বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১২

জেনে নেই কে এই ওমর ফারুক??????

 

রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুকের অতীত জীবন সম্পর্কে জেনে । তিনি কে ছিলেন আর কি করতেন ।

ওমর ফারুক তালুকদার তার নাম হলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি ‘কানা ফারুক’ :P :P নামে পরিচিত। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২৬তম ব্যাচের সাবেক এই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। বাড়ি নেত্রকোনায়। ।জাবিতে ধর্ষক মানিক গ্রুপের সাথে শুরু থেকে জড়িত থাকলেও পরে কিলার গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। মীর মশাররফ হোসেন হলের সাবেক আবাসিক ছাত্র ফারুক কপর্দকহীন পরিবারের সদস্য। ২০০৩ সালে মাস্টার্স পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ে বহিষ্কার হন। :P:P এক বছর পর পরীক্ষা দিয়ে কোনো রকম পাস করেন। এরপর ঢাকায় কিছু দিন কাওরানবাজারের এক হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। তার স্ত্রী কাজ করতেন সিটিসেলের কাস্টমার কেয়ারে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার ভাগ্যের চাকা দ্রুত বদলাতে থাকে। ফারুকের সহপাঠীরা জানান, রেলমন্ত্রীর এপিএস হিসেবে যোগদানের আগেই তিনি তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করতে থাকেন। দুই বছরের মধ্যে তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের একটি ফ্যাট কিনেছেন। এ ছাড়া মাত্র ক’মাস আগেই নিজের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি, পরিবারের সদস্যদের জন্য ৩০ লাখ টাকা মূল্যের আরো একটি গাড়ি এবং সম্প্রতি মূল্যবান একটি মাইক্রো বাস কেনেন। নেত্রকোনা শহরের পুকুরপাড়ে কিনেছেন বেশ কিছু ভূসম্পত্তি। গ্রামেও বেশ কিছু জমি কিনেছেন তিনি। এ ছাড়া শেয়ারবাজারে তার বিনিয়োগ রয়েছে লাখ লাখ টাকা। মাত্র তিন বছরেই ফুলেফেঁপে ওঠা ওমর ফারুক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের খুবই আস্থাভাজন। এই টাকা যে অবৈধভাবে উপার্জিত এবং তা মন্ত্রীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাদের বক্তব্যে তা স্পষ্ট। বস্তায় থাকা টাকার পরিমাণ নিয়েও ভিন্ন রকম তথ্য পাওয়া গেছে। মন্ত্রীর এপিএস এ টাকার পরিমাণ ২৫ লাখ বলে দাবি করলেও সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে টাকা ছিল চার কোটি ৭০ লাখ। আর পূর্বাঞ্চলের জিএমের বক্তব্য অনুযায়ী টাকা ছিল ৭০ লাখ। ড্রাইভারের বক্তব্য অনুযায়ী টাকা এক কোটি ৭০ লাখ। একেক জনের বক্তব্য একেক রকম হলেও টাকার পরিমাণ যে কোটির ওপর তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এ টাকা রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লোকবল নিয়োগের বাণিজ্য থেকে প্রাপ্ত এবং মন্ত্রীর বাসায়ই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ