রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১২

এক অসহায় মা আর তার মেয়ে নন্দিনী


নড়াইল জেলার থানা লোহাগড়া গ্রামের নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে নন্দিনী। তার বাবার নাম কুদ্দুস আলী। নন্দিনীর বাবা এক জন কৃষক। আর মা আকলিমা। তারা ছয় ভাই-বোন চার বোন ও দুই ভাই । বোনেরা বড় আর ভাই দুইটা ছোট। কুদ্দুস আলীর টানাটানির সংসারে ছয় ছেলে-মেয়ের মধ্যে নন্দিনী সবার বড়। ছোট বেলা থেকেই নন্দিনী দেখতে অনেক সুন্দর। ক্লাস ওয়ান থেকেই সে তার ফুফুর বাসায় থেকে লেখাপড়া করেছে। নন্দিনী দেখতে অনেক সুন্দর ছিল বিধায় তাকে ছোট থেকেই অনেক ছেলে পছন্দ করত। এতে নন্দিনীর ফুফু টেনশনে পড়ে যায় । অবশেষে নন্দিনীর ফুফু দায়িত্ব তুলে নিয়ে নন্দিনীর বাবা-মার বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। তখন নন্দিনী পড়ে ক্লাস টেনে নন্দিনী বাড়িতে এসে তার এলাকার স্কুল থেকে এস.এস.সি পরীক্ষা দিয়ে খুব ভাল রেজাল্ট করল । 

এক বেলা খেয়ে আর এক বেলা না খেয়ে নন্দিনীর বাবা-মা নন্দিনীদের লেখাপড়ার খরচ বহন করত। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার পিছনে বেশি আগ্রহ ছিল নন্দিনীর মায়ের।
নন্দিনীর বাবা চাইত না তার সন্তানরা লেখাপড়া করুক। নন্দিনীর মা ঋন করে তাদের পড়াশুনার খরচ চালিয়ে যেত। নন্দিনীর দাদা, চাচা ও ফুফিদের অবস্থা ছিল অনেক ভাল। শুধু নন্দিনীর বাবার কর্মদশে অবস্থা ছিল খারাপ। নন্দিনী এস.এস.সি পাশ করার পর তার মায়ের চিন্তা তার মেয়েকে কিভাবে কোথায় পড়াবে। নন্দিনীর মা নন্দিনীর চাচা, মামা, খালাদের পরামর্শ নিয়ে তাকে ভাল একটা ভার্সিটিতে ভর্তি করে।
নন্দিনীর কলেজ জীবন....................

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ