রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১২

আমার মুখ ঢাকার আর প্রয়োজন নেই বরং, যারা ঘটনার পরে মুখ লুকিয়েছে, তাদের মুখোশ খুলে দিতে চাই।


লজ্জায় মুখ ঢাকতে চাইছেন না তিনি। বরং চাইছেন, গণমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করতে। এখন তাঁর একটাই আর্জি, অপরাধীদের শাস্তি হোক। সে জন্য প্রকাশ্যে আসতেও দ্বিধা নেই তাঁর। গুয়াহাটিতে নিগৃহীতা তরুণী আজ স্পষ্ট ভাবেই তাঁর এই মনোভাবের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ঘটনার পাঁচ দিন পরে নড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসনও। আগেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত ১১ জনের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। এ দিন এক সন্দেহভাজনকে বিজনি থেকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাংবাদিকও রাতে জানিয়েছেন, ‘নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে’ চাকরিতে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। গত সোমবার সন্ধ্যায় ক্যামেরার সামনে আধ ঘণ্টা ধরে ২৫-৩০ জনের হাতে নিগৃহীতা হওয়ার পরেও মনের জোর হারাননি ওই তরুণী। এ দিন দিল্লি থেকে আসা কেন্দ্রীয় মহিলা কমিশন এবং রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যরা একযোগে তাঁর সঙ্গে দেখা করলে ওই তরুণী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নিজের নাম তিনি গোপন রাখতে চান না!

তাঁর ‘ব্যতিক্রমী’ আবেদনে সাড়া দিয়ে সন্ধ্যায় কমিশন সাংবাদিক বৈঠক করে তরুণীর নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে দেয়। কমিশনের প্রতিনিধিরা জানান, মানসিক ও শারীরিক ধকল কাটিয়ে উঠেই সকলের সামনে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন ওই তরুণী। তিনি নিজেও এ দিন বলেছেন, “আমার যা হওয়ার হয়েছে। এখন আমি চাই, ওই শয়তানগুলো ধরা পড়ুক। আমার মুখ ঢাকার আর প্রয়োজন নেই। বরং, যারা ঘটনার পরে মুখ লুকিয়েছে, তাদের মুখোশ খুলে দিতে চাই।” সুত্র 

এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবারো ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এবার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্র।
খবরে বলা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের হোস্টেলের ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছে এক ছাত্রের পরিবার। অভিযোগে বলা হয়েছে, পঞ্চম শ্রেণীর এ ছাত্রকে বৃহস্পতিবার রাতে হোস্টেলের ভারপ্রাপ্ত সুপার নিজের ঘরে ডেকে যৌন হেনস্থা করেন।বিস্তারিত 

বিশ্ব-ভারতীর করবী ছাত্রী নিবাসের ক্লাস ফাইভের এক ছাত্রীকে প্রস্রাব খেতে বাধ্য করার ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে মুর্শিদাবাদে এ ছাত্রের ওপর যৌন নির্যাতনের খবর এলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ