গল্প: সতীন
চোখ দিয়ে দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পরলো কেউ দেখেনি। আমি মাথা নিচু করে আছে।
বাবা ছেলের সাথে কথা বলতেছে। হঠাৎ কেউ বলে উঠলো, কিরে একটু ঘোমটাটা তোল আমার ভাইকে তোর মুখটা দেখা।
আমি চমকে উঠলাম। এতো পরিচিত গলা আমি মুখ তুলে তাকালাম। আর মুখ তুলে তাকাতেই আমি অবাক হয়ে গেলাম।
দেখলাম আমার সামনে ভাবি বসে আছে।
বললাম,ভাবি আপনি এখানে এভাবে? ভাবি
মিটিমিটি হাসলো। বললাম,ভাবি আপনি কেন এসেছেন?
ভাবি বললো,পাগলি যার সাথে তোর বিয়ের কথা হচ্ছে সে আমার ছোট ভাই।
মাথা নিচু করে বললাম, ভাবি আপনি সবই জানেন আর জেনে শুনে এতো বড় ভুল কেন করলেন?
ভাবি বললো,আমি আমার ভাইকে সুখি দেখতে চাই বাপ মা মরা ছেলেটার সংসারটা আনন্দে ভরে উঠুক।আর আমি ভাইকে সবটা জানিয়েছি ও জেনে শুনেই এসেছে।
তারপর ভাবির ভাইয়ের দিকে তাকালাম।
খুব ছিমছাম গড়নের একটা মানুষ গম্ভীর হয়ে বসে আছে।
ভাবি তাকে জিগ্যেস করলো, কিরে ভাই তোর মেয়ে পছন্দ হয়েছে। কিছু বললো না শুধু মিটিমিটি হেসে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো।
ভাবি বললো, যাক তাহলে ভালোই হলো।
এরপর বাবা ছেলের নাম জিগ্যেস করলো তিনি বললেন,রাকিব হাসান। বিশেষ আর কিছু বললেননা।
ভাবিকে বললাম তাহলে কয়েকদিন আগে ঘটক কে আপনি পাঠিয়েছেন? ভাবি হেসে বললো,হ্যাঁ। আর যখন দেখলাম তোদের সম্মতি কম তখন আমি নিজেই আসলাম।
ভাবি আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো পাগলি দেখিস তুই খুব সুখি হবি।
রাকিব সাহেব শুধু আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলো কিছু বলেনি।
তারা চলে যাওয়ার পর। বাবা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললো, জানিস মা যার কেউ থাকেনা আল্লাহ তার সাথেই থাকেন।
বাবা মাকে বললো,দেখলে আমার মা সতি নারী জন্যই তাকে অবিবাহিত ছেলে পছন্দ করলো।
মা আমার কপালে চুমু খেলেন।
দিনটা কোন রকমে পার হয়ে গেলো।রাতে শুয়ে শুয়ে চিন্তা হচ্ছিল আবার বিয়ে করলে এবার যে কি হবে জানিনা। তবে বাবা মায়ের খুশির জন্য আমি সব করতে পারি।
তাদের খুশিই আমার খুশি। ঘুমিয়ে গেলাম। সকাল হলো। মনটা খুব খারাপ। সবেমাত্র মনটা শক্ত হলো আর তাতেই আবার বিয়ের প্রস্তাব এলো।
বাবা এসে পাশে বসে বললো,মা তুই চিন্তা করিস না।
আমার বিশ্বাস মেয়েটা যেমন তোকে ভালোবাসে রাকিবও তোকে খুব যত্নে রাখবে।
বললাম,কিন্তু বাবা!
বাবা বললো,কোন কিন্তু নয় মা। তুই সুখি হবি
আমার মা এবার ভালো থাকবে।
পাশের বাড়ীর কয়েকজন মহিলা আমার বিয়ের কথা শুনলো যেই শুনলো ছেলে অবিবাহিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন