বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১২

ভালোদের কাজ করার সুযোগ করে দেয়া উচিত । কিন্ত সম্ভব হবে তো!

পূরণ করা সম্ভব নয় এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য রাজনৈতিক সহকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রিপোটার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “রাজনীতিবীদদের ওয়াদা শুনতে শুনতে মানুষের কান ঝালাপালা হয়ে গিয়েছে। শুধু নির্বাচনের আগে ভোটের জন্য মিথ্যা প্রতিশ্রুতির রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভোটের আগে প্রতিশ্র“তি দেবো, আর ভোট শেষ হলে ৫ বছর কোনো খবর থাকবে না, এটা হতে পারে না।”


তিনি নিজে দেশের মানুষকে ‘মিথ্যা স্বপ্ন’ দেখাতে চান না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “যা করতে পারবো না তার প্রতিশ্র“তিও দিতে চাই না। কোনো লম্বা স্বপ্ন দেখিয়ে দেশের মানুষকে হতাশও করতে চাই না। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সড়ক ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবে।”


সরকারের তৃতীয় বছরের এসে মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া কাদের প্রতিশ্র“তি দেন, বর্তমান সরকারের আমলেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরুর পাশাপাশি দ্বিতীয় মেঘনা সেতু প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।


মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “কোনো এলাকা নয়, বরং সারা দেশে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের মতো দেশে মন্ত্রীদের শুধু অফিস সময়েই নয় বরং ‘রাউন্ড দ্যা ক্লক’ কাজ করতে হবে।”


‘খুলনা বিভাগের যোগাযোগ ব্যাবস্থা: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় সাংবাদিকদেরও কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেন যোগাযোগ মন্ত্রী।


গত তিন বছরে সংসদ ও সংসদের বাইরে মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিভিন্ন কাজের সালোচনার জন্য আলোচনায় ছিলেন ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রীত্ব পাওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, তার কাজ তিনি করে যাবেন।


তিনি বলেন, “আপনারা আমার কাজের সমালোচনা করুন। আপনাদের সমালোচনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমি দেশের জনগণের জন্য কিছু করতে চাই। কিন্তু আপনারা যদি অপপ্রচার করেন, তাহলে মনে কষ্ট লাগে।”


মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ৫০ দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমার পথ অনেক লম্বা, কিন্তু পেট্রোল কম। ইচ্ছা থাকার পরেও হয়তো অনেক কিছু করা সম্ভব হবে না। আমি মাত্র পঞ্চাশদিন পার করেছি। আরো পঞ্চাশ দিনের মধ্যে যদি জনগণের জন্য দৃশ্যত কিছু করে না দেখাতে পারি, তাহলে প্রশংসার দাবিদার আমি নই।”


খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত এ আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পাট ও বস্ত্র সচিব আশরাফুল মকবুল, দৈনিক পুর্বাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক লিয়াকত আলী ও প্রকাশক বেলায়েত হোসেন বক্তব্য দেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ