শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১২

ধর্ষণ: এবার মাদ্রাসা অধ্যক্ষের সাজা


সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে শিক্ষিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার এক অধ্যক্ষকে গ্রাম্য সালিশে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি গলায় হরেক-রকম ছেঁড়া জুতা পরিয়ে ঘোরানো হয়েছে পুরো গ্রাম। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে তাকে করা হয়েছে চাকুরিচ্যুত।



সাজাপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উপজেলার মারমা আলহেরা নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার মাওঃ ইব্রাহিম হোসেন। তার বাড়ি উত্তর খাসকাউলিয়া গ্রামে।



এলাকাবাসী ও সালিশের মাতব্বরেরা জানায়, চৌহালী উপজেলার মারমা আলহেরা নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দুঃচরিত্র মাওঃ ইব্রাহিম হোসেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা স্বামী পরিত্যাক্তা এক সন্তানের জননী হাফেজা খাতুনকে (২৬) মাঝে-মাঝেই কুপ্রস্তাব দিত। এতে সে রাজি হতো না। বরং বিষয়টি সম্পর্কে ম্যানেজিং কমিটিকে অবগত করে।



এতে ঐ শিক্ষক আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলে কেউ না থাকায় শিক্ষিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন তার আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে হাতে-নাতে লম্পট মাওঃ ইব্রাহিম হোসেনকে ধরে ফেলে।



পরদিন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা শিক্ষককে বরখাস্ত করে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চর জাজুড়িয়া চেকির মোড় হাফিজিয়া মাদ্রাসা চত্বরে গ্রাম্য শালিশ বৈঠক ডাকা হয়।



সেখানে ঘোরজান ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মন্টু সভাপতিত্ব করেন। ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হজরত আলী মাস্টারসহ চৌহালী ও নাগরপুরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।



ঘোরজান ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মন্টু জানান, দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ঐ অধ্যক্ষকে জরিমানা ও শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এতে একটু হলেও নারী নির্যাতন বন্ধে ভূমিকা রাখবে। আর কেউ যাতে এ রকম হেয় কাজ না করতে পারে সেজন্যই উন্মুক্তভাবে এ বিচার করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ