বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১২

নাস্তিকের কিছু অখন্ডণীয় এবং অসাধারণ যুক্তি, যা সাধারণ মানুষের জ্ঞানের বাইরে

খন্ডকালীন দাঁড়ি রাখেন মাঝে মাঝেই, কাপড় ধোয়ার বালাই নাই, জুতা-মোজায় তীব্র গন্ধ!! বিড়ি-তামাক দিয়ে শুরু, তারপর গঞ্জিকা-বাংলা-ভদকা হয়ে রজঃ (ঋতুস্রাব, বীর্য, এবং প্রস্রাব মিশ্রিত এক ধরণের জিনিষ যা বাউল সম্প্রদায় খেয়ে থাকে) দিয়ে শেষ। আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেন চিন্তা করেন; আসলে চিন্তা নয়, ভাব। উনি যে ভীষণ (দুঃ)চিন্তাবিদ সেটা মাঝে মাঝে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে সচেষ্ট থাকেন। লেনিন বা মার্ক্সবাদীতা বুঝাইতে চান মানুষকে, দু-একটা বইও রাখেন। এভাবে তারা সমাজের উঁচু থেকে উঁচুতে উঠে যান। একসময় যার কথায় থু থু আসতো, ঘুমালে লালা পড়তো, সেই কিনা কালের বিবর্তনে চুশীল/প্রগুদিশীল/প্রচুদিশীল তথা সমাজের বিবেক হয়ে যান আস্তে আস্তে।

জি ভাই, আমি একজন নাস্তিকের কথা বলছি। উনাদের প্রথম ধর্ম হচ্ছে উনারা যুক্তিবাদী। অসাধারণ সব যুক্তি দিয়ে থাকেন যা খন্ডানোর উপায় নেই এবং যা সাধারণ মানুষের মাঝে মোহ সৃষ্টি করে। নীচে আমি উনাদের দেয়া কিছু অখণ্ডনীয় এবং অসাধারণ যুক্তি উপস্থাপন করছিঃ


১। পূর্বদিকের দাবী সূর্য অন্যদিকে উদিত হউকঃ

সৃষ্টির আদিকাল থেকেই সূর্য পূর্বদিকে উঠছে। পূর্বদিকটার দাবী, তার পশ্চাৎদেশ পুড়ে যাচ্ছে এবার সূর্যকে অন্যদিক থেকে উঠতে হবে। আর তাছাড়া সম-অধিকারের নিয়মে দশদিকের সব দিকেই সূর্য উঠলে তার ভাগে পড়ে প্রতি দশ দিনে একদিন, তাহলে তার কষ্টের পরিমাণও কমে যায়।

যদিও দিক বলে কিছু নাই, এটা জাস্ট ফ্রেম-অব-রেফারেন্স।


২। টয়লেট বলে তাকে ইমারত বানানো হোকঃ

লোকজন শুধু খায় আর হাগে। হাগার সাথে পাদ-প্রস্রাবও কম করে না মানবজাতি। তার বিপরীতে ইমারত কি না শান্তিতে আছে। সাজানো-গোছানো-পরিপাটী-আতর-লোবান-গোলাপ জল-ধূপ। টয়লেটের আকুল আবেদন, তাকে ইমারত বানানো হোক।

৩। চেয়ার বলে তাকে টেবিল বানানো হোকঃ

লোক শুধু পাছা-ই ঠেকায় না, মাঝে মাঝে পাদও মারে। এমনি পাছার গন্ধ তারপর আবার পাদ, এযেন "কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা"।

৪। পুরুষ-বিদ্বেষী তথা ঈশ্বর-বিদ্বেষী (ভগবানে সমস্যা নাই) খসলিমা লেসবিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে মুততে চানঃ


উনার বাবা পুরুষ, বিয়েও করেছিলেন পুরুষকে, লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে তিনি অনেক পুরুষের সঙ্গী (নিন্দুকেরা বলে সয্যা-সঙ্গী, অবশ্য তিনি নাকি তার কোন্‌ বইয়ে উল্লেখ করেছেন) হয়েছেন। কিন্তু এই পুরুষের খাসলতের কারণে তিনি পুরুষকে সহ্য করতে পারেন না। উনার খায়েশ হয়েছে উনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুরুষের মত প্রস্রাব করবেন। অবশ্য যান্ত্রিক জটিলতার কারণে তিনি তা করতে পারছেন না। তিনি যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতের অর্ডার দিয়েছেন কি-না, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অজানা রয়ে গেছে।


ধন্যবাদ সবাইকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ