গল্প: সতীন
আগে ওর চাকরির রেজাল্ট দেখি তারপর।
মা শুধু বাবাকে বললো,তারপরও একটা বার
যদি দেখতে ভালো হতো।
সেদিন ঘটক বললো,ছেলেটা নাকি প্রফেসর বাবা নেই মা আছে কিন্তু তিনিও বয়স্ক।
বাবা মায়ের কথায় কিছু টা স্তিমিত হয়ে বললো,ঠিক আছে দেখবো কিন্তু আমার মেয়ের কিছু একটা হওয়ার পর।
আগে ওকে নিজের পায়ে দাড় করাবো তারপর।
আর এই ভুল আমি করবো না। আমি সেখানে বসে বসে তাদের কথা শুনলাম।মাকে বললাম,মা আমিও বাবার সাথে একমত
মা মুখ কালো করে বললো,সেটা তো জানি তুই তো শুধু তোর বাপের মেয়ে আমার কে তুই?
বাবা হো হো করে হেসে বললো, এভাবে বলছো কেন?
তুমি কি চাওনা আমাদের মেয়ে সুখে থাক।
তারা ঝগড়া করতেছে আমি রুমে চলে আসলাম।দিনটা চলে গেলো রাত হয়ে আসলো।
খুব চিন্তা হচ্ছে কিছু দিনের মধ্যে রেজাল্ট হবে
জানিনা কি হবে আদৌ পারবো কি না।
পরের দিন সকাল বেলা উদাসিনী মন নিয়ে বাহিরে বসে আছি।
মাঝে মাঝে মনটা খারাপ থাকে আজও তাই হচ্ছে।
দুরে এক মহিলাকে দেখতে পাচ্ছি আমার দিকেই আসছে।
দুর থেকে খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না কে ওটা
যখন কাছে আসলো তাকে দেখে খুশিতে আমার চোখে জল চলে আসলো।
তিনি আমাকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরে কেদে দিলেন। ইনি সেই ভাবি যিনি আমার তালাকের সময় নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে
অনেক আদরযত্নে নিজ হাতে খাবার খাইয়ে থাকতে দিয়েছিলেন।
মায়ের মত সেই মানুষ টাকে অনেক দিন পরে দেখলাম।
আমাকে ভাবি জড়িয়ে ধরে কেদে যাচ্ছেন বলতেছেন,কেমন আছিস তুই? কত দিন পরে তোকে দেখলাম।
জানিস কাল থেকে তোর কথা আমার খুব মনে পরছিল।
সারারাত ঘুমাতে পারিনি তাই সকাল হতেই আমি ছুটে আসলাম তোদের বাড়িতে।
ভাবিকে আমি কেমন আছি না আছি সব খুলে বললাম।
ভাবি খুশি হয়ে আমাকে আবার জড়িয়ে ধরে বললো,যাক রে শুনে খুব শান্তি পেলাম।
এমন সময় বাবা আসলো বাবা ভাবিকে চিনতো তাই তাকে আর যেতে দিলেননা।
বললেন,মা তুমি আজকে থেকে যাও। মা আসলো মা তাকে দেখে আবেগে কেঁদে উঠলো।
বাবা ভাইকে বাজারে পাঠালেন বাজার করার জন্য।
ভাবিকে আমি আমার রুমে নিয়ে আসলাম।
তারপর ভাবিকে ওদের ব্যপারে জিগ্যেস করলাম।
ভাবি বললো,আছে মোটামুটি ভালো কিন্তু জানিস তোর শাশুড়ী এখন হারে হারে টের পাচ্ছে।
তুই কি ছিলি বললাম কেন ভাবি সে তো তাদের খুব প্রিয় ছিলো
ভাবি হেসে বললো,ডাইনি বুড়ি প্রতিদিন ঝগড়া না করলে খেতে পারেনা
বুড়ি সেদিন আমাকে তার দুঃখের কথা জানালো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন