বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১২

উত্তরবঙ্গ সীমান্তে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ ভারতের

 
বার্তা২৪ ডেস্ক

ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি: বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ সীমান্তে বৃহস্পতিবার ‘সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারী’দের দেখামাত্র গুলি করতে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ’কে নির্দেশ দিয়েছে ইনডিয়ার সরকার। ২৬ জানুয়ারি দেশটির ৬৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসে ওই সীমান্ত জুড়ে জারি করা সর্বোচ্চ সতর্কতার অংশ হিসেবে এ নির্দেশ দিয়েছে দেশটি।
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গেরিলা সংগঠনগুলো বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে গিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হামলা করতে পারে- এমন আশংকায় বিএসএফকে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া ও গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রজাতন্ত্র দিবস’কে এ গেরিলা সংগঠনগুলো বিবেচনা করে স্ব স্ব জাতি-গোষ্ঠির ওপর ইনডিয়া রাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তারের দিবস হিসেবে। প্রতি বছরের মতো এবারও দিবসটি বর্জনের ডাক দিয়েছে গেরিলারা। বর্জনের ডাক দেওয়া সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বোরোল্যান্ড (এনডিএফবি), মণিপুর পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (এমপিএলএফ), ত্রিপুরা পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (টিপিডিএফ), ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা (এনএলএফটি) ও কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও)।
উত্তরবঙ্গের সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলো থেকে বার্তা২৪ ডটনেটের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সীমান্তের ওপাশে ইনডিয়ার বিএসএফের (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) জনবল, যানবাহন ও টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত সংলগ্ন জমিতে বাংলাদেশী কৃষকদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করছে বিএসএফ সদস্যরা।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট বৃটিশ সাম্রাজ্য থেকে ইনডিয়া স্বাধীনতা লাভ করলেও ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারির আগ পর্যন্ত দেশটির প্রধান ছিলেন বৃটিশ রাজা ষষ্ঠ জর্জ। পরে ১৯৫০ সালে ২৬ জানুয়ারিতে ইনডিয়ার সংবিধান কার্যকর হয় এবং একে গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেন দেশটির প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ। তখন থেকে দিনটি ইনডিয়ায় প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
দেশটির তিনটি জাতীয় দিবসের মধ্যে প্রজাতন্ত্র দিবসই সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্রীয় আয়োজনে পালিত হয়। অন্য দুটি দিবস; ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস এবং ২ অক্টোবর গান্ধীর জন্মদিবসের মত এ দিনটিতেও দেশজুড়ে সরকারি ছুটি থাকে। সরকারি ছুটির কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ইনডিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ব্যবহৃত স্থলবন্দরগুলোতে বৃহস্পতিবার কোনো মালামাল পারাপার হবে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ