সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১২

পুলিশের গুলিতে রাজশাহীতে নিহত ১,

রাজশাহীতে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম শফিকুল ইসলাম রেন্টু (৩০)। জামায়াত দাবি করেছে নিহত শফিকুল তাদের সংগঠনের কর্মী। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুজন। এছাড়া দুই ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্য এবং বিএনপি ও জামায়াতের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করে।

এদিকে এ ঘটনার পর মহানগর বিএনপি গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে আজ রাজশাহী নগরীতে আধাবেলা হরতাল ডেকেছে। পাশাপাশি আরও তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা। এর মধ্যে ১ ফেব্রুয়ারি দোয়া দিবস এবং ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি শোক দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এদিকে শফিকুল ইসলাম রেন্টু কার গুলিতে মারা গেছেন তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। নিহতের পরিবার এবং জামায়াত ও বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মহানগর পুলিশ কমিশনার এম ওবাইদুল্লাহ বলেছেন, পুলিশ কোনো গুলি করেনি। কার গুলিতে শফিকুল মারা গেছেন তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহত নগরীর বহরমপুর অচিনতলা এলাকার বাসিন্দা এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকালে নগরের হেতেমখাঁ এলাকা থেকে জামায়াতের একটি মিছিল লোকনাথ স্কুলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ নিয়ে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশ শতাধিক টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটসহ এক পর্যায়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় বহরমপুরের অচিনতলার শফিকুল গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে জামায়াত কর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পুলিশ বাধা দিতে গেলে জামায়াত কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। সংঘর্ষে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি শাহরিয়ার, ডিবির ওসি তোফাজ্জেল হোসেন খানসহ শতাধিক আহত হন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ