সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১১

আজকে এক ইস্কুলে গিয়া দেখলাম ৪টা নতুন ল্যাপটপ ৪ মাস যাবৎ একটা ঘরে তালা বন্ধ অবস্থায় পরে আছে।

আজকে এক ইস্কুলে গিয়া দেখলাম ৪টা নতুন ল্যাপটপ ৪ মাস যাবৎ একটা ঘরে তালা বন্ধ অবস্থায় পরে আছে।


আপনি জানেন সারাদেশে হাজার হাজার স্কুলে হাজার হাজার কম্পিউটার ল্যাপটপ পাঁচ ছয় বছর থেকে শুরু করে মাসের পর মাস পরে আছে।এর মধ্যে অন্তত ৩০% পাওয়া যাবে যেগুলো কেনার পর একবারও ওপেন করা হয়নি এবং এখন যথারিতি নষ্ট ও পরিত্যাক্ত।গত তিন বছরেই দেশে সরকারী টাকায় লক্ষাধিক কমপিউটার, ল্যাপটপ কেনা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য।ফলাফল হচ্ছে এই মেশিনগুলোর ৯৮% এখনও ছবিটির মত অবস্থায় আছে।যে কয়টা চলে তার প্রতি একশটির একটিতে ইন্টারনে সংযোগ আছে।আর চলে সপ্তাহে ৪০ মিনিট।একবার এক স্কুলে নাইন টেনের একশ জন ছাত্রছাত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম তোমরা কয়জন জীবনে কমপিউটার দেখেছ, হাত তুলেছে সবাই।আর যখন বলেছি, কয়জন জীবনে কমপিউটার টাচ করেছ, হাত তুলেছে দুই জন।অথচ ওদের স্কুলেই তালাবদ্ধ পরে আছে কয়েকটি মেশিন।বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল বিসিসি ঢাকায় টেন্ডার করে এসব হাজার হাজার প্রডাক্ট কিনছে।পরে বিভিন্ন স্কুলে, কলেজে পাঠাচ্ছে এই বলে, আপনারা মেশিনগুলো নিয়ে একটা রুমে যত্ন করে তালা বদ্ধ করে রাখুন, আমরা পরে ইঞ্জিনিয়ার পাঠাবো এগুলো চালু করতে, এর আগে হাতও দিবেন না।আর মাস্টার সাহেবরা এগুলো যত্ন করে তুলে রাখছে।এই মুহুর্তে দেশের দশ হাজার প্রাইমারী স্কুলের হেডমাস্টারের লকারে একটি ইনটেক ল্যাপটপ ও একটি মাল্টি মিডিয়া পাওয়া যাবে।

যা হউক, এই অবস্থা কেন, সব স্কুলের মাষ্টারাই কি অপদার্থ।না তা ঠিক নয়।তাহলে এমন হওয়ার কারন কি।আমি জানি।কারন ইন্টারনেট।এর দাম ও অবস্থা।

আর একটা বিষয় আছে।সরকারী ভাবে কেনা এই মালগুলো চৌদ্দ নম্বরের চেয়েও খারাপ।কারন আমাদের কম্পিউটার লেপটপ আমদানী কারকরা যেকোন চৌদ্দ নম্বরের উপরে কোন মাল দেশে আনে না যা বাংলাদেশের আমদানীকারকরা নিজের মুখে আমাকে বলেছে ভয়েস আছে।আর সরকারী টেন্ডারে কেনা মালের ক্ষেত্রে চৌদ্দ নম্বর থেকেও কিছু যন্ত্রপাতি খুলে রাখা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ