শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১২

Now Bangladeshi are killed at the border of Jassor এবার যশোর সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা


এক বাংলাদেশি যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই যশোরের ধান্যখোলা সীমান্তে আরেক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। আহত হয়েছে আরো তিনজন। 

২২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) ধান্যখোলা ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার আতিয়ার রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নিহত রাশেদুজ্জামান (২২) একজন গরু ব্যবসায়ী। শনিবার ভোর ৫টার দিকে মাঠপাড়া উড়শি এলাকায় বিএসএফের গুলিতে আহত হন তিনি। পরে বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরেই তার মৃত্যু হয়। 

আতিয়ার রহমান বলেন, “আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। তবে তারা কোনো বাংলাদেশিকে হত্যার কথা অস্বীকার করেছে।” 

নিহত রাশেদ যশোরের শার্শা উপজেলার মাটিপুকুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। তার লাশ উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দর থানা পুলিশ। 

আহত হামিদুর (২৭), বাহাউদ্দিন (৩০) ও মনিরুল ইসলামকে (৩২) স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় এলাকায় বিএসএফের সেনা তল্লাশি চৌকিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাবিবুর রহমানের (২২) ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় বিএসএফ সদস্যরা। 

স¤প্রতি ওই নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশের পর বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার বরখাস্ত করা হয় আট বিএসএফ জওয়ানকে। 

সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতন বন্ধে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। বিএসএফের নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও। 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এক প্রতিবেদনে বলেছে, হত্যা এবং অন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বিএসএফের বিচার হওয়া উচিৎ। 

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসেবে, গত এক দশকে প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে। নির্যাতনের ঘটনা অসংখ্য। 

সীমান্তে নির্যাতন বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানোর পর স¤প্রতি বিএসএফকে প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র দিয়েছে ভারত সরকার। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ