গল্প:সতীন
পাশের বাড়ির মহিলারা যেই শুনলো ছেলে অবিবাহিত আর কোন লেনদেনের কথা বলেনি
তখন সবাই একরকম চমকে গেলো। কয়েকজন বললো,তুই খুব ভাগ্যবতী রে সায়মা।
আামি শুধুত তাদের কথা গুলো চুপচাপ শুনে গেলাম।
একজন মহিলা তার মেয়ে কে নিয়ে আফসোস করলেন বললেন,অনেক চেষ্টা করেছিলাম এরকম একটা ছেলে পাওয়ার জন্য কিন্তু আমার মেয়ের ভাগ্যে তা জোটেনি।
মা ঘর থেকে সবার জন্য মিষ্টি আনলো।সবাই মিষ্টি খেয়ে খুশিমনে চলে গেলো।
মা আমার পাশে বসে আমার সোনা মা বলে আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলো।
কয়েকদিন চলে গেলো। বাবা আর মা আমার বিয়ে নিয়ে আলোচনা করতেছে কবে আর কখন বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করবে।
তারা কথা বলতে বলতে ঘটক চলে আসলো
এসে বললো,ভাই সাহেব ছেলে আর ছেলের বোন বিয়ের দিন তারিখ জানতে চেয়েছে।
বাবা ঘটক কে ঘরে নিয়ে গিয়ে বসালেন। বললেন,আমরা সেটা নিয়েই আলোচনা করতেছি।
মা বললো আচ্ছা সামনের মাসে হলে কেমন হয়? এর মধ্যে ওর চাকরির রেজাল্ট টাও বের হতো। বাবা সম্মতি দিলেন।
ঘটক চলে গেলো। বাবা আমাকে বললো,মা কালকে আমার সাথে বাজারে যাবি কিছু কেনাকাটা করতে হবে।
পরের দিন বাবা আমাকে নিয়ে গেলেন।
রাস্তা পার হতেই কারোর সাথে আমি ধাক্কা খেলাম।
ধাক্কা সামলাতে না পেরে আমি পরে গেলাম।
উঠে দাড়াতেই আমার সামনে দাড়িয়ে থাকা লোকটাকে দেখে চমকে গেলাম। আমার প্রাক্তন স্বামী আমার সামনে দাড়িয়ে আছে।
তার মানে আমি তার সাথেই ধাক্কা খেয়েছি।
তিনিও আমাকে দেখে চমকে উঠলেন। এক নাগাড়ে তার দিকে তাকিয়ে আছি।
তিনি হাজার কষ্ট দিলেও তাকে ভুলতে পারিনি।
বাবা হঠাৎ আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলেন বললেন,ঐ জানোয়ারের দিকে অত কি দেখলি তুই? চল! এবার বাবা আমার হাত
ধরেছে। আমি বাবার সাথে যাচ্ছি। বাবা একটা পোশাকের দোকানে নিয়ে গেলেন বললেন,মা তোর কোন কোন জামা পছন্দ হয় তুই সেটাই নে।
বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম,থাকনা বাবা।
বাবা বললো,তোর বিয়ে হবে আর এখন নতুন নতুন পোশাক পরলে ভালো লাগবে।
বাবা হাসতেছে।আমি তিনটা জামা পছন্দ করলাম।
সেগুলো কিনে নিয়ে বাড়িতে ফিরলাম। বাড়িতে আসার পর মা একে একে সবগুলো জামা দেখলেন।
রাতে শুয়ে আছি এমন সময় অনলাইনে দেখলাম আগামীকাল আমার চাকরির রেজাল্ট হবে।
বাবা মাকে গিয়ে বললাম। মা শুনে হাত উঁচিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন।
রাতে আর ঘুম হলো না না জানি আগামীকাল
আমার ফলাফল কি হবে।
সারা রাত জেগেই কাটালাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন