সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১২

হে শান্তির ফেরিওয়ালা আপনার কুত্তলীগকে সামলান......


দেশের এমন কোনো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই,
শিক্ষক, পুলিশ সহ দেশের এমন কোনো পেশাজীবি বাদ নেই যে গত ৩বছরে ছাত্রলীগে তাদের উপর আক্রমন বা অত্যাচার করেনি....
হায়!!! এর শেষ কোথায়.........?

বুয়েটের পর এবার কুয়েটে "ছাত্রলীগের সাধারন ছাত্রদের উপর হামলা"- উত্তপ্ত ক্যাম্পাস
কাল রাত থেকে শুরু হওয়া ছাত্র লিগের অনবরত হামলায় কুয়েট ক্যাম্পাস উত্তপ্ত। জানা যায়, অমর একুশে হলে, হলের ফিস্ট নিয়ে এই তুলকালাম ঘটনা।
বুয়েটের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দেশের আরেকটি সেরা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা। নিহত কত এখনো সঠিকভাবে জানা না গেলেও প্রচুর ছাত্র আহত।
ঘটনার সুত্রপাত, হলের ফিস্ট কে কেন্দ্র করে। হলের ফিস্ট হলো, মাসের একদিন বিশেষ খাবার। আর অমর একুশে হলের আয়োজক কমিটির বেশিরভাগ ছিল ছাত্রলীগের। সাধারন ছাত্রদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিলেও সে অনুযায়ী খাবার সরবরাহ না করে বেশিরভাগ টাকা লীগের বড় ভাইদের হস্তগত হয়ে গেলে সাধারন ছাত্ররা এর প্রতিবাদ করে।
এর ফলে ছাত্রলীগ, কুয়েট শাখার নেতা কর্মীরা ধারালো অস্ত্র সহ সাধারন ছাত্র ছাত্রীদের উপর হামলা করে।
শেষ খবর পর্যন্ত জানা যায়, আজ বেশিভাগ ক্লাস বন্ধ ছিল এবং এখনো ছাত্রলীগ ও সাধারন ছাত্রদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
পুলিশ ও প্রশাসন বরাবরের মতো নিরব দর্শকের ভূমিকায়।

কুয়েট অনিদির্স্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা। হল খালি করার নির্দেশ প্রসাশনের। সাধারন ছাত্ররা হল ছাড়তে অপারগতা জানিয়ে নোটিশ ছিঁড়ে ফেলছে।সবাই এক জায়গায় জড় হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
হলের বাহিরে ছাত্রলীগের সশস্র অবস্থান। পুলিশ ঘিরে রেখেছে হল। কার্যত এখনো অবরুদ্ধ সাধারন ছাত্র ছাত্রীরা। না পারছে বাহিরে বের হতে, না পারছে ভিতরে থাকতে।
এখন পর্যন্ত ২০জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত। একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও কেউ খবরের সত্যতা জানাতে পারেনি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ