ডিজিটাল যুগ, তাই সংখ্যাটি ৪,০০০ নাকি ৪০,০০০ মনে করতে পারছি না। কেবল তো মাত্র একটি ডিজিটের তফাৎ! কিন্তু এতগুলো পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েছিল জামায়াত নেতা মওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদি বা দেইল্লা রাজাকারের বিরুদ্ধে। দেইল্লা মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট ও ধর্ষণসহ এমন কোন অপরাধ নেই যে তা করেননি- এমনটিই বলা হয়েছিল ওই তদন্ত প্রতিবেদনে।
কিন্তু এখন একজন সাক্ষীকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একজন নারীও প্রকাশ্যে বলছেন না যে, দেইল্লা তাকে ধর্ষণ করেছিল। থানায় এমন কোন মামলা নেই যাতে বলা হয়েছে দেইল্লা খুন করেছিল।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমসহ শীর্ষ পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীকাল তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়া হবে। রাজধানীর বেইলি রোডে আজ এক সংবাদ সম্মলেনে এ কথা জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান।
গোলাম আযমসহ পাঁচ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট চূড়ান্ত
৭১-এ স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান এবং আব্দুল কাদের মোল্লাকে গত বছর আটক করা হয়। তবে, গোলাম আযমকে এখনো আটক করা হয়নি। আটকের পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। কিছুদিন আগে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদী এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।#
তেহরান রেডিও/এসআই/এমএইচ/৩১.৯
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন