হেলিকপ্টার থেকে নামলেন বর-কনে। ছবিটি নীলফামারী হাইস্কুল মাঠ থেকে তোলা।
ছবি: প্রথম আলো।
নীলফামারীতে রাজকীয় কায়দায় চলছে কোটি টাকার এক বিয়ের অনুষ্ঠান। এই বিয়ের কথা এখন শহরের মানুষের মুখে মুখে। অনুষ্ঠান ঘিরে বরের বাড়ি শহরের বড় বাজারে সাজ সাজ রব। করা হয়েছে বড় বড় চারটি গেট। লাল-নীল আলোয় জ্বলজ্বল করছে বরের বাড়ি।
বর নীলফামারী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মাহবুব আলীর ছেলে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আসাদুজ্জামান রোমান এবং কনে চাঁদপুর শহরের মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেয়ে রেবেকা চৌধুরী তৃষা। ২৫ জুন রাতে ঢাকার আর্মি গলফ ক্লাব অডিটোরিয়ামে তাঁদের বিয়ে হয়। সেই বিয়ের উৎসবের আমেজ এখন বরের নিজের শহর নীলফামারীতে।
আজ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে বর-কনে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে নীলফামারী হাইস্কুল মাঠে নামেন। তারপর ওঠেন ঘোড়ার গাড়ি টমটমে। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে সেই টমটম শহর ঘুরে বড় বাজার এলাকায় বরের বাড়ি পৌঁছে।
কাল শনিবার বউ ভাতের আয়োজন করা হয়েছে। আমন্ত্রিত অতিথির তালিকায় আছেন রাজনীতিবিদ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। অতিথি আপ্যায়নে তিনটি প্যান্ডেল করা হয়েছে। গত এক মাস ধরে চলা এ আয়োজন কাজ করেছেন শতাধিক শ্রমিক।
বরের বাবা নীলফামারী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মাহবুব আলী ছেলের বিয়ে নিয়ে এমন আয়োজন সম্পর্কে বলেন, ‘প্রবাসী ছেলের ইচ্ছায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে এই আয়োজন করা হয়েছে।’ তিনি জানালেন, ‘ঢাকায় বিয়ের মূল অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ, অনেক সাংসদ ও ভিআইপিসহ দুই হাজারের মতো অতিথি উপস্থিত ছিলেন। প্রতি অতিথিকে দেড় হাজার টাকার খাবার পরিবেশন করা হয়।’ নীলফামারী শহরে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের খাবার তালিকায়ও ঢাকার মতো একই ধরনের আয়োজন থাকবে বলে তিনি জানান।
নীলফামারীর অনুষ্ঠান সম্পর্কে বরের বাবা আরও বলেন, পাঁচ হাজার কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। তবে ১২ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। জানালেন, ‘বড় ছেলের বিয়ে এমন ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করেছি। ছোট ছেলের বিয়েতেও করলাম।’ পাশাপাশি এলাকায় ২০ অনাথ মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করবেন বলেও তিনি জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন