গোলাম আযম বলেন ভারত থেকে পাকিস্তান ভাগ হওয়ার পর ২৫ বছর পর্যন্ত ভারত যে আচরণ করেছে, তাতে ভারতকে কোন মতেই বন্ধু মনে করার কারণ ছিল না। যখন বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধি আওয়ামীলীগের নেতারা ভারতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর কাছে ধরনা দিল, যে আমাদের মুক্তির জন্য আপনারা সাহায্য করেন। তখন আমরা চিন্তা করলাম ভারততো আমাদেরকে স্বাধীন করতে আসবে না। তারা আসবে তাদের স্বার্থে, তারা এসেছেও তাদেরই স্বার্থে।
তাদের স্বার্থ গুলো হচ্ছে
২। বাংলাদেশ ভূখণ্ড যেহেতু ভারতের বিতরে, সেহেতু বাংলাদেশ আলাদা একটা দেশ হলেও এই দেশ ভারতেরই আধিপত্যের অধীনে থাকতে বাধ্য হবে।
৩। পাকিস্তানের মেজরিটি এলাকা অর্থাৎ পাকিস্তানের যে অংশে জনসংখ্যা বেশি সে অংশকে তাদের পণ্যের মার্কেট বানানো।
আমাদের সাথে স্বাধীনতার পর ৪০ বছরের ভারতের আচরণ কি গোলাম আযম সাহেবের কথার সত্যতা প্রকাশ করে না?
গোলাম আযম সাহেবরা আরও যে আশঙ্কা গুলো করেন নি।
১। সাংস্কৃতিক অগ্রাসন।
২। ট্রানজিটের নামে বাংলাদেশকে ব্যবহার।
৩। বাংলাদেশের নদী গুলোতে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে রূপান্তর।
৪। বাংলাদেশের মুসলিম প্রধান জনগোষ্ঠীকে পথভ্রষ্ট করে ধর্মহীন করা।
৫। ভারতীয় পচা পণ্যের বাজার, যেমন: পেনসিডেল, ইয়াবা, অস্র, দিয়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মানুষকে ধ্বংস করা।
৬। বাংলাদেশের সরকারের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে রেখে দেশর মানুষকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া।
৭। বিশ্বের শ্রমবাজার থেকে বাংলাদেশের শ্রমশক্তিকে দাবিয়ে রাখার সুযোগ।
৮। বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর ব্যবহার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন