শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১২

এই দুই প্রধান কারণ সমাধান না করলে বাংলাদেশকে কোনভাবেই মাদকমুক্ত করা যাবে না।

মাদক এমন একটি কঠিন নেশা যা মাদকসেবীকে চুম্বকের মত টানে। তার ইচ্ছা বা আনিচ্ছা মাদকের নেশার কাছে হার মানে। যে কারনে একটা মাদকসেবী ইচ্ছা করলেই মাদক ছাড়া থাকতে পারে না।

মাদকসেবীদের মাদক সেবনের আন্যতম কারণ হল ‍"মাদকের সহজলভ্যতা" ও "মাদকের প্রাচুর্যতা"। ইচ্ছে করলেই হিরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাজা ইত্যাদি হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে। এক সাংবাদিকের বক্তব্য হল, মাদককে মাদকসেবীরাও পছন্দ করে না। বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকাতেই মাদক সহজলভ্য। প্রায় ৪/৫ লক্ষ লোক মাদক ব্যবসার সাথে ও প্রায় ৫০ লক্ষ লোক মাদক সেবনে জড়িত।

মূল আলোচনায় আসি-
সেদিক পত্রিকায় দেখলাম, ডি এম পি কমিশনার বেনজির আহমেদ বলেছেন, “প্রতিবছর হাজার হাজার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করছি। কোটি কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করছি। তবুও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে মুক্তি পাচ্ছি না। ১৯৯৯ সালের মাদকের মামলার বিচার ২০১২ সালে হচ্ছে। একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হলে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে জামিনে বের হয়ে পুনরায় পূর্ণ উদ্যোমে মাদকের ব্যবসা শুরু করছে।"

আরো একটি মজার ব্যপার হল, বাংলাদেশ হল মায়ানমার ও ভারতের মাদকের মার্কেট। কথার সত্যতা ডি এম পি কমিশনারের কথাতেও পেলাম, তিনি বললেন "বেশির ভাগ মাদক তৈরি হচ্ছে দেশের বাইরে। মায়ানমারে ইয়াবা তৈরি হচ্ছে তার শিকার হচ্ছি আমরা। ভারত সীমান্তে ফেনসিডিল তৈরি হচ্ছে তার শিকার হচ্ছি আমরা।"

প্রথমতঃ মাদক চোরাচালান আনবরত বাড়ছে এবং দ্বিতীয়তঃ মাদক ব্যবাসায়ীদের আটক করার পর তারা জামিনে ২/৩ দিন পর জামিনে বের হয়ে আবার পূর্ণ উদ্যোমে ব্যবসা শুরু করছে (!!!!!)

মাদক প্রার্যুতার এই দুই আন্যতম প্রধান কারণ সমাধান না করলে বাংলাদেশকে কোনভাবেই মাদকমুক্ত সম্ভব হবে না।

মাদক নিয়ন্ত্রন আধিদপ্তরকে মাদক প্রসারের আন্যান্য কারনগুলো সমাধানের আগে এই দুইটি কারণ সমাধান করতে হবে। সেই সাথে বাংলাদেশ সরকারকে মাদক নিয়ন্ত্রনের প্রচলিত ধারাগুলো সংস্কার করতে হবে। যার প্রথম পদক্ষেপ হতে হবে "মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য আজামিনযোগ্য ধারা ও তাৎক্ষনিক শাস্তি ব্যবস্থা প্রবর্তন।"
তাদের আটক করে না রেখে মাদক নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করা আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ