গল্প: সতীন
লেখা : ফিলিপ সরকার।
পর্ব: ১৩
খেতেই আমার নজর বাহিরে চলে গেলো আজ অনেকদিন পর প্রায় দু'বছর পরে আমি আমার প্রাক্তন শাশুড়ীকে তার ছেলের সাথে দেখলাম।
মহিলাকে তার ছেলে হাত ধরে রিকশা থেকে নামাচ্ছে।
আমি খাওয়া বাদ দিয়ে সেদিকে তাকিয়ে আছি। বাবা আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
কিরে মা খাচ্ছিস না কেন?
বললাম,বাবা একটা বার বাহিরে তাকিয়ে দেখো।
বাবাও সেদিকে তাকিয়ে কিছুটা অবাক হয়ে গেলো। কারণ তিনিও অনেক দিন পর তাদের
দেখলেন।
বাবা বললেন,তোর ভয়ংকর অতিত ওদিকে না দেখলেও তাকালে চলবে।
দেখলাম তারা কোথায় যেনো চলে গেলো।আজ পরিক্ষা শেষ হয়ে গেলো।
আপাতত চিন্তা শেষ। খাওয়া শেষে বাহিরে বের হলাম। বাবা আমাকে নিয়ে একটা
লাইব্রেরীতে গেলো।
গিয়ে একটা Job solution গাইড কিনলেন।
বললেন, তোর আজ থেকে নতুন মিশন শুরু হলো।
বই টা হাতে দিয়ে বললেন,আজ থেকে এটা পড়া শুরু কর।
এবার তোর জীবনটাকে গুছিয়ে নিতে হবে। বাবা আমার মাথায় হাত দিয়ে বললেন,আমি জানি তুই পারবি।
দুই বাপ মেয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম
বাবা আমার সফলতা শুধু দেখতে চাচ্ছে না অন্যদেরও দেখাতে চাচ্ছে।
যাতে বলতে পারে আমার মেয়ে হেরে যাওয়ার মত মেয়ে না।
বাড়িতে আসলাম আগের মত স্বামীকে নিয়ে আর মন খারাপ হয়না।
প্রথমবার যখন ওকে দেখেছিলাম মন টা খুব খারাপ হয়েছিলো। আজ আবার দেখলাম কিন্তু তাকে দেখে আর কিছুই মনে হয়নি।
তার মানে তার জন্য সমস্ত ভালোবাসা আমার ভিতর থেকে ফুরিয়ে গেছে।
হয়তো নতুন করে বাঁচতে শিখলাম। ভাবনার ছেদ ঘটে গেলো মায়ের ডাক শুনে।
মা বললো,কি এতো ভাবছিস বলতো, তারপর মাকে খুলে বললাম। মা বললো,ওসব নিয়ে আর মন খারাপ করিস না।
মাকে বললাম,মা তার জন্য আমার আর মন খারাপ হয়না। এতোদিনে আমি ওকে পুরোপুরি ভুলে গেছি।
মা বললো,এটাই তোর বাবা সব সময় চেয়েছে।
রাত অনেক হয়ে গেলো না আমাকে খাবার নিজের হাতে খাইয়ে দিলো।
রাতে শুয়ে শুধু বইটার কথা চিন্তা করলাম, ভাবলাম কাল থেকেই এটা পড়া শুরু করে দিবো।
জানিনা আল্লাহ কপালে কি লিখে রেখেছে।
পরের দিন থেকে বইটা পুরোদমে পড়া শুরু করলাম।
এদিকে বাবা আমার জন্য বেশ কয়েকটা চাকরির করিয়ে রাখলেন।
এভাবে দুইমাস চলে গেলো আগামী কালে আমার রেজাল্ট বের হবে। আজ খুব টেনশন হচ্ছে।
বেশি করে টেনশন হচ্ছে বাবাকে নিয়ে। কারণ তিনি আমাকে নিয়ে খুব আশাবাদী হয়ে আছেন।
তিনি জানেন আমার রেজাল্ট ভালো হবেই।
আজ আর পড়তেও ইচ্ছে হচ্ছে না
চলবে,,?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন