সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১২

কেন মেজর জিয়া সদর দপ্তর লজিস্টিক্স এরিয়ায় যোগদান না করে পলাতক রয়েছেন? আইএসপিআর কোন জবাব দিতে পারলেন না।

ই-মেইলে অপহরণের অভিযোগকারী মেজর জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়। ‘জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় মেজর জিয়াকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের ওপর সেনাসদরের বক্তব্য’ শীর্ষক ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমআইএসটি থেকে কোর্স সম্পন্ন শেষে বদলিকৃত ইউনিট ৩ই বেঙ্গলে যোগদানের জন্য মেজর জিয়াকে গমনাদেশ দেয়া হয়। পরবর্তীতে সেনা শৃঙ্খলাপরিপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি তাকে সদর দফতর লজিস্টিকস এরিয়া, ঢাকা সেনানিবাসে সংযুক্তি আদেশ প্রদান করা হয়। উক্ত আদেশ মোতাবেক মেজর জিয়া সদর দফতর লজিস্টিকস এরিয়ায় যোগদান না করে পলাতক রয়েছেন বিধায় সেনা আইন অনুযায়ী এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সেনাবাহিনীতে কর্মরত লে. কর্নেল যায়ীদ ও লে. কর্নেল হাসিন শৃঙ্খলাপরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে সেনা আইনের সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় এবং গ্রেফতারের পর পরই গত ১১ জুলাই ২০১১ তারিখে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। আদালত সুষ্ঠু তদন্ত শেষে তাদের সুপারিশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করেন এবং উক্ত সুপারিশের ভিত্তিতে লে. কর্নেল হাসিনের বিরুদ্ধে ১১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে একটি ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল গঠন করা হয় এবং বিচার কার্যক্রম চলমান আছে। বর্তমানে উক্ত আদালতের প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের শুনানি গ্রহণ চলছে। তাই পত্রিকায় উল্লেখিত ‘অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনরূপ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি এবং ১৫০ দিন পার হওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল গঠন করা সম্ভব হয়নি’ মর্মে প্রকাশিত বক্তব্য সঠিক নয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী এবং সুনির্দিষ্ট আইনের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। সেনা আইনের বিধানগুলো পালন এবং অনুকরণে সেনাবাহিনী সদা সচেষ্ট। সেনাবাহিনী সম্পর্কে যে কোনো অসত্য, বানোয়াট এবং কল্পনাপ্রসূত তথ্য প্রচার ওই বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার এবং দেশের সাধারণ জনগণের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস মাত্র।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায়ও গত ৩ জানুয়ারি ‘মেজর জিয়াকে নিয়ে রহস্য’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ফেসবুক ও ই-মেইলে মেজর জিয়ার বক্তব্য প্রতিবেদনে তুলে ধরার আগে আইএসপিআরে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদন প্রকাশের পরদিন গতকাল আইএসপিআর একটি বক্তব্য পাঠিয়েছে। 


পুরো নাম মেজর জিয়াউল হক। সংক্ষেপে ডাকা হয় মেজর জিয়া। ই-মেইল ও ফেসবুকে দেয়া তার জবানবন্দি নিয়ে নানা রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। নিজেকে ৪১ বিএমএ লং কোর্সের একজন অফিসার দাবি করে ফেসবুক ও ইন্টারনেটে তার নামে একটি জবানবন্দি প্রকাশ করা হয়েছে। মেজর জিয়ার এ বক্তব্যের রহস্য সম্পর্কে জানার জন্য আমার দেশ-এর পক্ষ থেকে অনুসন্ধান করা হয়। এ নিয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের বক্তব্য কী—জানার জন্য সংস্থার পরিচালকের সঙ্গে একাধিকার যোগাযোগ করা হয়েছে। গতকাল বিকাল ৩টা ৪৭ মিনিটেও ফোন করা হয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগে। বিপরীত দিক থেকে বলা হলো, স্যার মিটিংয়ে আছেন। কখন মিটিং শেষ হবে বলা যাচ্ছে না। একপর্যায়ে কী বিষয়ে ফোন করা হয়েছে, জানতে চাওয়া হয়। ফেসবুকে মেজর জিয়ার বক্তব্য ও ই-মেইল জবানবন্দি প্রসঙ্গে বলা হলে জানানো হয়, এ বিষয়ে এখান থেকে কিছুই বলা যাবে না। এটা নিয়ে সেনা সদর দফতর বা সামরিক গোয়েন্দা পরিদফতর জানাতে পারবে। এ টেলিফোনের আগে বিষয়টি জানতে সরাসরি ক্যান্টনমেন্টে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
গেটে বসিয়ে রেখে বলা হয়, সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া যাওয়া যাবে না। চেষ্টা করা হয়েছে ফেসবুক জবানবন্দিতে মেজর জিয়াউল হকের দেয়া বাসার ঠিকানায় যাওয়ার; মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে পলাশ ভবনের ডি-১৩/১নং ফ্ল্যাট-এর কথা বলা আছে সেখানে। সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট গেটে একই কথা বলা হয়, সাংবাদিক প্রবেশে উপরের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ফেসবুক বা ই-মেইলে প্রচারিত মেজর জিয়াউল হকের জবানবন্দি অনুযায়ী, তাকে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অপহরণ করেছিল। দুই দিন দুই রাত আটক রাখার পর কৌশলে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে কোর্স শেষে বদলিকৃত রেজিমেন্টে যোগদানে যাওয়ার পথে তিনি অপহৃত হন। ৩ বিআইআরে (বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট) তাকে বদলি করা হয়েছিল। সেখানে যাওয়ার পথে সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তুলে নেয়ার পর অজ্ঞাত স্থানে রেখে চোখ বেঁধে তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জবানবন্দিতে প্রকাশিত বর্ণনা অনুযায়ী, বাংলাদেশীদের পাশাপাশি পাশের একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যও ছিল সেখানে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত পাশের রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দোভাষীর মাধ্যমে এমন কিছু তথ্য তার কাছে জানতে চেয়েছে, যা একটি স্বাধীন দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল।
মেজর জিয়াউল হকের প্রকাশিত জবানবন্দি মতে, তাকে আবারও অপহরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য এখন আত্মগোপনে রয়েছেন এবং নিরাপদ কোনো স্থানে চলে যেতে চাচ্ছেন। প্রকাশিত জবানবন্দিতে বলা হয়, যারা তাকে অপহরণ করেছিল তারা চায়নি আর চাকরিতে যোগদান করুক। তার এ অপহরণের বিষয়টি সেনাবাহিনীর অনেক অফিসার জেনেও না জানার ভান করছেন। প্রকাশিত জবানবন্দিতে তিনি বলেন, লে. কর্নেল জায়েদী, লে. কর্নেল হাসিন ও লে. কর্নেল এহসান ইউসুফ নামে দেশপ্রেমিক তিন সেনা অফিসারকে গ্রেফতার দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি রাখা হয়েছে। পুরাতন আর্মি হেডকোয়ার্টার মেসে তারা আটক আছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
এতে তিনি আরও বলেন, সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কেন্দ্রীয় এবং ৬৪টি জেলাভিত্তিক ফিল্ড অফিসের মেধাবী অফিসারদের ব্যবহার করে আবারও এক-এগারোর মতো আরেকটি পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। গোয়েন্দা বিভাগের কিছু অফিসার পাশের দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। তার লেখা জবানবন্দি অনুযায়ী, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সরকারি ও বিরোধী উভয় দলের বড় ক্ষতি হবে।
সেনা অফিসারদের বিনাবিচারে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে বন্দি করে রাখা প্রসঙ্গে সাবেক সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমার দেশ-কে বলেন, ১৫০ দিনের বেশি সময় ধরে লে. কর্নেল পদমর্যাদার দুই অফিসার আটক আছেন বলে তিনিও জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, যতটুকু জানি এদের একজন গত ৯ জুলাই ও আরেকজন ১২ জুলাই কর্মরত অবস্থায় গ্রেফতার হন। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো বিচার শুরু হয়নি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের আর্মি অ্যাক্টের ৭৫ ধারা অনুযায়ী, অভিযোগের ভিত্তিতে সেনা অফিসারদের গ্রেফতার করা যায়। এ ধারায়ই বলা আছে, গ্রেফতারের ৮ দিনের ভেতর কোর্ট মার্শাল গঠন করতে হবে। ৮ দিনের মধ্যে কোর্ট মার্শাল গঠন করা সম্ভব না হলে উপযুক্ত কারণ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে আইনে। তিনি বলেন, আইনেই বলা আছে, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে কোর্ট মার্শাল গঠন করতে না পারলে আটক ব্যক্তিদের মুক্ত করে দিতে হবে। ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন বলেন, ১৫০ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল গঠন করা সম্ভব হয়নি। এতে অনুমান করা যায় প্রমাণ করার মতো কোনো অভিযোগ এ অফিসারদের বিরুদ্ধে নেই। প্রমাণের মতো অভিযোগ থাকলে কোর্ট মার্শাল গঠন হয়ে যেত।
এদিকে গত শুক্রবার সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের অফিসার পরিচয় দিয়ে দৈনিক আমার দেশ-এর বার্তা সম্পাদককে ফোন করা হয়। তাকে ফোনে বলা হয়, আপনারা সেনাবাহিনীর একটি বিষয় নিয়ে সংবাদ করছেন। সেটা ছাপাবেন না। এটার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয় জড়িত। আমার দেশ থেকে বলা হয়, আমরা এ সম্পর্কে সেনা গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্য চাচ্ছি। বক্তব্য পেলে আমরা রিপোর্টটির সঙ্গে ছাপতে চাই। এতে প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে মানুষ অবহিত হতে পারবে। কিন্তু ওই অফিসার সংবাদটি যাতে ছাপা না হয় সে ব্যাপারেই কয়েকবার ফোন করে বলেন, আপনারা সংবাদটি ছাপবেন না। 
১.

গত পরশু আমি আমার এক মুসলিম ভাই, মেজর জিয়ার মেইল পাই। তাতে এমন কিছু ছিল যেটা পড়ে একই সঙ্গে দুঃখিত, ক্ষুব্ধ ও শংকিত হয়ে উঠি। দুঃখিত হবার কারণ এদেশ বিক্রির নির্লজ্জ প্রক্রিয়া দেখে; ক্ষুব্ধ হলাম দায়িত্বশীলদের নির্লিপ্ততায়, আর আতঙ্কিত হলাম জিয়া ভাই ও তার পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে।



চিঠিটা পড়ে ভাবলাম কি করা যায়? প্রথম কাজ - আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। দ্বিতীয় কাজ উনার অনুরোধ অর্থাৎ সশস্ত্র বাহিনীর ভিতরে যে একটা ষড়যন্ত্র চলছে সেটা প্রচার করার। এই খবর ছড়িয়ে কি লাভ হবে? দেশের শত্রুরা ভয় পাবে, ষড়যন্ত্র বাদ দিয়ে ভাল মানুষ হয়ে যাবে বা উনার বিপদ চলে যাবে এমনটা নয়। কিন্তু এ সম্বন্ধে অজ্ঞাত আর্মি অফিসার এবং সাধারণ মানুষ জানলে হয়ত কোন ব্যবস্থা নিতে পারে। হয়ত তাদের মনে পড়ে যেতে পারে পিলখানার হত্যাযজ্ঞের কথা। হয়ত তারা নিজেদের স্বার্থেই চিঠির বিষয়বস্তু তদন্ত করবে।



হয়ত করবে না।



যৌক্তিকভাবে বিচার করলে সম্ভাবনা নেতিবাচক হবারই কথা। মেরুদন্ডহীন বাঙালী নিজের ভাল দেখে, নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবে। দেশ উচ্ছন্নে যাচ্ছে? যাক! সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে এত দেশদরদ কার আছে? সবাই কি উনার মত পাগল যে আপোষ না করে শত্রুদের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নেবে? ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা স্বনামে জানিয়ে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারবে? নিজের দাবীর সত্যতা প্রমাণে বাসার ঠিকানা অন্তর্জালে দেবার স্পর্ধা দেখিয়ে পরিবারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে? উনার সাহসে আমি ভয় পেয়ে উনাকে মেইল করেছিলাম –



আমি খালি জানতে চাইছি ওদের আক্রোশের কারণ কি? আপনি তো কোন দল করেননা। আপনার ইসলামিক সংলগ্নতা নাকি ভারত-বিরোধী মনোভাব? আপনি বলেছেন আপনি সেফ জায়গায় যাচ্ছেন? ডিজিএফআই থেকে পালিয়ে বেড়ান মানে কি প্রকাশ্যে বিদ্রোহের সমমান না? জানিনা আপনি কি অবস্থানে আছেন, আল্লাহ আপনার সহায় হোন। আমি একটা লেখা লিখছি ইনশাল্লাহ, আপনার মেইল পড়ে যা বুঝছি তাই লিখছি। আপনি সুযোগ পেলে আমাকে মেল ব্যাক করেন। 





জিয়া ভাই এবং আমার উভয়ের প্রভু একজনই – আল্লাহ। তিনি আমাদের কথা দিয়েছেন -



আল্লাহ তোমাদের শত্রু সম্পর্কে সম্যক অবগত; তিনি রক্ষক হিসেবে যথেষ্ট এবং তিনি সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট। ১ 



সুতরাং আমি আল্লাহকে রক্ষক ও সাহায্যকারী হিসেবে জেনে, শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য লেখা শুরু করলাম। কাজটা যথেষ্ট ঝুঁকির কারণ আমি স্বনামে লিখি আর দেশে আমার পুরো পরিবার আছে। কিন্তু জিয়া ভাই যেখানে তার নিজের জীবন বিপন্ন করছেন সেখানে আমি বসে থাকি কিভাবে? যদি এর মাধ্যমে আল্লাহ এ দেশের মুসলিমদের কোন মঙ্গল রাখেন তাহলে আমরা আরেকটি কাশ্মির তৈরীর হাত থেকে রক্ষা পাব। আর যদি আমাদের এ চেষ্টা ব্যর্থ হয়, তাহলে অন্তত কিয়ামাতের মাঠে আল্লাহর কাছে বলতে পারব – হে আল্লাহ আমি আমার সবচেয়ে আপনজনদের চাইতেও তোমার সন্তুষ্টিকে বেশী প্রাধান্য দিয়েছিলাম।



২.

লেখার পরে আবিষ্কার করলাম দেশীয় দালালদের সাহায্যে ভারতের এই বিশাল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা খুব অসহায়। প্রায় একুশটি পত্র-পত্রিকা ও চ্যানলে উনার মেইলটা পাঠালাম – আমার জ্ঞানে এখনোবধি তার অপহরণের খবরটি আসেনি। দেশের ভবিষ্যত চিন্তায় অস্থির সকল ব্লগের সঞ্চালকরা সবখান থেকে লেখাগুলো মুছে দিলেন। একটা মানুষ তিন দিন ধরে বাড়ী ফিরছে না; কেন ফিরছে না সেই জবাবটা তার মুখ থেকে শোনারও ‘গণতান্ত্রিক’ অধিকার আমাদের নেই। অথচ ডেইলি স্টারের সাংবাদিক তাসনীম খলিলকে যখন ডিজিএফআই পিটিয়েছিল তখন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ৪৬ পৃষ্ঠার রিপোর্ট করেছিল। সিএনএনের কল্যাণে সারা দুনিয়া থেকে তৎকালীন সরকারের কাছে চিঠি এসেছিল, তাকে ছেড়ে দেবার জোর তদবির হয়েছিল। মুক্তমনারা সচল কন্ঠে গর্জে উঠেছিল। স্বয়ং মাহফুজ আনাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে আপোষরফা করেছিল।



কিন্তু এবার যেহেতু ডিজিএফআই এর সাথে র’ এর নাম জুড়ে গেল অনেকেই তারস্বরে চিৎকার করল: গুজব! বানান গল্প! আরে বাবা, আর্মির লোক আর্মির বিরুদ্ধে মিথ্যা গল্প বানিয়ে পালাবে কোথায়? কি লাভে? পালানোর মূহুর্তে এক পাতার মেইল করেছেন হয়ত তিনি কোথাও থেকে। বিস্তারিত বলার সুযোগ মেলেনি দেখে অনেক কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আল্লাহ কিছু মানুষের মাথায় এত বুদ্ধি দিলেন যে, তারা এর সাথে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্পর্ক অবধি খুঁজে পেল। জিয়া ভাইয়ের প্রথম স্ত্রী ক্যান্সারে মারা গিয়েছিলেন ছোট্ট একটা কোলের বাচ্চা রেখে - এ ব্যাপারটাকে নিয়ে মানুষজন হাসি ঠাট্টা শুরু করল। সাভার ক্যান্টনমেন্টে অবস্থানরত এবং MIST তে অধ্যায়নরত জিয়া ভাই MIST কর্তৃপক্ষ থেকে নির্দেশ পেয়ে সাভার থেকে ঢাকা রওনা দেবার পথে কিভাবে সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে অপহৃত হলেন – এ নিয়ে মানুষ ভুগোলের জ্ঞান ফলাতে শুরু করল। তার পালিয়ে যাওয়া নিয়ে এমন ভাব নেয়া শুরু করল যে দুনিয়াতে কেউ কখন শত্রুকে ধোঁকা দিয়ে পালাতে পারেনি – এমন কাজ ইতিহাসে তিনি প্রথম করলেন! অবশ্য বাংলাদেশকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র আসলেই চলছে পিলখানায় এতজন অফিসার মারা গিয়েও যখন প্রমাণ করতে পারলনা, জিয়া ভাইয়ের এই চিঠি সেখানে প্রমাণ হিসেবে অতি তুচ্ছ সন্দেহ নেই।



৩.

জিয়া ভাই এবং তার মত অনেক মানুষের গুম হওয়া, বহতা নদী তিতাসকে দু’ভাগ করে ফেলা, কোটি টাকার ট্রানজিট ফাও দেয়া, বাঁধ দিয়ে দেশকে মরু করে দেয়ার ব্যাপারগুলো হয়ত অনেককে খুব হতাশ করে ফেলে কিন্তু আমাকে করে না। কারণ আমি বিশ্বাস করি কুরআনের এই আয়াতে –



তারা গভীর চক্রান্ত করে, আর আমিও কৌশল করি। অতএব, কাফেরদেরকে অবকাশ দিন। তাদের অবকাশ দিন কিছু দিনের জন্যে। ২



তাই আমি হতাশ হই না, আল্লাহর উপর ভরসা করি। আল্লাহর উপরে যারা ভরসা করে তাদের জন্য তিনিই যথেষ্ট। এ দেশের ভবিষ্যত পূর্ব-নির্ধারিত। এবং এই নির্ধারণের কাজটা ভারত করেনি, আমেরিকাও করেনি। করেছেন আল্লাহ সুবহানাহু, বিশ্বচরাচর সৃষ্টিরও পঞ্চাশ হাজার বছর আগে। কালের পরিক্রমায় মানুষ কেন, এই বাংলাদেশ-ভারত সবই খুব তুচ্ছ ব্যাপার। কত সাম্রাজ্যের পতন হল, কত রাজা আসলো, গেল। কত সীমানা বদলে গেল! আল্লাহ আমাদের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করে সেখানে একজন মানুষ কি করে সেটা পরীক্ষা করেন। আর এ দিয়েই পরকালে ব্যক্তির প্রতিফল নির্ধারিত হবে। আমি এটা করলেই ওটা হয়ে যাবে, এমনটা নয়। যা হবার তা হবেই এবং সেটা মাথায় রেখেই আমাদের প্রাণপণে চেষ্টা করে যেতে হবে। আর সেই চেষ্টাটা হবে আল্লাহর বিধান মেনে, ইসলামের শিক্ষানুযায়ী। আবেগের বশে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্বেচ্ছাচারী দেশনেতাকে সপরিবারে হত্যা করলেই যে দেশে শান্তি আসেনা, অবস্থার পরিবর্তন হয়না সে প্রমাণ আমরা অতীতে পেয়েছি।



জিয়া ভাইএর কাজ তিনি করেছেন, সশস্ত্রবাহিনীর বদনাম নয়, বরং মঙ্গল চেয়ে সেখানে ঘাপটি মেরে বসে থাকা ভারতীয় চরদের মুখোশ খুলে দেবার যুদ্ধ করছেন। আমার সীমিত পরিসরে সে যুদ্ধটার কথা মানুষকে বলার চেষ্টা করেছি। মহান আল্লাহর কাছে দু’আ করেছি তার সফলতার জন্য আর আমার মুসলিম ভাইদের দু’আ করতে অনুরোধ করেছি। একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে আমি মাটির পুতুল বা কাঠের ক্রুশের কাছে প্রার্থনা করার মধ্যে যৌক্তিকতা খুজে পাই না। আল্লাহর কাছে দু'আ করতে বলেছি কারণ একমাত্র তিনিই মানুষ যা চাইছে তা দিতে পারেন – বাকি সমস্ত যা কিছুকে মানুষ ডাকে, তা সবই আল্লাহর সৃষ্টি এবং ভাল-মন্দ কোন কিছু করার ক্ষমতা তাদের নেই। ফলে সেই সমস্ত আহবানের কোন অর্থ হয় না, কেবল মানুষ নিজের সাথে নিজের প্রতারণা করে ফেরে।



হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, ‘পোশাকী ইসলাম’, ‘সেকুলারিজম’ ইত্যাদি ধর্মের অনুসারীরাও বাংলাদেশের অধিবাসী। তারা দেশকে ভালবাসে, এ নিয়ে আমার কোন সংশয় নেই। দেশকে ভালবাসা অধিকাংশ মানুষের জন্মগত বৈশিষ্ট্য। কিছু দালাল মনুষ্যত্বের নিম্নতম স্তরে নেমে এই চরিত্র বিসর্জন দিলেও বেশীভাগ মানুষের মধ্যে এটা এখনও অটুট আছে। তবে তারা আদৌ আমার কথা বিশ্বাস করবেন কিনা, কিংবা বিশ্বাস করলেও তাদের করণীয় কি সেটা বলবার এখতিয়ার আমার নেই। আমার আহবান কেবলমাত্র সত্যিকারের মুসলিম ভাইদের প্রতি, যেন তারা আপন সাধ্যে যা করা সম্ভব তা করেন এবং কায়মনবাক্যে আল্লাহর কাছে এই বিপদের দিনে সাহায্য চান। আপনারা বিশ্বাস করুন - আল্লাহ সাহায্য করবেনই।



তোমাদের রব বলেছেন: তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। ৩ 
একটি দুঃসংবাদ: বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

পাকবাহিনীর গণহত্যা নাকি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা – কোনটার জন্য জানিনা, ছোটবেলা থেকে আমি সামরিকবাহিনীর মানুষজনকে বেশী পছন্দ করতামনা। কিন্তু যেই মানুষটাকে দেখার পরে তাদের সম্পর্কে পাইকারী খারাপ মনোভাবটা বদলে যায় তিনি হলেন জিয়া ভাই। চাপদাড়ির সহাস্য এই মানুষটিকে দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি আর্মির মেজর। তার প্রথম স্ত্রীর ক্যন্সারে মৃত্যুর পর তিনি তার চেয়ে কয়েক স্তর উপরের অফিসারদের মুখের উপরে বলে দিয়েছিলেন যে আজকের জানাজার নামায রসুলের সুন্নাত অনুসারে হবে, আমরা সবাই সুরা ফাতিহা সহ সলাত পড়ব, এবং এর পরে কোন বিদ’আতি দু’আ হবেনা। আল্লাহ তাকে ইসলাম বোঝার এবং বোঝানোর এমনই ক্ষমতা দিয়েছিলেন যে তিনি গ্রামের সুর করে গল্প বলার মাহফিলে দাঁড়িয়ে ইসলামের সত্য বাণীর কথা বলে বেড়াতেন। শাস্তিমূলক বদলী হিসেবে তাকে পাহাড়ে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তাও তার সত্য বলা থামেনি। জুম’আর দিনে তিনি মসজিদে খুতবা দিয়ে মানুষকে ইসলামের পথে ডাকার অপরাধে (!) তাকে খুতবা দিতে নিষেধ করা হয়েছে।

আজ তার একটি ই-মেইল পেয়ে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। ২৩শে ডিসেম্বর রাতে তাকে ডিজিএফআই (Directorate General of Forces Intelligence) অপহরণ করেছিল! তাকে প্রথমে মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনলজি (MIST) থেকে জরুরীভিত্তিতে ঢাকা সেনানিবাসের লগ এরিয়ায় বদলীর আদেশ দেয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পথে সাভার বাস স্ট্যান্ড থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা। এরপরে তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সবচেয়ে আতঙ্কজনক ব্যাপার হচ্ছে প্রশ্নকারীদের তালিকায় যতজন বাংলাদেশী ছিল তার চেয়ে বেশী ছিল ভারতীয় অফিসার। এমনকি দোভাষীর মাধ্যমে র’এর কিছু এজেন্ট তার কাছে এমন কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে যা একটা স্বাধীন দেশের নিরাপত্তার অত্যন্ত সংবেদনশীল।

দু’দিন-দু’রাত পরে তিনি তথ্যভরা পেন-ড্রাইভে খোঁজার অজুহাতে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন, আলহামদুলিল্লাহ। দায়িত্বরত অবস্থায় এভাবে একজন আর্মির মেজরকে গুম করার ঘটনা অনেক পদস্থ অফিসার জেনেও না জানার ভান করতে থাকে। এই ভনিতা এবং বন্দীদশায় ভেসে আসা টুকরো যেসব কথা তিনি শুনেছেন তা এদেশের জন্য চরম অশনি এক সংকেত। কথাগুলো যদি জিয়া ভাই না বলতেন তাহলে আমি নিজে মনে করতাম থ্রিলার মুভির কাল্পনিক কন্সপিরেসি থিওরি। কিন্তু র’এর এজেন্টরা যখন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের পাশে বসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন মেজরকে জেরা করতে পারে তখন নিশ্চিত বোঝা যায় ডিজিএফআই এখন চালাচ্ছে ভারতীয় সরকার। জিয়া ভাইয়ের ভাষ্যে এরা সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কেন্দ্রীয় এবং ৬৪টি জেলাভিত্তিক ফিল্ড অফিসের মেধাবী অফিসারদের ব্যবহার করে এক-এগারর মত আরেকটি অবস্থা সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। র’এর সাথে হাত মিলিয়েছে কিছু উচ্চাভিলাষী জেনারেল। এরা বর্তমান শাসক দলকে মদদ দেয়ার ভান করছে কিন্তু যখন এদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে তখন খোদ সরকারী দলের অনেক বড় নেতাদের নির্মূল করা হবে। প্রসঙ্গত, ডিজিএফআই এর ডিজি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে। প্রধানমন্ত্রী যাদের হাতের পুতুল ভাবছেন তারা সেটা নয় এবং তারা যেটা চাচ্ছে সেটা সত্যি হলে সেটা খোদ প্রধানমন্ত্রীরও জীবনের অবসান ঘটাতে পারে। সাধারণ অফিসারদের ভুলিয়ে রাখার জন্য সম্প্রতি আর্মি অফিসার হাউসিং সোসাইটির (AOHS) এর জমির দলীল বিতরণের লোভ দেখান হয়েছে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে অনেক দেশপ্রেমিক অফিসারদের গণহারে গুম ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এর মধ্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জায়েদি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এহসান ইউসুফের মত অফিসারদের প্রকাশ্যেই গ্রেপ্তার দেখান হয়েছে। এই গুমগ্রেপ্তার আরেকটা পিলখানার পূর্বপ্রস্তুতি মাত্র।

জিয়া ভাইয়ের মেইলটার সত্যতা প্রমাণের জন্য তিনি সাংবাদিকদের তিনভাবে সরেজমিনে তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন –
১. তার নিজের বাসায় গিয়ে – : D-13/1, পলাশ (১৪ তলা বিল্ডিং) মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।
২. MIST কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি কথা বলে।
৩. পুরাতন আর্মি সদরদপ্তর মেসে যেখানে কিছু গ্রেপ্তারকৃত অফিসারদের রাখা হয়েছে।

জিয়া ভাই মেইলের শেষ অংশে তিনি বলেছেন যে তিনি নিরাপদ কোথাও পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন। তিনি এখন কোথায় আছেন কেমন আছেন – এক আল্লাহই জানেন। তিনি এই তথ্যগুলো দেশের সব মানুষ, সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করেছেন। তার করা মেইলের ফলশ্রুতিতে তার এবং তার পরিবারের উপরে ভয়াবহ বিপদ নেমে আসতে পারে। আল্লাহু আকবার, কতটা সাহসী না হলে তিনি নিজের ও পরিবারের জীবন বিপন্ন করে এতবড় একটা ঝুঁকি নিলেন সেটা ভাবতেই আমার মাথা শ্রদ্ধায় নিঁচু হয়ে যাচ্ছে। আর একটা অন্ধ ক্রোধে কপালের রগগুলো দপদপ করছে, জিয়া ভাই, ভাবী আর ছোট্ট বাচ্চাটার জন্য বুকের ভিতরে কেমন যেন একটা শূণ্যতা তৈরী হচ্ছে।


ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রদ্বিউন - নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি এবং নিশ্চয় আমরা তার কাছেই ফিরে যাব। 

আমি শরীফ আবু হায়াত অপু, আল্লাহর কসম করে বলছি – মেজর জিয়া ভাইকে আমি পাঁচ বছর ধরে চিনি, তাকে আমি ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে মিথ্যা কথা বলতে দেখিনি কোনদিনও। তিনি জাতীয় স্বার্থ নিয়ে মিথ্যা বলবেন এটা আমি বিশ্বাস করিনা। দেশের এমন একটা পরিস্থিতিতে কিছু করতে না পারার অসহায়ত্বে অস্থির লাগছে, কিন্তু দেশে নিশ্চয় এমন কিছু মানুষ আছেন যারা এ ব্যাপারে কিছু করতে পারেন। যদি কিছু না পারেন তাহলে যত বেশি সম্ভব মানুষকে জানান। যারা আল্লাহকে ভয় করেনা তারা অন্তত জনগণকে ভয় করে। এই দুরভিসন্ধির কথা প্রকাশ করে হয়ত আমরা পরবর্তী ট্রাজেডিটা থামাতে পারি। যেসব মুসলিম ভাই এই লেখাটা পড়লেন তারা যেন আসন্ন দুর্যোগটা ঠেকানোর জন্য মন থেকে আল্লাহর কাছে দু’আ করেন। আল্লাহ যেন জিয়া ভাই এবং তার মত অন্যান্য সত্যিকারের দেশত্যাগী মানুষগুলোকে নিরাপদে রাখেন। আল্লাহ যেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাত করে দেন। আমিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ