধরণের একটি কমিউনিটির উদাহরণ থেকে আমরা এ ব্যাপারে ধারণা নিতে পারি। সাধারণ ভাবে শ্রমিকরা এবং বিশেষত বর্তমান সময়ে গার্মেন্টস শ্রমিকরা কেমন করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বা করার চেষ্টা করে?সাধারণত তাদের পক্ষে রাষ্ট্র নাই, মালিক নাই, সুশীল সমাজও নাই- বলতে গেলে তারা ছাড়া তাদের পক্ষে আর কেউ ই থাকে না বরং তাদেরকে শোষণ করবার, নিপীড়ন করবার ব্যাক্তির/গোষ্ঠীর অভাব নাই। ব্লগারদের এখনও এরকম খারাপ অবস্থা হয় নাই। তো, কোন এলাকার বা কারখানার গার্মেন্টস শ্রমিকরা যখন শোনে তাদের কোন সহকর্মীকে নিপীড়ন করা হয়েছে, আক্রমণ করা হয়েছে, ছাটাই করা হয়েছে বা ছাটাই করার হুমকী দেয়া হয়েছে, তারা কিন্তু তখন সেই আক্রান্ত শ্রমিককে নিয়ে দলাদলিতে লিপ্ত হয় না, সেই শ্রমিকের উপর চালানো জুলুমের বিরুদ্ধে শুধু সেই নির্দিষ্ট কারখানাই না, গোটা এলাকার প্রায় সমস্ত কারখানা থেকে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসে। এর মাধ্যমে যে গার্মেন্টস শ্রমিক শোষণ, নিপীড়ন বন্ধ হয়ে গেছে তা না, বিদ্যমান রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় তা হওয়া সম্ভবও নয়, যে কোন ইস্যুতেই তারা দাবী দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামলেই নিপীড়িত হয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিপীড়ন ততটুকুই বন্ধ করা গেছে, যতটুকু সেই কর্মক্ষেত্র ও তার আশপাশের শ্রমিকরা তার বিরুদ্ধে তোলপাড় করতে পেরেছে। এটা না করতে পারলে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের সার্বিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো। বস্তুত, আজকে ইউরোপে শ্রমিক সহ সাধারণ মানুষের জন্য ন্যূনতম যে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা রয়েছে, তা কিন্তু এরকম অসংখ্য যৌথ আন্দোলন সংগ্রামেরই ফল।

বাংলাদেশে বর্তমানে কয়েক লক্ষ ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট রয়েছেন। এই ক্রান্তিকালে ব্লগারদের গ্রেফতার নির্যাতন আক্রমণ হুমকী ধামকি অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ভার্চুয়াল অ্যাক্টিভিজমের পাশাপাশি ব্লগারদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমে আসার এখনই চূড়ান্ত সময়। চারিদেকে অন্ধকারের শক্তির সাথে যে আপোষ আতাত ষড়যন্ত্রের খেলা চলছে, অন্ধকারের শক্তির প্রদর্শনী চলছে, তার বিরুদ্ধে এখনই ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাল্টা শক্তি প্রদর্শন করতে না পারলে কমিউনিটি হিসেবে স্বাধীন শক্তিশালী অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকতে পারবো না আমরা ব্লগাররা।

শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৩

whom are real ???



Hafajote Islam are kando ???


পৃষ্ঠাসমূহ