রবিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১২

এখনকার মুসলিমদের অবস্থা ঠিক তেমনি যেমনটি আল্লাহ তায়ালা গজবপ্রাপ্ত ইহুদি খ্রিস্টানদের অবস্থা বর্ণনা করেছেন কুরান শারিফ এ

“পর্দা” – পুরুষ ও মহিলার জন্য ইসলাম ধর্মের একটি অবশ্য পালনীয় বিধান।আমাদের সমাজে এখন একটি ধারনা জন্মেছে যে ইসলাম ধর্মে পর্দা পালনের নিয়ম হল শুধু মেয়েদের জন্য! কিন্তু ইসলাম ধর্মে পুরুষ ও মহিলা উভয়কে পর্দা করতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছেঃ “ যে দ্যাখে ও দ্যাখায় উভয়ের উপর আল্লাহ’র গজব অবতীর্ণ হয়। ” বলা হয়েছেঃ “দাইয়ুস কখনও বেহেস্তে প্রবেশ করতে পারবে না।” দাইয়ুস হল সেই পুরুষ যে নিজে পর্দা করে না এবং তার অধিনস্ত পরিবারবর্গ (স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ইত্যাদি) কে পর্দা করায় না।

এক সময় সমস্ত পৃথিবী মুসলিমরা শাসন করেছে। এই উপমহাদেশ দুইশ বছর ব্রিটিশদের দ্বারা শাসনের আগে প্রায় এক হাজার বছর মুসলিমদের দ্বারা শাসিত হয়েছে। ষষ্ঠ মুজাদ্দিদ খাজা মইনুদ্দিন চিশতী রহমতুল্লাহ আলাইহি কে প্রায় এক হাজার বছর আগে হিন্দুস্থানে হিদায়েতের জন্য আল্লাহ’র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম পাঠান। এর পর আজ পর্যন্ত যত মুজাদ্দিদ গন এসেছেন তারা সবাই উপমহাদেশেই এসেছেন। তারা আমাদেরকে ইসলামের আলোকে আলোকিত করেছেন। জ্ঞান- বিজ্ঞান , অর্থ- সাম্রাজ্য সব কিছুই মুসলিমদের ছিল। কিন্তু আল্লাহ’র বিধি বিধান অমান্য করার জন্য যেমন ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা আল্লাহ’র গজবে পতিত হয়েছে ঠিক তেমনি এখন মুসলিমরা আল্লাহ’র গজবে আপতিত হয়ে ইহুদি খ্রিস্টান কাফের দের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে। এখনকার মুসলিমদের অবস্থা ঠিক তেমনি যেমনটি আল্লাহ তায়ালা গজবপ্রাপ্ত ইহুদি খ্রিস্টানদের অবস্থা বর্ণনা করেছেন কুরান শারিফ এ।
মূলত মুসলিমদের পতনের কারণ হল আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান থেকে দূরে সরে গিয়ে গজবপ্রাপ্ত ইহুদি খ্রিস্টান কাফের দের অনুসরণ অনুকরন করা, আল্লাহ’র উপর তাওয়াককুল (সকল বিষয়ে আল্লাহ’র উপর ভরসা করা) না করা, আল্লাহ’র প্রদত্ত পথের উপর ইস্তিকামত ( অটুট ) না থাকা। এগুলো যে বা যারা করতে পারবে তারা অবশ্য ইহকালে ও পরকালে সফলতা লাভ করবে। মনে রাখতে হবে যারা আল্লাহ’র গজব প্রাপ্ত যেমনঃ ফেরাউন, নম্রুদ , কারুন এদেরও টাকা পয়সা, সাম্রাজ্য ছিল কিন্তু মানসিক শান্তি কখনই ছিল না। ইমানদার দের জন্য সব চাইতে বড় প্রাপ্তি আল্লাহ’র রহমত ও মানসিক শান্তি। সেটি শুধুমাত্র আল্লাহ’র মুমিন বান্দারাই পেয়ে থাকেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ