রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১২

রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে থাকতে দিতে হবে নইলে রাখাইন মারমা আর চাকমারা মায়ানমারে ফেরত যাবে

মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেন সেইন গতকাল বলেছে যে রোহিঙ্গারা সেই দেশের জনগণের সাথে নৃতাত্বিক ভাবে একই রকম নয় বিধায় রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে থাকার কোন অধীকার নেই। তার মানে তারা ৫০০ বছর পুর্ব থেকে বসত করা ওই জনগোষ্টিকে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেবে। রোহিঙ্গারা বার্মায় বসতি স্থাপন করে ষোলশ শতাব্দিতে। মুখ্য উজির মাগন ঠাকুন, দৌলত উজির বাহরাম খাঁ, লশকর উজির আশরাফ খাঁরমত উচ্চপদস্থ আরাকানী সরকারী কর্মকর্তার কথা আরাকানী ইতিহাসে এবং মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে পাওয়া যায়। আলাওলদৌলত কাজীমাগন ঠাকুর সহ অনেক কবিই আরাকানে বাংলা সাহিত্য রচনা করেছেন। 

কোন একটি দেশে বিভিন্ন ধরনের নৃতাত্বিক গঠনের বাসিন্দা থাকতে পারে। নৃতাত্বিক গঠনের কথা বলে কাউকে দেশ থেকে উচ্ছেদ করার কথা বলা চরম সাম্প্রদায়িকতা ছাড়া কিছুই নয়। এখনই মায়ানমারকে কঠোর ভাবে মেসেজটি দেয়ার প্রয়োজন। 

বাংলাদেশে ২০ লক্ষের ও অধিক রাখাইন মারমা কিংবা চাকমা বসবাস করেন। যারা অতীতে বর্তমান মায়ানমারের রাখাইন অর্থাৎ আরাকান প্রদেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছে। 

তাহলে নৃতাত্ত্বিকভাবে যারা বাংলাদেশের জনগণ নয় সেই রাখাইন মারমা কিংবা চাকমাদের দায়িত্ত কেন বাংলাদেশ নেবে? ৮ লাখ রোহিঙ্গার বদলে ২০ লাখ রাখাইন মারমা কিংবা চাকমাদেরকে আমরা বার্মায় পাঠিয়ে দিতে চাইলে বার্মা সরকার তা কি মেনে নেবে? 

এখন সময় নতুন করে ভাবনার এসে গেছে। মায়ানমার যদি নৃতাত্বিক ভাবে বাঙালী চেহারার রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করতে চায় তাহলে নৃতাত্বিক ভাবে বর্মী চেহারার রাখাইন মারমা কিংবা চাকমাদেরকে তাদের দেশে স্থান দিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ