গল্প:সতীন
বুড়ি সেদিন আমাকে তার দুঃখের কথা জানালো।
আমি খুব আগ্রহ নিয়ে বললাম, ভাবি আপনি কি বললেন, ভাবি হেসে উঠে বললো, দুর পাগলি আমি আর কি বললো? বললাম চাচি আসল সোনা ছেড়ে নকল সোনা নিয়ে পাগল হয়ে গিয়েছিলেন।
নকল সোনার গুন তো এমন হবেই। বলে ভাবি হাসলেন।
ভাবির মুখের দিকে তাকিয়ে আছি ভাবি আমার থুতনি টেনে বললেন, পাগলি এখন তুই আবার তোর নতুন জীবন শুরু কর।
বললাম, ভাবি বাবা আমার জীবনে নতুন করে আশার আলো দেখিয়েছে তাই বাবা যা করবে আমি তাতেই রাজি।
ভাবি বললেন,তুই সত্যিই খুব ভালো রে। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ভাবি চলে যাওয়ার সময় বললো,তুই খুব সুখি হবি এমন সুন্দর মনের মানুষ কখনো দুঃখে থাকতে পারেনা।
ভাবি চলে গেলো ভাবির যাওয়ার দিকে চেয়ে আছি।
মা বললো,কিরে মা তুই খাবি না? মায়ের বুকে মাথা রাখলাম আর বললাম, মা ওদের বিচার শুরু হয়েছে।
মা বললো,আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।
দুপুরে খেয়ে শুয়ে আছি ভাবছি আমার চাকরি টা হবে তো?
আমার শাশুড়ির কথা মনে পরে গেলো মানুষট লোভি ছিলো যার ফল সে পাচ্ছে।
রাতে বাবা আসলো মা আবার বাবাকে ঐ ঘটকের কথা বলছে।
আমি শুনলাম মা বললো,ছেলে প্রফেসর ছেলের কেউ নাই আর বিশেষ করে সে অবিবাহিত।
বাবা মারা গেছে অনেক আগে মা কিছু দিন আগেই মারা গেছে।
বাবা বললো,আমাদের মেয়ে ডিভোর্স হওয়া তাকে এটা জানিয়েছে।
মা বললো,জানিনা কিন্তু তারা আসতে চেয়েছে।
বাবা মাকে বললো,দেখো আমিও চাই আমার মেয়ের মুখে আবার হাসি ফুটুক সে সুখি হোক।
মা বলছে, আমি ওর মুখের দিকে তাকাতে পারিনা।
একমাত্র তুমি ওর পাশে বন্ধুর মত আছো জন্য
মেয়েটা একটু ভালো আছে। বাবা চুপ করে আছে।
মনে হলো বাবা একটু একটু করে রাজি হচ্ছে।
দুই দিন চলে গেলো হঠাৎ সেই ঘটক এসে বলে গেলো, ছেলে আর তার একমাত্র বড় বোন আমাকে দেখতে আসছে।
শুনে আমি আকাশ থেকে পরে গেলাম কি হবে এখন এতো তারাহুরো শুরু হলো কেন?
বাবা ভাইকে বাজারে পাঠালো। মা ঘর পরিস্কার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছে।
দুপুর হয়ে আসলো তারা বাড়িতে এখন আসবে।
আমার খুব ইতস্ত লাগতেছে।তারা এসেই গেলো।
আমাকে তাদের সামনে নিয়ে যাওয়া হলো।
মাথা নিচু করে তাদের সামনে বসে আছি জানিনা কি হবে হয়তো ডিভোর্সি জন্য অপমান হতে হবে।
কিন্তু আমার বাবার সম্মান আমি রাখবো
তিনি যেনো অসম্মান না হন।
এসব ভাবতে ভাবতে চোখ দিয়ে দু ফোঁটা জল
গড়িয়ে পরলো যদিও সেটা কেউ দেখে নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন