বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১২

প্রিয় বন্ধু ও ভাই জামাত শিবির সমর্তকরা আমার কিছু প্রশ্নের ও কিছু উপদেশ।

প্রিয় বন্ধু ও ভাই জামাত শিবির সমর্তকরা আমার কিছু প্রশ্নের ও কিছু উপদেশ 
প্রিয় বন্ধু ও ভাইরা আমার সালাম নিবেন। আপনরা আমাদের মত মানুষ আপনারা আমাদের কারো ভাই কারো বন্ধু, কারো নিকট বা কারো দুরসর্ম্পকের আত্বীয় ।আপনার আমাদের বাংলাদেশের নাগরিক। আপনার মুসলাম আমি জানি আপনাদের দলের মূল স্লোগান ইসলামের স্বার্থে কাজ করা। আলকোরানের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো। আল্লাহর আইন চায়, সৎ লোকের শাসন চায় এই গুলো জামাত শিবিরের মূল স্লোগান ও লক্ষ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে একজন মুসলাম হিসেব আপনাদের এই সব স্লোগান ও উদ্দেশ্য কে সমর্তন করি। আমি নয় শুধু আমি মনে করি প্রতিটি মুসলমান এই গুলোকে সমর্তন করা নৈতিক ও র্ধমীয় দায়ীত্ব ।
কিন্তু জামাত শিবিরের কিছু কার্যকলাপ দেখে মনে মনে হাজারো প্রশ্ন উকি দেয়।
যেমন।
আমি মনে করি র্ধম ও ইসলামকে ধারণ করতে হয় অন্তরে ও হৃদয়ে। ইসলামের খেদমদ করতে হলে ঈমাণই যথেষ্ট এতে ইসলামের নাম বসিয়ে রানৈতিক দল গঠন করার কোন ব্যনার বা পেষ্টুনের প্রয়োজন নেই।
আর র্ধম আর রাজনীতি এক নয়।
র্ধম হল একজন মানুষ ও জাতির অন্তরের খোরাক, র্ধম মানুষের মনকে পবিত্র করে । র্ধম মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দেয়। র্ধম হল ঈমাণ, আকলাক, সত্যবাদীতা, ইথ্যাদি পবিত্র বিষযের ধারক। র্ধম মানুষের জন্ম, মৃত্যু,বিবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে।একটি জাতিকে প্রেম ভালবাসা বন্ধনে আবদ্ব করে র্ধম। র্ধম মানুষের সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনুগত্য শেখায় এতে মানুষের ইহকাল ও পরকালে সুখীকরে ও বেহেস্তে যেতে সহায়তা করে। র্ধম ও ইসলাম একটি অনেক বড় জিনিস এর ব্যপকতা সীমাহীন।
রাজনীতি হল এক ভুখন্ডের স্বীনতা, দেশের নিরাপত্তা, আইন শৃঙ্কলা, ব্যবসা, রাস্তঘাট উন্নয়ন, যানবাহন চলাচল, যুদ্ব কৌশল , নিরপত্তা, সেনা, নৌ বহিনী, অন্যআন্য দেশের সাথে সর্ম্পক ও বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, শিক্ষনীতি ইথ্যদি বিষয় গুলোর নয়ন্ত্রক ।
উপরোক্ত দুটি বিষয় বিবেচনা করলে স্পষ্ট হযে যায় র্ধমীয় নাম ব্যবহার করে রাজনীতি করা কতটুক ুযুক্তি গত।
আরো দুটি উদারহাণ।
যেমন 
ক) ইসলাম পুরো দুনিয়াতে বিদ্যমান। (ইসলাম একটি র্ধম)
খ ) কিন্তু আওয়ামীলীগ পুরো দুনিয়াতে বিদ্যমান নয়। ( আওয়ামীলীগ একটি রাজনৈতিক সংগঠন)
এতে আরো পরিষ্কার হয়ে যায় ইসলাম কি ও রাজনীতি কি।
একটি সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাও জানেন স্বাধীনত যুদ্বে জামাত শিবির ভুমিকা কি ছিল। সুতরাং একবার চিন্তা করে দেখুন জামাত শিবির সমর্তন করা কতটুকু যুক্তি যুক্ত। 
গোলাম আজম, সাঈদী, নিজামী, মুজাহিদ, ইথ্যাদি ব্যক্তি গনকে বাচাতে নয় বরং এদেও মত বিখ্যাত ও রাজাকারের নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তি গন দের বাচানোর পরিবর্তে তাদের প্রাপ্য সাজা যাতে আদালত দিতে পারে সেই বিষয়ে সহায়তা করা উচিত জামাত শিবিরের। যদি এসব রাজাকারের প্রাপ্য সাজা হয় এতে বেশী লাভবান হবে জামাত শিবির কারণ, যুদ্ব অপরাধী ও রাজাকারদের সাজা হয়েগেলে জামাত শিবির র্স্পূণ কলঙ্ক মুক্ত হতে পারবে। 
জামাত শিবির নিসিদ্ব হলেও জামাত শিবিরের লাভ সবচেয়ে বেশী । কারণ সংগঠনের নাম পরির্তন হয়ে গেলেও তাদের নেতা কর্মী তো আর মরে যাবেনা। তারা পুরানো করে নাম পরিবর্তন করে অন্যদল গঠন করতে পরবে। এই রকম একটি উদাহরণ থাইলেন্ডের থাকসিন সিনাওয়াত্রার দল।
আরো একটি উদারণ হলো আমাদের দেশের আওয়ামীলীগ। এইদলটির পুরো নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। তারা মুসলিম শব্দটি বাদ দিযে গঠন করে আওয়ামীলীগ।
সংগঠন হতে মুসলিম শব্দ বাদ দিলেও তাদের অন্তর হতে মুসলিম চলে যায়নি। সেই আওয়ামীলীগেই একটি ইসলামী সংক্ষগরিষ্ট রাষ্টে ৩বার ক্ষমতায় গেছে। যখন তারা ক্ষমতায় যেতে পারেনি তারা ছিল প্রধান বিরুধী দলে।
কিন্তু জামাত শিবির এখনো একক ভাবে ক্ষমতায় যেতে পারেনি , একক ভাবে বিরুধী দলও গঠন করতে পারেনি। যদিও বা জামাত শিবিরের অস্তিত্ব সেই স্বাধীনতা হতে বিদ্যমান বাংলাদেশে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ