গল্প:সতীন
লেখা : ফিলিপ সরকার
পর্ব : ০৭
হঠাৎ তাকে দেখে চমকে উঠলাম কারণ এবার আমি হিজাব ছাড়াই ভাইয়ের সাথে বাজারে গিয়েছি।
হঠাৎ সামনে পরায় সে আমার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে।
আমি একবার তাকিয়েই চোখ ফিরিয়ে নিলাম।
তাকাতে পারিনি তার দিকে তাকে দেখলেই পুরোনো কথা গুলো খুব মনে পরে যায়।
সে তো আমার মুক্তি পেয়ে এখন সুখেই আছে
তাহলে আমি কেন তার কথা ভেবে কষ্ট পাবো।
দরকার নাই। আমি ভাইকে নিয়ে অন্য দোকানে গেলাম।
ভাইও বোবার মত আমার সাথে চললো।
সেও তাকে দেখে অবাক হয়ে গেছে।অন্য দোকানে গিয়েও আর মনটা টিকছে না।
সেখানে গিয়ে আড় চোখে দেখলাম। সে তাকিয়েই আছে। ওর চোখদুটো দেখলেই মায়া লাগে। হাজার অপরাধ করলেও মনে হয় মাপ করে দেই।
মনটা আর কিছুই চাচ্ছেনা ভাইকে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলাম।
ফেরার সময় ভাই বললো,আপু তুই এখনো ওকে দেখলে এতো উদাস হয়ে যাস কেন বলতো?
ভাইটাও আমার বড় হয়ে গেছে সবই বোঝে।
বললাম,ছাড় না ভাই ওর কথা।
বাড়িতে চলে আসলাম। মা আমার গোমড়া মুখ দেখে জিগ্যেস করলো,কি হয়েছে মা।
ভাই সব বলে দিলো। মা এসে বললো,তুই কিরে মা বলতো! তুই তো ওর পা পর্যন্ত ধরেছিলি সংসারটা করার জন্য।
কিন্তু ও তোকে রাখলো বলতো? শুধু বললাম,থাকনা মা।
আমি রুমে গেলাম গিয়ে বই গুলো বের করলাম। সামনে ভাইবা পরিক্ষা আছে।
জানিনা কপালে কি আছে।বিসমিল্লাহ বলে বইটা হাতে নিলাম। অনবরত পড়া শুরু করলাম।
জীবন তো আর তার জন্য থেমে থাকবে না। সে যদি নতুন করে শুরু করতে পারে তাহলে আমিও পারবো।
বাবা রুমে আসলেন বললেন, মারে জীবনে আর কোন পিছুটান রাখিস না।
বাবা পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন
বাবাকে পরম আদরে জড়িয়ে ধরে বললাম।
পৃথিবীতে তোমার মত যার বাবা আছে তার জীবনে কোন থাকতে পারে বাবা?বাবা হাসলেন আমার কথা শুনে।
বাবা বললেন,জীবনে মানুষের অনেক ঝড়ঝাপটা আসবে যাবে তাই বলে থামলে চলবে না।
বাবা বাহিরে চলে গেলো। কিন্তু তার কথা আমাকে শক্তি যুগিয়ে গেলো।
আর মাত্র দুদিন আছে পরিক্ষার বাকি।
বাইরে দেখলাম বাবা আর মা কার সাথে যেনো কথা বলছে মোবাইলে।
বাবা হাসতেছে মা তিনিও খুব খুশি বুঝলাম না তারা এতো খুশি কেন।
আমি আমার পড়াশোনা করতেছি। জীবনে ভাইবা দেইনি কেমনে কি করবো সেই চিন্তায় অস্থির লাগতেছে আমার।
বাবার সাথে কথাটা শেয়ার করলাম বাবা অভয় দিলেন।
দুই দিন চলে গেলো আজ পরিক্ষার দিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন