সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১২

আগামী তিন বছর বিদ্যুতের দাম কর্তৃক ধর্ষিত হইতে হবে জাতিকে--মাল চাচা !!!


র্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘ভর্তুকি কমাতে আগামী তিন বছর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। এর পর থেকে তা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।’ সার্বিক বিদ্যুত্ পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল রাজধানীর আবদুল গণি সড়কে বিদ্যুত্ ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ আরও বাড়বে।
বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার ও তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া সভায় প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পরপরই এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বাড়ানো একটা চলমান প্রক্রিয়া। তিন বছর পর্যন্ত দাম বাড়বে তা ঠিক নয়। অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি।’ জ্বালানি মূল্যের সঙ্গে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জ্বালানির মূল্যের সঙ্গে অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়।’
আর কতবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, তিন বছর পর্যায়ক্রমে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমিয়ে আনা হবে। অর্থমন্ত্রী বিদ্যুতের দাম তেমন একটা বাড়েনি বলেও বিবিসির প্রশ্নের জবাবে বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের উত্পাদন বাড়াতে শুধু ভারত থেকে নয়, আরও কয়েকটি দেশ থেকে আমদানির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নেপাল ও ভুটানের নাম উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুত্ খাতের বর্তমান সার্বিক চিত্র তুলে ধরে বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এএসএম আলমগীর কবীর বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে মোট ২ হাজার ৮৯৪ মেগাওয়াট অতিরিক্তি বিদ্যুত্ যোগ হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৫৬ মেগাওয়াট, ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৭৫ মেগাওয়াট এবং গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭৬৩ মেগাওয়াট।
এ ছাড়া এ পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৩১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৪৯টি বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি রেন্টাল, ১৭টি কুইক রেন্টাল (দ্রুত ভাড়াভিত্তিক), ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি) ১১টি এবং সরকারি খাতে ১৮টি। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ২৪টি থেকে ১৯৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে বলে জানান আলমগীর কবীর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ