মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১২

‘প্রতিবেশী শত্র“ হলেও তার ঘরপোড়া আলু খেতে নেই’

একটি বহু পুরনো এবং প্রচলিত গল্প হচ্ছে, এক বাড়িতে আগুন লেগেছে দেখে বাড়ির মালিকের সঙ্গে শত্র“তার সম্পর্ক এমন এক প্রতিবেশী খুব খুশি হলেন। আগুন লাগা বাড়িটিতে আলুর গুদাম ছিল। প্রতিবেশী আগুন নেভানোর কাজে সাহায্য জোগালেন না। চাইলেন আগুনে যাতে আলুগুলো ভালো করে পোড়ে। তাহলে তার দুই লাভ, পোড়া আলু খেতে পারবেন। অন্যদিকে শত্র“ নিপাতও হলো। এই প্রতিবেশীর মোটা বুদ্ধিতে ধরা পড়েনি যে, তার নিজের বাড়ির লাগসই বাড়িতে আগুন লাগলে তা তার বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি যখন পরম আনন্দে পোড়া আলু খাওয়ায় ব্যস্ত, তখন সেই আগুন তার বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে এবং তা পুড়িয়ে ছাই করে দেয়।
অধুনা পাকিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে বিরোধে এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী সন্ত্রাসীদের দমনের নামে কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তা দেখে ভারতের সরকারি-বেসরকারি একশ্রেণীর নেতা, রাজনীতিক, মিডিয়া ও সেনা কর্মকর্তা যেভাবে উল্লাস প্রকাশ করছেন, তাতে বাজারে প্রচলিত গল্পটির কথা মনে না পড়ে পারে না। পাকিস্তান ও ভারতের শত্র“তা চলছে ষাট বছর ধরে। মনে হয় পাকিস্তানে যে আগুন লেগেছে, তাতে ভারত তার স্বার্থের আলু পুড়িয়ে খেতে চায়। এত বড় বৃহৎ হাতির মতো দেশ। তারা ভুলে গেছে যে, পাকিস্তান তাদের শত্র“ হলেও নিকট প্রতিবেশী। পাকিস্তানে এখন আগুন লাগলে ভারতে ছড়াতে খুব দেরি হবে না। ভারতের উচিত, এই আগুন নেভানোর কাজে সাহায্য জোগানো। তাতে আরও কেরোসিন ঢালা নয়। তা ঢালতে থাকলে পরিণামে ভারতের জন্যই তা সর্বনাশা হয়ে দাঁড়াবে। 
আমি ভারতীয় পত্রপত্রিকা পড়ি। লন্ডনে যেসব ভারতীয় সাংবাদিক বন্ধু বাস করেন, তাদের কথাবার্তাও শুনি। বিস্মিত হয়ে দেখি, তাদের অধিকাংশই মার্কিন ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের নিরীহ সিভিলিয়ানদেরও নির্মম হত্যায় খুব একটা অখুশি নন। মার্কিন প্রচারণায় তারা বিশ্বাসী এবং মনে করেন, আফগানিস্তানের মতো পাকিস্তানেও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী সন্ত্রাসী হত্যা করছে। এটা যে নিরীহ নারী-শিশু নির্বিশেষে সিভিলিয়ান হত্যা এবং গণহত্যার অপরাধের প্রায় কাছাকাছি, এটা ভারতের মতো দেশের অধিকাংশ নেতা, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকের মাথায় কেন ঢুকছে না তা আমার কাছে বিস্ময়কর। পাকিস্তানের প্রতি ভারতের শত্র“ মনোভাব পোষণের অনেক ন্যায়সঙ্গত কারণ আছে। কিন্তু সেই শত্র“তায় অন্ধ হয়ে গোটা উপমহাদেশে মার্কিন অবৈধ হস্তক্ষেপ ও আগ্রাসন যে প্রলয় সৃষ্টি করেছে, ভারত কি ভাবে, এই প্রলয় থেকে সে নিজেও রক্ষা পাবে? মার্কিন আগ্রাসনে যদি পাকিস্তান ধ্বংসও হয়ে যায়, তাহলেও কি ভারত সন্ত্রাস থেকে মুক্ত হয়ে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে?
পাকিস্তান যে আজ আর কার্যত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং সার্বভৌম দেশ নয়, ভারত তা জানে। পাকিস্তানের ও আফগানিস্তানের দুই মার্কিন তাঁবেদার প্রেসিডেন্ট জারদারি ও কারজাইয়ের মধ্যে যে পার্থক্য নেই, তাও দিল্লি না জানে তা নয়। এখন মার্কিন সৈন্য পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ত্যাগ করলে সঙ্গে সঙ্গে এই দুই তাঁবেদারের পতন ঘটবে এবং তালেবানপন্থীরাই আবার ক্ষমতায় বসবে। আমরিকা বছরের পর বছর বর্বর যুদ্ধ চালিয়ে এই দুটি দেশেই নিরীহ সাধারণ মানুষ ধ্বংস করেছে এবং দেশ দুটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। কিন্তু তালেবানদের পরাজিত করতে পারেনি। ফলে ওবামা প্রশাসন এখন আফগানিস্তানে তলে তলে তালেবানদের সঙ্গে আপসরফার আলোচনা চালাচ্ছে। যদি তা সফল হয়, তাহলে তালেবানরাই আবার কাবুলে ক্ষমতায় বসার সুযোগ পাবে।
পাকিস্তানেও ওবামা প্রশাসনের এখন একই নীতি। দেশটিতে বিরাট সংখ্যক মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর উপস্থিতিতে জারদারিকে এখনও ঠুঁটো জগন্নাথের মতো প্রেসিডেন্ট পদে রাখা গেলেও আসল ক্ষমতা এখনও রয়ে গেছে পাকিস্তান আর্মি ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের তালেবান-সমর্থক বিরাট এবং প্রভাবশালী অংশের হাতে। বিস্ময়কর ব্যাপার এই যে, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক অক্ষুণœ রাখার জন্য এখন জারদারি সরকারকে ডিঙিয়ে আমেরিকা সরাসরি আলোচনা চালাচ্ছে আর্মি ও আইএসআই-প্রধানদের সঙ্গে। আমেরিকার বিপুল অর্থ সাহায্যের ওপর পাকিস্তান আর্মি নির্ভরশীল না হলে বহুদিন আগে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যেত। পাকিস্তানেও আমেরিকাকে জনতা ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরেকটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হতো।
আমেরিকাকে আফগানিস্তান থেকে ইরাকের মতো মুখরক্ষার বিজয় (ঋধপব ংধারহম ারপঃড়ৎু) ঘোষণা করে বেরিয়ে আসতে হলে পাকিস্তানের আর্মি ও ইনটেলিজেন্সের সাহায্য দরকার। পাকিস্তানেও তাঁবেদার সিভিলিয়ান সরকারের সঙ্গে নয়, দেশটির প্রকৃত শক্তি আর্মি ও আইএসআইয়ের সঙ্গেই আমেরিকাকে একটা জগাখিচুড়ির আপস করতে হবে। তাতে পাকিস্তান বিলুপ্ত হবে না। সে তার স্বাধীনতা আংশিকভাবে ফিরে পাবে। পাকিস্তানে ও আফগানিস্তানে যদি তালেবান অথবা তালেবান সমর্থকরা প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবেও আবার ক্ষমতায় বসে, তাহলে মার্কিন মৈত্রীর পাহারার কোলে বসেও ভারত সন্ত্রাসমুক্ত হতে পারবে না। বরং আমেরিকার মৈত্রী পঞ্চাশ বছরে পাকিস্তানকে আজ যে অবস্থায় এনে দাঁড় করিয়েছে, ভারতকেও একদিন সে অবস্থায় নিয়ে দাঁড় করাতে চাইবে। পাকিস্তান থেকে রফতানিকৃত সন্ত্রাস ভারতের জন্য যতটা ভয়াবহ নয়; উপমহাদেশে আগ্রাসী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অনুপ্রবেশ এবং তাদের সহযোগিতায় দেশটির উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে যদি হাফ তালেবানি রাষ্ট্রও প্রতিষ্ঠা পায়, তবে সেটাই হবে ভারতের গণতন্ত্রের জন্য, গান্ধী-নেহেরুর ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।
উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে বিতাড়নের পর তাদের চেয়েও আগ্রাসী চরিত্রের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে যে কোন কারণে অনুপ্রবেশ করতে দিলে তার কী বিপজ্জনক পরিণতি হবে, এটা পাকিস্তান বুঝতে না পেরে খাল কেটে কুমির এনে যে ভুল করেছে, তার খেসারত আজ দেশটির ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে তারা দিচ্ছে। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওয়াহেরলাল নেহেরু এই সত্যটা উপলব্ধি করেছিলেন বলে ভারতের চরম সংকটের মুহূর্তেও তিনি আমেরিকার প্রলোভনের ফাঁদে পা দেননি।
পাকিস্তানে জেনারেল আইয়ুবের নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট আর্মি শাসন প্রতিষ্ঠায় সফল হওয়ার পর আমেরিকা দিল্লিতে নেহেরুর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল মার্কিন তদারকিতে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুক্ত দেশরক্ষা ব্যবস্থা (ঔড়রহঃ ফবভবহপব ংুংঃবস) গড়ে তোলার। তাতে ভারতের লাভ হতো এবং পাকিস্তানের স্বাধীন অস্তিত্বই চলে যেত। অবশ্য উপমহাদেশে আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হতো মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের। পাকিস্তানি জেনারেলরা এই প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু প্রত্যাখ্যান করেছিলেন রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অধিকারী জওয়াহেরলাল নেহেরু।
ষাটের দশকের গোড়ায় চীন-ভারত হিমালয়ান যুদ্ধে ভারত যখন পরাজিত হয়, তখনও ভারতকে মার্কিন আণবিক রক্ষাব্যবস্থার অধীনে এনে নিরাপত্তা দানের প্রতিশ্র“তি দিয়ে একটি সামরিক চুক্তি সম্পাদনের (অঃড়সরপ ঁসনৎবষষধ-ঃৎবধঃু) প্রস্তাব দিয়েছিল ওয়াশিংটন। নেহেরু দৃঢ়তার সঙ্গে সেই প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। যদি সেদিন নেহেরু ওয়াশিংটনের প্রস্তাব গ্রহণ করতেন, তাহলে চীনের বহু আগে মার্কিন প্রেমের বাহুডোরে বাঁধা পড়ত ভারত। সেই আলিঙ্গনে ভারতের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব কতটা রক্ষা পেত তা বলা মুশকিল। তার অবস্থা আজকের পাকিস্তানের মতোও হতে পারত। চীন যে পরবর্তীকালে মার্কিন প্রেমালিঙ্গনে আবদ্ধ হয়েও শেষ পর্যন্ত আÍরক্ষা করতে পেরেছে তা তার শক্ত কম্যান্ড-অর্থনীতি এবং লৌহকঠিন কমিউনিস্ট রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য।
পঞ্চাশের ও ষাটের দশকে ভারতের স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক অস্তিত্বের প্রকৃত হুমকি সম্পর্কে নেহেরুসহ তখনকার কংগ্রেস সরকার যে সত্যটি অনুধাবন করেছিলেন এবং সেই হুমকি মোকাবিলায় যে প্রজ্ঞার পরিচয় দেখিয়েছিলেন, বর্তমানের কংগ্রেস নেতৃত্ব ও সরকার সেই সত্য অনুধাবনে এবং সেই প্রজ্ঞার পরিচয় দেখাতে সম্পূর্ণ অক্ষম বলে মনে হয়। মনে হয়, গান্ধী-নেহেরু ও ইন্দিরার সেই ভারত আজ আর নেই। ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বুদ্ধি ও প্রজ্ঞার দেউলিয়াত্ব আজ বড় বেশি প্রকট। এশিয়ান সুপার পাওয়ার হওয়ার লোভে ভারত আজ যে পথ ধরেছে, তা সুপার পাওয়ার হওয়ার পথ নয়, আÍধ্বংসের পথ।
কেবল পাকিস্তানের সঙ্গেই তো ভারতের সম্পর্কে খারাপ নয়। যে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা অর্জনে ভারত এতো সাহায্য করেছে, সেই বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক এতো অস্থিরতাময় কেন? নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে তার সম্পর্ক কী? শ্রীলংকার সঙ্গে সম্পর্কও কি খুব মধুর? আমেরিকার প্ররোচনায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক পাতাতে গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গেও ভারতের আগের সম্পর্ক নেই। ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘকালের বন্ধু ইরানের সঙ্গেও তার মৈত্রী এখন ভাসা ভাসা।
পাকিস্তানের সঙ্গে শত্র“তা এবং কাশ্মীর সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আফগানিস্তানের সঙ্গে (তালেবানদের ক্ষমতা দখলের আগে পর্যন্ত) ভারতের সম্পর্কে ছিল সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ। সেই আফগানিস্তানে ভারতের কাবুল দূতাবাস সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। এজন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে লাভ নেই। এই হামলা চালিয়েছিল আফগানরাই। আফগানিস্তানে মার্কিন হামলার পর সেই দেশটির পুনর্গঠন ও উন্নয়নে সাহায্যদানের নামে ভারত সেখানে গিয়ে মার্কিন আগ্রাসনের সহযোগী হওয়ার পরই সে দেশটিতেও ভারতবিরোধী মনোভাব দেখা দেয়। পাকিস্তান এখন সেই সুযোগ গ্রহণ করছে মাত্র। পাকিস্তান চায় না, ভারত একেবারে তার বুকের মধ্যে ঘাঁটি গাড়–ক।
দিল্লির না জানার কথা নয়, মার্কিন-কথিত সন্ত্রাসবাদ ভারতের জন্য বড় সমস্যা নয়। আর আমেরিকার তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে সহযোগী হয়ে ভারত কখনও এই সমস্যার উচ্ছেদ ঘটাতে পারবে না। কাশ্মীর সমস্যার একটা শান্তিপূর্ণ ও সন্তোষজনক সমাধান দ্বারা ভারত এই সন্ত্রাসের সমস্যার বড় কারণটি দূর করতে পারে। পাকিস্তান যদি ধ্বংসও হয়ে যায় এবং কাশ্মীর সমস্যা মীমাংসিত না হয়, তাহলেও ভারতে এই সন্ত্রাসের সমস্যা থেকেই যাবে। আর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে যদি তালেবান-আধিপত্য আবার ফিরে আসে, তাহলে ভারতের জন্য সন্ত্রাসের সমস্যা হাজারগুণ বাড়বে। রণক্লান্ত আমেরিকার মৈত্রী ভারতের কোন কাজে আসবে না। মার্কিন সামরিক সহযোগিতাও নয়।
এশিয়ার শ্রেষ্ঠ এবং বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের দায়িত্ব, উপমহাদেশের শান্তি, সমৃদ্ধির বৃহত্তর স্বার্থে নিজের ভূমিকাকে সংশোধন করা। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হলে ভারত শুধু সন্ত্রাসের থাবামুক্ত হবে না, পাকিস্তানকেও এই অঞ্চলে তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ও উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে পাবে। পাকিস্তানকে চিরবৈরী ভেবে দেশটি সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তে ধ্বংস হবে এই আশায় উল্লসিত হয়ে নয়, এই দেশটি যাতে সাম্রাজ্যবাদের কবলমুক্ত হয়, সে চেষ্টাতেই গণতান্ত্রিক ভারতের সব উদ্যোগ ও শক্তি নিয়োগ হওয়া উচিত। পাকিস্তান সাম্রাজ্যবাদের কবলমুক্ত হলে সেখানে সামরিকতন্ত্র এবং সন্ত্রাসী মৌলবাদও পরাজিত হবে। পাকিস্তানের গত ষাট বছরের ইতিহাস কি সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের জালে জড়িত হওয়ার ইতিহাস নয়?
সাম্রাজ্যবাদের আশ্রয়ে নিরাপত্তা খুঁজতে গিয়ে পাকিস্তান আজ ধ্বংসের মুখোমুখি। সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে আপস করে বাঁচতে গিয়ে সাদ্দামের ইরাক, গাদ্দাফির লিবিয়া আজ ধ্বংসস্তূপ। পাকিস্তানের পরিণতি থেকে ভারতের শিক্ষা নেয়া উচিত। সন্ত্রাস ভারতের বড় শত্র“, আসল শত্র“ নয়। সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে মিতালি পাতিয়ে পাকিস্তানকে ধ্বংস করে এবং চীনকে জব্দ করে ভারত যদি সুপার পাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখে, তাহলে তা হবে তার বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্বের বুদ্ধি ও প্রজ্ঞার দেউলিয়াত্বের পরিচায়ক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ