মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১২

সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ, ক্ষতিগ্রস্থ সাধারন কৃষক - নেই ক্ষতিপুরনের ব্যবস্থা

শীতকাল শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয়েছে সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ। আমাদের গ্রামেও একটা ক্যাম্প করা হয়েছে। আমাদের গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রধান যে সড়কটা আছে সেটা কাঁচা। প্রতিদিন সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটা গাড়ি সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় রাস্তার অবস্থা প্রতিদিন অবনতি হচ্ছে।


বাহুকা গ্রামে সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণের অস্থায়ী ক্যাম্প


তাছারা যে অস্থায়ী ক্যাম্পটা করা হয়েছে সেটা আবার আবাদী জমির ভিতরে। কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম, এই ব্যপারে সেনাবাহিনীর কারো সাথে তাদের কথা হয়নি। গ্রামের প্রভাবশালী লোকেরা এই জমিগুলো দখল করে দেয়। এই ক্যাম্পটা করার জন্য প্রায় ১৫-২০ বিঘা জমি এখন দখলে আছে। খুব শীঘ্রই শুরু হচ্ছে জমিতে ধান লাগানোর মৌশুম। বেছন (ধানের চারা) প্রায় চলে এসেছে বাজারে। অথচ এই জমিগুলো ধান চাষের উপযোগী হওয়া সত্তেও কৃষক সেখানে ধান লাগাতে পারছেনা।


বাহুকা গ্রামে সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণের অস্থায়ী ক্যাম্প

তাছারা জমিগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্প করার ফলে এখানে সেনাবাহিনীর হাটা-চলার কারনে জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। এই জমিগুলোকে আবার চাষাবাদের উপযোগী করতে কৃষককে বেশ কাঠখড়ি পোড়াতে হবে।


সেনাবাহিনীর তৈরি করা অস্থায়ী শৌচাগার


প্রশিক্ষণের জন্য তৈরি করা ভাঙ্কার

এরকম ভাঙ্কার আরো ৪-৫ টা আছে, আছে খেলাধুলার যায়গা। খেলার জন্য যে যায়গাটা নেয়া হয়েছে তার মাঝে আছে একট আখক্ষেত (চারাগুলো ছোট ছোট) যা নষ্ট হয়ে গেছে প্রায়।

এই যে জমিগুলো যমুনাপাড়ের গরিব কৃষকদের কাছ থেকে দখল করে নেয়া হয়েছে এর জন্য তাদের কে দেয়া হচ্ছেনা কোন ক্ষতিপুরন। আমরা কি আমাদের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এটা আশা করতে পারি?

আমি সেনাবাহিনীর (আমাদের গ্রামের) একজনের কাছে শুনেছি এর জন্য সরকার ক্ষতিপুরন দেয় (আমি জানিনা সে জেনে বলেছে কিনা)।
যদি তাই হয় তবে সেটা কেন গরিব কৃষকেরা পাচ্ছেনা???? অন্যান্য যায়গায় কি অবস্থা জানিনা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ