গল্প : সতীন
আজ আর পড়তেও ইচ্ছে হচ্ছে না। জানিনা আজকে আমার ভাগ্যে কি আছে।
খুব চিন্তা হচ্ছিল। বাবা মা আমার বিষন্নতার ছাপ দেখে বললো,কোন চিন্তার দরকার নাই।
যেটা হওয়ার হবে তারজন্য চিন্তা করে যেনে অসুস্থ হয়ে না পড়ি।
এদিকে ছোট ভাই মোবাইল হাতে নিয়ে বসে আছে।
সময় ২:৩০ মিনিট এখন হয়তো অনলাইনে রেজাল্ট এসে গেছে।
ভাই আমার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর নিয়ে রেজাল্ট মিলিয়ে দেখতেছে।
ভাইয়ের মুখে খুশির আভা দেখলাম বললো,আপু তুই ৩.২০ পেয়েছিস জিপিএ ৪ এর মধ্যে।
মূহুর্তের মধ্যে আমার বাবার দিকে দেখলাম তিনি আমার কাছে এসে খুশি মুখে বলতেছে,মা আমি জানতাম তুই ভালো কিছু করবি।
আমার মা আমার পাশে বসে কাঁদো কাঁদো গলায় বললো, এটা আমারো বিশ্বাস ছিলো
আমাদের মেয়ে ভালো কিছু করবে।
বলে তিনি আমার কপালে চুমু খেলেন।
বাড়ির পাশের কিছু মহিলা আসলো আমাদের বাড়িতে।
হঠাৎই তাদের মধ্যে একজন বলে উঠলো,
সংসার খেয়ে এসে বসে আছে কি হবে এতো পড়াশোনা করে।
মূহুর্তের মধ্যে আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো।
বাবা তাকে বলেই বসলেন, আমার মেয়ে সংসার হজম করুক তাতে তোমার কি?
মহিলা বির বির করতে করতে চলে গেলো।
বাবা কাছে আসলো বললো,খবরদার মা
এই সমস্ত ভাইরাসের কথা শুনে তুই কখনো মন খারাপ করবি না।
এরা কখনো অন্যের ভালো সহ্য করতে পারে না।
এরা অন্যে দুঃখ খুশি হয়।জানিস মা তোকে নিয়ে আজ আমার খুব গর্ব হচ্ছে।
বাবার কথা শুনে সাহস পাচ্ছি। খুব করে পড়াশোনা করতেছি কিছু দিন পার
আমার একটা চাকরির পরিক্ষার কার্ড অনলাইনে চলে আসলো।
রাত দিন অভেদ করে পড়াশোনা করতেছি জানিনা বরাতে কি আছে কিন্তু আমি হাল ছাড়ছি না।
খুবই মনোভাব দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি
আমার জীবনের ভালো দিন আসলেও আসতে পারে।
বাবা ভাইকে দিয়ে পরিক্ষার প্রবেশ পত্র আনিয়েছেন।
আর মাত্র একদিন পর আমার রিটার্ন পরিক্ষা।
বাবা বলতেছে, মা তুই আজকে আর কোন পড়া পড়িস না। পরিক্ষার আগের দিন বেশি পড়লে সব ভুলে যাবি।
বাবার কথা শুনে আর বেশি পড়লাম না।
ঘুমিয়ে গেলাম। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবার সাথে চলে গেলাম আমার পরিক্ষা কেন্দ্রে।
সেখানে অনেক পরিক্ষার্থী দেখে প্রচন্ড ভয় হলো। এতো জনের মধ্যে আমার সুযোগ হবে তো?
আমি পারবো তো?বাবা আমার প্রশ্নবিদ্ধ মনোভাব বুঝে গেলেন বললেন,
চিন্তার কোন কারণ নেই মা তোর প্রশ্ন কমন পরলেই
তুই পেয়ে যাবি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন