আমার স্বামী আমাকে বললো, দেখো সায়মা তোমাকে আমার আগে থেকেই পছন্দ নয়।
আর তোমার সাথে আমার যায় না। আর আমার নতুন বউ অহনার দিকে একবার তাকিয়ে দেখো সে কত সুন্দরী।
আমার শাশুড়ী তিনিও তার ছেলের সাথে তাল মিলিয়ে বললেন, বউমা আকাশের যা ভালো মনে হয়েছে সে তাই করেছে।
আর ওর কি দুই বউ পালার মুরোদ নাই।
অসহায় হয়ে শাশুড়ীকে বললাম, এটা আপনি কি বলছেন মা? কোন মেয়ে কি সতীনের সংসার করতে চায়?
শাশুড়ী বললো,সে না হয় বুঝলাম কিন্তু তোমার স্বামী তোমাকে মেনে নিতে পারেনি
তারও তো একটা ভালো লাগা মন্দ লাগা আছে নাকি?
শাশুড়ীর কথায় আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি।
দুই চোখ দিয়ে পানি পরতেছে। প্রচন্ড রাগ চেপে গেলো আমার আমি হরহর করে আমাদের রুমে গেলাম গিয়ে দেখি
আমার নতুন সতীন কি যেনো করতেছে।
সোজা গিয়ে ওর চুলের মুঠি ধরে বললাম,
তুই কেনো এটা করলি আমার সাজানো সংসারে অশান্তি এনে দিলি।
একটু পর আমার স্বামী গিয়ে সজোরে আমার গালে কয়েকটা চর বসিয়ে দিলেন।আমি মাটিতে পরে গেলাম।
তারপর আমাকে বললো, খবরদার তুই অহনার গায়ে হাত তুলবিনা। আর যদি তুলিস তবে তোকে আমি ডিভোর্স দিয়ে দিবো।
আমার পিঠে একটা লাত্থি মারলো তারপর চুলের মুঠি ধরে বাইরে বের করে দিলো।
বাড়ীর পাশের এক ভাবি আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পিঠে তেল লাগিয়ে দিলো।
রাতে শুয়ে আছি পিঠে প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে।
পাশের রুমে ওদের হাসিঠাট্টা শুনে বুকটা ফেটে যাচ্ছে
শাশুড়ীও আর খোঁজ নিতে আসেননি।
পরের দিন সকাক বেলা আমি আমার সব জিনিস ও ঘর থেকে আনতে গেলে বেধে গেলো আরেক বিপত্তি
আমার স্বামী আমাকে কোন জিনিস আনতে দিবেনা প্রয়োজনে সে কিনে দিবে তবুও ওগুলো আনতে দিবে না।
ওর কথার মাঝে ওর নতুন বউ পাশে দাড়িয়েছে সেটা দেখে ওর প্রতি আমার এতোটাই ঘৃণা চেপে গেলো যে ওর মুখ দেখার
ইচ্ছে আর নেই। বললাম, আমি আর এ বাড়িতে থাকবো না।
সব ছেড়ে দিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে এলাম
বাবা মা অবাক হয়ে বললো, ফিরে এলি যে
তাদের সব খুলে বললাম কিন্তু তারাও আমাকেই ভুল বুঝলো। বাবা বলেই দিলেন
আমার অতিরিক্ত জেদের জন্যই নাকি আমি সংসার হারালাম।
ছোট গল্প হবে বেশি করে লাইক কমেন্ট করবেন আশা করি
চলবে,,
গল্প:সতীন
লেখা : ফিলিপ সরকার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন