রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১২

ইউরোপে মুসলমানদের অধিকার লঙ্ঘন


ইউরোপীয় দেশগুলোতে মুসলমানদের প্রতি অবিচার, বৈষম্য ও বর্ণবাদী আচরণ নতুন কোন বিষয় নয়। তবে নতুনত্ব হলো, সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোন কোন ইউরোপীয় দেশে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, মুসলমানদের ব্যাপারে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে যে আবহ তৈরি করা হচ্ছে তা মোটেই ঠিক নয়। এখানে আমরা এ বিষয়ে আলোচনার প্রয়াস পাবো। 
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে বলেছে, মুসলমানদের সম্পর্কে যে সব নেতিবাচক ধারণা ছড়ানো হচ্ছে তা প্রতিহত করার জন্য ইউরোপীয় সরকারগুলোর আরো বেশি চেষ্টা চালানো উচিত। এ প্রতিবেদনে বিশেষভাবে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, হল্যান্ড, স্পেন ও সুইজারল্যান্ডের মুসলমানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, এসব ইউরোপীয় দেশে মুসলমানদের মসজিদ নির্মাণের ওপর কঠোর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে এবং মুসলিম নারীদের হিজাব বা মাথায় স্কার্ফ পরতে বাধা দেয়া হচ্ছে।

অ্যামনেস্টির গবেষণা কর্মকর্তা মার্কো প্রোলিনি এ প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেছেন, "ইউরোপের দেশগুলোতে স্কার্ফ পরিহিত মুসলিম নারীদের চাকরি দেয়া হচ্ছে না। মুসলিম মেয়েদেরকে শুধুমাত্র তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে বহু স্কুলে ভর্তি করা হচ্ছে না। যে সব মুসলিম পুরুষ দাড়ি রেখেছেন, তাদের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য।" অ্যামনেস্টির এ বিশেষজ্ঞ আরো বলেছেন, "ইউরোপের সরকারগুলির পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতারা মুসলমানদের সঙ্গে এ বৈষম্যমূলক ও অন্যায় আচরণ প্রতিহত করার পরিবর্তে উগ্রপন্থী ভোটারদের কাছে টানার জন্য মুসলিম বিদ্বেষী আচরণকে প্রশ্রয় দেন।" প্রোলিনি বলেন, "ইউরোপীয় দেশগুলো বাক ও ধর্মীয় স্বাধীনতার যে শ্লোগান দেয়, তারই ভিত্তিতে নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পোশাক পরার অধিকার মুসলমানদের রয়েছে। এ ছাড়া, বিশ্বের প্রতিটি ব্যক্তির ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকার রয়েছে।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়েছে, "বেলজিয়াম, ফ্রান্স ও হল্যান্ডের মতো দেশগুলোর সরকারি অফিস-আদালত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মীয় কারণে বৈষম্যমূলক আচরণ না করার যে বিধান রয়েছে তা ঠিকভাবে মানা হয় না। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা নির্বিঘ্নে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কারণে কর্মচারীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ ও দুর্ব্যবহার করেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইউরোপীয় দপ্তরের পরিচালক মার্কো প্রোলিনি এ সম্পর্কে বলেছেন, "এ ব্যাপারে কর্মক্ষেত্রে সবার জন্য একই রকম পোশাক বা বেশভূষার যে অজুহাত তোলা হয়, তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্ণবাদ বিরোধী আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।"

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় দেশগুলোতে বহু বছর ধরে মুসলমানদের সঙ্গে বিদ্বেষী ও সহিংস আচরণ করা হচ্ছে এবং দিন দিন এ অবিচার বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুঃখজনকভাবে ইউরোপের মানবাধিকার সংস্থাগুলো ওই মহাদেশের বাইরের দেশগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা খুঁজে বেড়ায়। বিশেষ করে যে সব দেশের সরকার পশ্চিমা দেশগুলোর সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরোধী সে সব দেশকে বিশেষভাবে টার্গেট করে এ সব মানবাধিকার সংস্থা। কিন্তু অ্যামনেস্টির আলোচ্য প্রতিবেদন থেকে বোঝা যায়, ইউরোপীয় দেশগুলোর মুসলমানরা এত বেশি নির্যাতিত ও নিগৃহিত হচ্ছেন যে, লন্ডনভিত্তিক এ মানবাধিকার সংস্থাটি নিজের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথিত রক্ষকদের আসল চেহারা তুলে ধরতে বাধ্য হয়েছে।

ব্রিটেনের ইসলামী মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মাসুদ শাজারেহ ইউরোপের কোন কোন দেশে মুসলমানদের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ সংক্রান্ত অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন সমর্থন করে বলেছেন, "মুসলমানদের পাহাড়সম সমস্যার খানিকটা হলেও তুলে ধরার জন্য আমরা এ প্রতিবেদনকে স্বাগত জানাই। সেইসঙ্গে আমরা এও মনে করি অ্যামনেস্টি অনেক দেরি করে এটি প্রকাশ করেছে এবং এর ভাষা অনেক নমনীয়।" তিনি আরো বলেন, "প্রকৃতপক্ষে ইউরোপে এর চেয়ে অনেক বেশি নির্যাতিত হচ্ছেন মুসলমানরা। চাকরির ক্ষেত্রে বর্ণবাদী আচরণ বা শিক্ষাক্ষেত্রে স্কার্ফ পরা মেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ না দেয়া এখন মুসলমানদের জন্য মামুলি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তারা এর চেয়ে অনেক ভয়ানক সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।"

লন্ডনের ইসলামী মানবাধিকার কমিশনের প্রধান বলেন, "ইউরোপের মুসলিম জনগোষ্ঠী ও তাদের মসজিদের ওপর হামলার ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। দুঃখজনকভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়ার লজ্জাজনক কাজে পশ্চিমা সরকারগুলো জড়িত রয়েছে। পশ্চিমা সরকার ও গণমাধ্যম এখন এ বিষয়টি সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়ার চেষ্টা করছে যে, মুসলমানরা এসব দেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক।" মাসুদ শাজারেহ যেমনটি বলেছেন, ইউরোপে ইসলাম বিদ্বেষী আচরণ বর্তমানে নিছক বৈষম্যমূলক আচরণের চেয়ে অনেক বেশী গভীরে চলে গেছে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও হিংসার আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে।"

মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের দাবানল ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি সম্প্রতি আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। ফ্রান্স সরকার গত কয়েক বছর ধরে মুসলমানদের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপের বিষয়টিকে আইনি রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে। ফ্রান্সকে অনুসরণ করে আরো কিছু ইউরোপীয় দেশ মুসলিম বিদ্বেষী আইন তৈরি করেছে। এসব দেশের ডানপন্থী ও উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো ইসলাম বিদ্বেষী শ্লোগানের ক্ষেত্রে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ফ্রান্সের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোযি সাম্প্রতিক নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থীদের ভোট পাওয়ার জন্য অভিবাসী ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি মুসলমানদের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোতে হালাল গোশতের বিস্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করে আবারো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এ ধরনের গোশত বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিশ্রুতি দেন। এর অর্থ হচ্ছে, ইউরোপের মুসলমানরা এখন নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী খাবার খাওয়ার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন।
ইউরোপীয় সরকারগুলোর পাশাপাশি এসব দেশের গণমাধ্যম মুসলমানদের সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরার মাধ্যমে এসব দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট থেকে মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। অথচ ইউরোপীয় পুলিশ সংস্থা বা ইউরো পোলের বার্ষিক প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, এ মহাদেশের সন্ত্রাসী ততপরতাগুলোতে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা মাত্র দুই ভাগ মুসলমান নামধারী। বাকি ৯৮ ভাগ অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। এদের মধ্যে বর্ণবাদী ও মুসলিম বিদ্বেষী গোষ্ঠী রয়েছে প্রচুর। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, ইউরোপ জুড়ে অপরাধী কার্যক্রমে মুসলমানরা অত্যন্ত নগণ্য সংখ্যায় জড়িত থাকার পরও এসব দেশের গণমাধ্যম এমন একটি আবহ তৈরি করেছে যে, সব অপরাধ যেন মুসলমানরাই করছে।

মাসুদ শাজারেহ এ সম্পর্কে আরো বলেছেন, "ইউরোপে যখনই কোন বিদ্বেষী ও ঘৃণা বিজড়িত প্রচারণার ঝড় উঠেছে, তখনই সেখানে পৈশাচিক গণহত্যা চালানো হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বিরুদ্ধে এবং ১৯৯০ এর দশকে বসনিয়ার মুসলমানদের বিরুদ্ধে এ ধরনের গণহত্যা লক্ষ্য করা গেছে। বর্তমানেও মুসলমানদেরকে একটি ঘৃণিত জাতি হিসেবে তুলে ধরার জন্য পাশ্চাত্যের রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যম সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইউরোপের বিগত দিনের ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের প্রচেষ্টা সত্যিই ভয়াবহ।" লন্ডনের ইসলামী মানবাধিকার কমিশনের প্রধান আরো বলেন, 'আমরা এমন একটি পৃথিবীতে বসবাস করছি যেখানে কিছু কৃষ্ণাঙ্গ বা ইহুদি কিংবা খ্রীস্টানের সঙ্গে সামান্য দুর্ব্যবহার করা হলেই তা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে হৈ চৈ পড়ে যায়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে মুসলমানদের ওপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালানো হলেও তা নিয়ে কেউ কথা বলে না।' 
তিনি আরো বলেন, 'ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হাতে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর ব্যাপারে তেমন কোন হৈ চৈ হয়নি। মার্কিন পাদ্রী কর্তৃক ইসলাম অবমাননার প্রতিকার চেয়েও কোন মানবাধিকার সংস্থাকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।' এ সবই ইউরোপের কথিত গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী। ইউরোপীয়রা যে গণতন্ত্রের কথা বলে সেখানে মানবাধিকার ও মানুষের মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন আসলে মুসলমানদের মানুষ বলেই গণ্য করা হয় না। ঠিক এ কারণেই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনটি অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালেই থেকে গেছে। 

বিশ্বব্যাংকের ঋণে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্রয়: দুর্নীতি করে ভারতীয় কোম্পানিকে কাজ দেয়ার অভিযোগ


বিশ্বব্যাংক প্রথমে যোগ্যতা না থাকার কথা বলেও পরে সেই ভারতীয় কোম্পানিকেই কাজ দেয়ার কথা বলল। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও ২ কোটি শিশুর জন্য ১০ কোটি ভিটামিন এ ক্যাপসুল কেনার কাজে ভারতীয় কোম্পানি OLIVE HEALTH CARE কে মনোনয়ন দেয়ায় গত ৩১ মে আপত্তি করেছিলো বিশ্বব্যাংক । এখন ভারতীয় লবিং এর চাপে বিশ্বব্যাংক নিজের আপত্তি প্রত্যাহার করে শেষ পর্যন্ত সেই প্রতিষ্ঠানকেই ভিটামিন এ কেনার কাজ দিতে বলেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও যথারীতি ভারতীয় কোম্পানিকেই কাজটি দিয়েছে। এ ঘটনায় সরকারের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। 

Health Sector Development Program নামের একটি প্রকল্পের আওতায় ১০ কোটি ভিটামিন এ ক্যাপসুল কেনার দরপত্র আহবান করা হয় গত ১২ ডিসেম্বর। dgmarket.com এর আর্কাইভ থেকে দেখা যাচ্ছে G-1190: Procurement of: Vitamin-A Capsule নামের এই টেন্ডারটিতে মনোনয়ন পেয়েছে OLIVE HEALTHCARE নামের ভারতীয় একটি কোম্পানি যার সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ ২৮/০৬/২০১২ তারিখে। 

প্রাথমিক ভাবে ভারতীয় কোম্পানি অলিভ হেলথ কেয়ারকে মনোনিত করার সময়ই প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি কানাডার ব্যানার ফার্মা বিশ্বব্যাংকের কাছে অনিয়মের অভিযোগ তোলে। অভিযোগ হলো প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও সার্টিফিকেশান না থাকা স্বত্ত্বেও অলিভ হেলথ কেয়ারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংক প্রথমে আপত্তি জানালেও ভারতীয় কোম্পানি অলিভ হেলথ কেয়ার ও তার স্থানীয় এজেন্ট মোসার্স জনতা ট্রেডার্স এর দৌড় ঝাপে এখন কার্যাদেশ দেয়ার কথা বলছে।

পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুসারে: 

"মেসার্স অলিভ হেলথ কেয়ারকে মনোনীত করার প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রতিদ্বন্দ্বী কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান ব্যানার ফার্মা করপোরেশনের বাংলাদেশের এজেন্ট এসএস সায়েন্টিফিক করপোরেশন বিশ্বব্যাংকের কাছে অভিযোগ করে। এর ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংক প্রয়োজনীয় কাজপত্র পরীক্ষা করে দেখতে পায়, এ কাজের জন্য যেসব যোগ্যতার প্রমাণপত্র জমা দেওয়া দরকার এর সব অলিভ হেলথ কেয়ারের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয়নি। এমনকি অবশ্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ কার্য-অভিজ্ঞতা ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি সার্টিফিকেটও ওই প্রতিষ্ঠানটি জমা দেয়নি। বিষয়টি তুলে ধরে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিস গত ৩১ মে সিএমএসডির পরিচালক বরাবর আপত্তি জানিয়ে চিঠি পাঠায়। পরে নাইজেরিয়ায় ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল সরবরাহের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র এবং দরপত্র দাখিলের প্রায় ছয় মাস পরের তারিখে (৭ জুলাই ২০১২) ইস্যু করা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি সার্টিফিকেট জমা দেয় অলিভ হেলথ কেয়ার। কিন্তু বিষয়টি যথাযথ না হওয়ার কথা বলে বিশ্বব্যাংক ১৮ জুন ও ২৫ জুন পৃথক চিঠি দেয় সিএমএসডিকে। তবে ২৮ জুন দেওয়া চিঠিতে বিশ্বব্যাংক রহস্যজনকভাবেই তাদের অবস্থান পাল্টে ফেলে ভারতীয় অলিভ হেলথ কেয়ারকে কার্যাদেশ দেওয়ার জন্য সিএমএসডির কাছে সুপারিশ করে। আর সিএমএসডি ঠিক ওই দিনই (২৮ জুন) জরুরি ভিত্তিতে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কার্যাদেশ দেয়। কার্যাদেশ অনুসারে প্রতিষ্ঠানটি ১৫ কোটি ৫৭ লাখ ১৮ হাজার টাকায় দুই ধরনের মোট ১০ কোটি পিস ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল সরবরাহ করবে সরকারকে।
এই কার্যাদেশকে অবৈধ দাবি করে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট এসএস সায়েন্টিফিক করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী ফয়েজ আহম্মেদ গত ১১ জুলাই হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দেন। এর ভিত্তিতে কেন ওই কার্যাদেশকে অবৈধ ঘোষণা করা বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এ মর্মে সরকারের প্রতি রুলনিশি জারি করেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিচারপতি মো. হাবিবুল গণির যৌথ বেঞ্চ।"


ভারতীয় বা কানাডীয় কোম্পানি বুঝি না, আমার প্রশ্ন দেশীয় কোম্পানিকে দিয়ে কেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল উৎপাদন করানো হচ্ছে না। কেন ভারতীয় বা কানাডার কোম্পানির কাছ থেকে এইসব ঔষধ কিনতে হবে- যখন শিশুর অন্ধত্ব কমানোর উদ্দেশ্যে যে ঔষুধ খাওয়ানো হয় সেই ঔষধ খেয়ে উল্টো শিশুর মৃত্যু ও অসুস্থতার খবর পাওয়া যায় প্রায়ই:

ফরিদপুরে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে শতাধিক শিশু অসুস্থ 

ভিটামিন এ ও কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে অসুস্থ প্রায় ৪‌'শ শিশু 

নরসিংদীতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে শিশু সোনিয়ার মৃত্যু 

মুন্সীগঞ্জে ১ শিশুর মৃত্যু 


বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টরের সুনাম সারা দুনিয়া ব্যাপি। দেশীয় ঔষুধ কোম্পানি গুলো বিদেশেও ঔষধ রপ্তানি করে। তাছাড়া সরকারি এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি যেখানে লাভজনক ভাবে সুনামের সাথে সরকারি হাসপাতালের ৮০ ভাগ ঔষধ সহ ১১৬ টিরও বেশি ঔষধ উৎপাদন করছে, সেখানে কেন ভিটামিন ক্যাপসুল সেই ৭০ দশক থেকেই
কানাডার ব্যানার ফার্মার কাছ থেকে আমদানী করা হচ্ছে আর কেনই বা এখন দেশীয় কোম্পানির বদলে অখ্যাত ভারতীয় কোম্পানির হাতে সেই ঔষধ সরবরাহের ভার তুলে দিয়ে ২ কোটি শিশুকে ঝুকির মুখে ফেলা হচ্ছে?

জলছবি



যখন রাতের আঁধার মাত্র এসে ধরনীকে ছুঁয়ে দেয়
তখনো চাঁদের রূপালী মোহ ছড়ায়নি
নরম ঘাসের বুকে শিশির কনা জমে ওঠেনি।
রাতের চারপাশে কখনো নক্ষত্র কখনো শূন্যতা
মাঝে মাঝে গাছের পাতায় বেজে ওঠে বিষাদের সুর।
তখন দূর থেকে ভেসে আসে কারো পদধ্বনি
আমি কান পেতে শুনি।
শত কোলাহল ভেদ করে আমাকে স্পর্শ করে যায়...
জোৎস্নার হাত ধরে হেঁটে যাই শান্ত দীঘির বুকে
জলের কোলে কোমল ছায়া আমার
তুলির আঁচরের জলছবি আমি। 

মাঝে মাঝে রাতের অন্ধকারে হেটে যেতে ইচ্ছে করে অজানা কোন গন্তব্যে
ইচ্ছে করে জগতের যতো হিসেব নিকেশ চুকিয়ে হারিয়ে যাই আমি।

একদিন হারিয়ে যাবো ঐ নক্ষত্রদের ভিড়ে
যতো ভুল আমার 
যতো চাওয়া পাওয়া 
অভিমানি স্বপ্নের ঝরে যাওয়া
সব তোমাদের চারপাশে মিশে থাকবে 
আমি নক্ষত্র হয়ে দূরের সীমানা পারি দিব।

এখানে সবাই কবি।

এ মাটি বড় উর্বর মাটি-
বর্ষণে, কর্ষণে নিত্যই সোনা ফলে।
এ মাটি কবি আর কবিতার জন্যও উর্বর।
এখানে কবিদের মাথায় কাব্য ফলে;
নর্দমার ব্যঙ্গাচীর মত-
মৌচাকের মৌমাছির মত-
পদ্মার ইলিশের ঝাঁকের মত-
বন হরিনের পালের মত-
নদীর স্রোতের মত-
আকাশের তারার মত, বেশুমার।

এখানে সবাই কবি।
বাবরী চূল ঝাঁকিয়ে-
সূরা সিক্ত গলা খেঁকিয়ে-
অদ্ভুতোচ্চারণে মুখ বেঁকিয়ে-
নিরানন্দ জীবনের ছন্দহীন সংলাপে;
এখানে সবাই কবি।

এখানে প্রেম না জানা যুবকও কবি;
পথহারা পথিকও কবি;
গঞ্জিকাসেবীও কবি,
পঞ্জিকাপাঠকও কবি-
সিন্দুক আগলে রাখে যে জন, সেও কবি-
বন্দুক বহে যে জন, সেও কবি-
এখানে সিংহাসনে বসেও কবিতা লেখা যায়।
এখানে বিশ্ববেহায়াও কেবলমাত্র মাটির গুণেই,
হ্যাঁ, উর্বর এ মাটির গুণেই কবি বনে যায়!
এ কেবল উর্বর মাটিরই গুণ।

মিয়ানমারের মুসলমানদের উপর হিংস্র বৌদ্ধদের সহিংস হামলার কিছু দৃশ্য + ১৮


মিয়ানমারের মুসলমানদের উপর হিংস্র বৌদ্ধদের সহিংস হামলার কিছু দৃশ্য + ১৮
 


আউটসোর্সিংয়ে প্রতারণায় জড়িত ৫২ টি ওয়েবসাইট কে চিহ্নিত করা হয়েছে....

দেশে আউটসোর্সিং ও অনলাইন আয়ের নামে প্রতারণা করছে এমন ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্ণিত করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। একইসাথে এ ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য সাতটি প্রতিষ্ঠানের তালিকা সরবরাহ করেছে তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশে প্রতিনিধিত্বকারী এই সংগঠনটি।সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে কোনো অর্থ বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। শ্রম ও মেধাই এক্ষেত্রে সম্বল। তবে অনলাইনে আয়ের নামে যারা প্রতারণা করছে তারা সদস্য ফরম পূরণ থেকে শুরু করে সদস্য সংগ্রহে কমিশন পর্যন্ত চালু করেছে তা কোনোভাবেই আউটসোর্সিংয়ের সংজ্ঞায় পড়ে না।তারপরও এ বিষয়ে দেশের সম্ভাবনাময়ী তরুণ প্রজন্মের সরলতা এবং অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে বেশ কিছু ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করছে। দেশের যুবসমাজকে প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা করতে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।তবে প্রতারনার সাথে জরিত নেই এমন ওয়েবসাইট গুলো হল:
তালিকা অনুযায়ী যারা আইটিতে দক্ষ এবং আউটসোর্সিংয়ে কাজ করতে আগ্রহীদের তারা ঘরে বসে আয় করতে চাইলে oDesk.com, Freelancer.com, vWorker.com, Elance.com, GetACoder.com, ScriptLance.com, ThemeForest.net, GraphicRiver.net এবং ActiveDen.com ওয়েব সাইট ভিজিট করতে পারেন।
******************
অপরদিকে প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে Dolancer.com, Bdfreelancing.com, skylancers.com, skywalker.com, lancetech.com, adssourcing.com, newsheraton.com, visionaddworld.com, makegem.com, googleaddclick.com, newsherasion.com, diggnity.com, quickearns.com, workfordollar.com, adverview.com, airypal.com, clocksnetwork.com, midds.org, adslink-bd.com, eyelancer.com, alertpayclick.com, microbiz.com, adzzon.com, uniquelancer.com, ptcbank.net, bestelance.com, freedesklancer.com, intadfoendation.com, paradiseusainc.com, earningsip.com, skywalkerltd.com, uniqsot.com, microclicker.com, onlineaddclick.com, onlinenet2work.com, esource.com.bd, bdsclickcenter.com, scamadviser.com, eclixsense.com, foxclicks.com, allictsolution.com, world4earn.com, dreamkite.com, megatypers.com, minutelancer.com, 3gclick.com, affaritrack.com, clixworld.com, microlancer.com, orkit-net.com ও freelancerit.net থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ইরানের সক্ষমতা ও নারীর স্বাধীনতা !

যখন থেকে কিছু কিছু বুঝার চেষ্টা করছি তখন থেকেই পশ্চিমা শক্তি বিশেষ করে আমেরিকা ও তাদের মিত্র ন্যাটো জোটের যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমার মনোভাব তীব্র। তবে এইখানে বাদ যাবে আফগান যুদ্ধের বিষয়বস্তু ও আল কায়েদার যেকোনো অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এছাড়া পশ্চিমা শক্তির বিরোধী বর্তমান বিশ্বের অন্যতম দেশ গুলোর পক্ষে আমার সমর্থন সবসময় রয়েছে। যেমন, আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে আমার প্রিয় দেশ গুলোর নাম কী ? বিনা বাধায় বলে দিতে পারি। কিউবা, ভেনিজুয়েলা, ইরান, রাশিয়ার নাম। উল্লেখ করতে চাই, বর্তমান বিশ্বে অনেক দেশেই পুজিবাদের পতন লক্ষণীয়। সেই সাথে হু হু করে এগিয়ে যাচ্ছে সমাজতন্ত্রের জয়গান। সমাজতন্ত্রের বিপ্লব এর মডেল এখন সমগ্র দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সমাজতন্ত্রের বিপ্লব কে কাজে লাগিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিলের মত দেশ গুলো। আমি স্বপ্ন দেখি আমাদের দেশে ও সমাজতন্ত্রের বিপ্লব কোনও না কোনও দিন হবেই। আপাতত সেই আশায় রইলাম।

অপর দিকে ইরান যদি ও সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার কোনও দেশ নয় বা সমাজতন্ত্রের কোনও ফরমালিটি তারা ধারণ করে না। তবু ও ইরানের উত্থান আমাকে উত্সাহিত করে ভিবিন্ন কারণে ইসলামিক বিপ্লবের পরবর্তী গত ৩২ বছরে ইরানের সাফল্য, আবিষ্কার ও উদ্ভাবন! সম্পর্কে কিছুটা ধারনা নিতে পারেন। ইরানের বাংলা বিভাগের রেডিও তেহরান এর নিয়মিত একজন পাঠক হিসেবে বর্তমান ইরানের অগ্রগতি সম্মন্ধে আমি কিছু ধারনা পোষণ করি মাত্র। তাতে আমাদের অনেকের কাছে যা মনে হয় ইরানের সাধারণ নাগরিক হয়তো বা বর্তমান বিশ্বের আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। আসলে কিন্তু তা নয়, যেমন আধুনিক ইরানে নারী দের দেওয়া হয় সর্বোচ্চ মর্যাদা যা অন্যান্য আরব দেশে সম্ভব নয় বলে আমি ধারনা করি। বলছি,ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের আগে ইরানের শাসনব্যবস্থা ছিল পুরোপুরি পশ্চিমাপন্থী। সে সময় বেড়াতে যাওয়া, অ্যালকোহলিক পানীয় তথা মদ পান করা কিংবা সংক্ষিপ্ত পোশাক পরা বৈধ ছিল, কিন্তু এখন গণ অনুষ্ঠান আয়োজনে ইরানের নারীরা মাথায় স্কার্ফ এবং চাদর পরে ইসলামী হিজাব করে অংশ নেয় বা যাওয়া-আসা করে। ইরানের পাবলিক বাস গুলোতে নারী-পুরুষের জন্যে আলাদাভাবে আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরও ইরানের আইন কানুনগুলো অধিকাংশ আরব দেশের মতো কঠোর নয়। ইরানের নারীরা তাদের চেহারা নেকাব দিয়ে ঢেকে ফেলে না এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে তারা বেশ তত্পর। ইরানী নারীদেরকে স্কার্ফ পরতে হয় এটা অনস্বীকার্য কিন্তু ইরানের নারীরা কখনোই আরব নারীদের মতো গৃহপরিচারিকার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় না। ইরানী নারীরা মানুষ হিসেবে মর্যাদার আসনে আসীন, তারা তাদের হিজাবকে সামাজিক সুস্থতা ও নিরাপত্তার উপায় বলে মনে করে। ইরানে নারীদের হিজাব তথা ইসলাম পোশাক পরিধানের ফলে সামাজিক ক্ষেত্রে তাদের তত্পরতা হ্রাস পায়নি, এমনকি তাদের সামাজিক কর্মকাণ্ডের ওপরও কোনোরকম সীমাবদ্ধতা আরোপিত হয়নি, উল্টো বরং ইরানী সমাজে নারীদের সামাজিক কর্মকাণ্ড মূলক তত্পরতা প্রতিদিনই বাড়ছে। ইরানের নারীদের নিয়ে অন্য আরেক দিন আলোচনা করা যেতে পারে। 

ইরান বিষয়ে আমেরিকা ও তাদের মিত্র দেশ গুলো যে ধরনের ভৌতিক ধারনা করে কার্যত ইরান কে এক ঘরে করে ফেলেছে আমার মনে হয় আমেরিকা বা তাদের মিত্রদের সেই মনবাসনা কোনও দিন পূর্ণ হবে না। পশ্চিমারা যতটুকু করতে পেরেছে বলে আমি বিশ্বাস করি উম্মোক্ত বিশ্বের সাথে তাদের স্বাধীনতা খর্ব করে রেখেছে। কিন্তু অনেকাংশে ইরান বর্তমান বিশ্বের অন্যতম একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে নিজের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। যা বহি:বিশ্বে এখনো অনেক বেশি প্রচারিত নয় ভিবিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে। এই ক্ষেত্রে ইরানের চেয়ে বেশি মুখ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট ও তাদের অন্যতম মিত্র দেশ গুলো। 

উপুর্যপরি অবরোধ আর নিষেধাজ্ঞা দেশটি কে দমিয়ে রাখতে ব্যার্থ হয়েছে বার বার। কার্যত ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইরান মূলত বিশ্বে এক প্রকার গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু প্রতিটা ইরানির সাহস আমাকে মুগ্ধ করেছে। কী অসীম ভালোবাসা তাদের, নিজের দেশের সরকার বা শাসন ব্যবস্থার প্রতি । সত্যি এক মডেল যেন, আমি একটা কথা না বলে থাকতে পারছি না। আমি যখন তাদের খবর গুলো নিয়মিত পড়ি তখন যেন মনে হয় প্রতি দিন একটা করে ইরানের জন্ম হচ্ছে ইরানের ভূমিতে। এ যেন অসাধারণ গল্প । যাই হোক পারস্য উপসাগরের তীরের শেখ সাদির এই দেশটি নিয়ে আরও লিখার চিন্তা রয়েছে অন্য কোনদিন। 


আমাদের দেশের সরকার বা বিরোধীদল যেখানে প্রভুভক্তিতে সারা পৃথিবীতে এক নাম্বার নিজেরা হাগু দিলেও পশ্চিমারা এসে নাক গলায়। আর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আমি তো মনে করি পশ্চিমারা আমাদের একধরনের প্রতিপক্ষ। উনারা ছুয়ে না দিলে আমাদের কোনও কাজ হালাল রূপ ধারণ করে না। সেই খানে ইরানীরা পশ্চিমাদের নিয়মিত হুমকি ধামকি দিয়ে চলছে। যদি ও আমি বিশ্বাস করি ইরান আর বাংলাদেশ এক বিষয় না। তাদের রয়েছে বিশ্বের মোট তেলের অন্যতম একটা মজুত ভান্ডার যা তাদের পক্ষে একটা অলিখিত পরমাণু অস্র। 

তুলে ধরছি ইরানের সক্ষমতার কিছু দিক, যা পোস্টের গুরত্ত্ব বহনের ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় 

আয়তন: ১,৬৪৮,১৯৫ বর্গকিলোমিটার 
মোট জনসংখ্যা:৭ কোটি ৮৯ লাখ
পুরুষ (১৬ থেকে ৪৯ বছর):২ কোটি ৩০ লাখ
জিডিপি:৯৯০.২১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার 
মাথাপিছু আয়:১৩,০৫৩ মার্কিন ডলার

যুদ্ধ সরঞ্জাম
হস্তচালিত বড় কামান:২ হাজার ১০টি, স্বয়ংক্রিয় কামান: ৮৬৫টি, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘাঁটি: ২০০টি,
মর্টার(গোলা নিক্ষেপক): ৫ হাজার, ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী অস্ত্র: ১ হাজার ৪০০টি, বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র: ১ হাজার ৭০১টি, সামরিক যান: ১২ হাজার, কর্মরত সামরিক সদস্য: ৫ লাখ ৪৫ হাজার, রিজার্ভ ফোর্স: ৬ লাখ ৫০ হাজার, বার্ষিক প্রতিরক্ষা বাজেট: ৯২০ কোটি মার্কিন ডলার 

তাছাড়া ও ইরানের হাতে আছে ১ হাজার ৬১৩টি ট্যাঙ্ক। যেগুলোর মধ্যে একশ’টি স্থানীয়ভাবে তৈরি, যার নাম ‘জুলফিকার’। তাছাড়া একশ’টি পুরোনো মডেলের ব্রিটিশ ট্যাঙ্ক রয়েছে, যেগুলো ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের আগে সংগ্রহ করা।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দেড়শ’টি এম-৬০এ-১ ট্যাঙ্ক, সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার তৈরি টি-৭২ মডেলের ৪৮০টি এবং টি-৫৪/ টি-৫৫ মডেলের ৫৪০টি ট্যাঙ্ক রয়েছে। ইসরায়েলের তুলনায় ট্যাঙ্ক কম থাকলেও ইরানের কামান রয়েছে অনেক বেশি। ২ হাজার ১০টি হস্তচালিত ও ৮৬৫টি স্বয়ংক্রিয় কামান রয়েছে ইরানের হাতে।

নৌশক্তি
নৌবাহিনীর মোট জাহাজ:২৬১টি, বাণিজ্যিক জাহাজ: ৭৪টি, প্রধান বন্দর: ৩টি, বিমানবাহী রণতরী: নাই
বড় রণতরী: ৩টি, ডুবোজাহাজ (সাবমেরিন): ১৯টি, দ্রুতগামী যুদ্ধজাহাজ (ফ্রিগেট): ৫টি, টহলদার সশস্ত্র ছোট জাহাজ: ১৯৮টি, জলে-স্থলে চলে এমন যান: ২৬টি
আছে। তাছাড়া ও ইরানের রয়েছে ২৩টি সাবমেরিন, যেগুলোর মধ্যে ১৫টি রাশিয়ার তৈরি।পারস্য উপসাগরের অগভীর পানির জন্য ইরানিরা নিজেরাই তৈরি করেছেন কয়েকটি সাবমেরিন। পাশাপাশি ইরানের রয়েছে ফ্রিগেট ও উভচর যান। রয়েছে কয়েক শতাধিক ক্ষুদ্র সাবমেরিন যা পশ্চিমাদের চোখের ঘুম হারাম করে দিতে পারে। 

ক্ষেপণাস্ত্র
স্বল্পপাল্লা: শাহাব-২ (১, ২৮০ কিমি) 
মাঝারিপাল্লা: ঘাদর -১ (১, ৬০০ কিমি) 
দূরপাল্লা: সাজ্জিল-২ (২, ৪০০ কিমি)

ইরানের সামরিক বাহিনীর চিত্র
ইরানের সামরিক বাহিনীতে রয়েছে সাড়ে ৩ লাখ সেনা। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতি কঠোর আনুগত্যশীল রেভ্যুলশনারি গার্ডে রয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার সদস্য। ইরানের আইন অনুসারে, প্রত্যেক ইরানি পুরুষের বয়স ১৯ বছর পূর্ণ হলে সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে ১৮ মাস কাজ করতে হবে। এদের বাইরে ইরানের রয়েছে ৩৪ হাজার সদস্যের বিমান বাহিনী, ১৮ হাজার সদস্যের নৌবাহিনী, গ্রাউন্ড রেসিস্টেন্স ফোর্স এবং স্পেশাল অপারেশনের জন্য কুদস ফোর্স।

যাইহোক ইরান যে এই মুহূর্তে কোনও ফেলে দেওয়া শক্তি নয় তা পশ্চিমাদের ভিবিন্ন ভাবে বুঝে নিতে হবে। আর আমাদের তো ইরানের কাছে অনেক কিছু শিক্ষনীয় রয়েছে বলে আমি মনে করি। ইরানের জন্য শুভকামনা। 

আমার মুখ ঢাকার আর প্রয়োজন নেই বরং, যারা ঘটনার পরে মুখ লুকিয়েছে, তাদের মুখোশ খুলে দিতে চাই।


লজ্জায় মুখ ঢাকতে চাইছেন না তিনি। বরং চাইছেন, গণমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করতে। এখন তাঁর একটাই আর্জি, অপরাধীদের শাস্তি হোক। সে জন্য প্রকাশ্যে আসতেও দ্বিধা নেই তাঁর। গুয়াহাটিতে নিগৃহীতা তরুণী আজ স্পষ্ট ভাবেই তাঁর এই মনোভাবের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ঘটনার পাঁচ দিন পরে নড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসনও। আগেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত ১১ জনের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। এ দিন এক সন্দেহভাজনকে বিজনি থেকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাংবাদিকও রাতে জানিয়েছেন, ‘নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে’ চাকরিতে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। গত সোমবার সন্ধ্যায় ক্যামেরার সামনে আধ ঘণ্টা ধরে ২৫-৩০ জনের হাতে নিগৃহীতা হওয়ার পরেও মনের জোর হারাননি ওই তরুণী। এ দিন দিল্লি থেকে আসা কেন্দ্রীয় মহিলা কমিশন এবং রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যরা একযোগে তাঁর সঙ্গে দেখা করলে ওই তরুণী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নিজের নাম তিনি গোপন রাখতে চান না!

তাঁর ‘ব্যতিক্রমী’ আবেদনে সাড়া দিয়ে সন্ধ্যায় কমিশন সাংবাদিক বৈঠক করে তরুণীর নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে দেয়। কমিশনের প্রতিনিধিরা জানান, মানসিক ও শারীরিক ধকল কাটিয়ে উঠেই সকলের সামনে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন ওই তরুণী। তিনি নিজেও এ দিন বলেছেন, “আমার যা হওয়ার হয়েছে। এখন আমি চাই, ওই শয়তানগুলো ধরা পড়ুক। আমার মুখ ঢাকার আর প্রয়োজন নেই। বরং, যারা ঘটনার পরে মুখ লুকিয়েছে, তাদের মুখোশ খুলে দিতে চাই।” সুত্র 

এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবারো ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এবার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্র।
খবরে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের হোস্টেলের ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছে এক ছাত্রের পরিবার। অভিযোগে বলা হয়েছে, পঞ্চম শ্রেণীর এ ছাত্রকে বৃহস্পতিবার রাতে হোস্টেলের ভারপ্রাপ্ত সুপার নিজের ঘরে ডেকে যৌন হেনস্থা করেন।বিস্তারিত 

বিশ্ব-ভারতীর করবী ছাত্রী নিবাসের ক্লাস ফাইভের এক ছাত্রীকে প্রস্রাব খেতে বাধ্য করার ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে মুর্শিদাবাদে এ ছাত্রের ওপর যৌন নির্যাতনের খবর এলো।

পৃষ্ঠাসমূহ