শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১২

র্দূনীতিরোধ ও জবাবদিহির ব্যবস্থা:

র্দূনীতিরোধ ও জবাবদিহির ব্যবস্থা:
যে কোন দেশে র্দুনীতি রোধে সরকার ইচ্ছা করিলেই মাত্র কোন নির্দিষ্ট সময়েই ৮০ – ৯০ভাগ নির্মূল করা সামান্য ব্যাপার । বাংলাদেশ ১৬/১৮ কোটি মাত্র জনসংখ্যার দেশ, এখানে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪০বছর চলে গেল অথচ দেশের লোকজন যেন কোন রকম বড় ধরনের র্দূনীতি করিতে না পারে এই ব্যবস্থা এখনো তৈরী করা হয়নাই , কেবল দূদব, দূদক গঠন করে এখানকার লোকজনের র্দূনীতি দমন করা সম্ভব নয়। পদক্ষেপ নিয়ে তাহা বাস্তবায়নে তিন থেকে ছয়মাস। এজন্য নূন্যতম ৫/৬টি পদক্ষেপ গ্রহন করা যাইতে পারে।
প্রথমত: দেশের সেরা সেরা ধনসম্পদশালী ( যাহা আমরা ধরে নিতে পারি , হতে পারে এক কোটি বা পাঁচ কোটি বা ততোধিক টাকা মূল্যের অধিকারী বা প্রতিষ্ঠান এরা এর আওতায় আসবে ) তাদের সংখ্যা, নাম ,ঠিকানা, দৈনিক আয়, মাসিক আয়, আয়ের উৎসের বিবরণ সহ সকল বিষয়ের পরিসংখ্যান নিয়ে তাদেরকেই কেবল এর আওতায় এনে খুব শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করিতে হইবে। নতুবা ধনসম্পদের আধিক্য অনুসারে প্রথম পঞ্চাশলক্ষ / এক কোটি লোকের আয়করের আওতায় জবাবদিহির ব্যবস্থায় আনা হোক ।
দ্বিতীয়ত: দেশের সরকারী প্রথম /দ্বিতীয় শ্রেনীর সামরিক বেসামরিক কর্মচারী-কর্মকর্তা সহ বিচারপতি ,আইনজীবি,ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক ব্যাংকার ব্যবসায়ীদেরকে খুব শক্তহাতে নিয়ন্ত্রণ করিলে এবং আয়করের আওতায় আনা এবং জবাবদিহির ব্যবস্থা হইলে র্দূনীতি অনেকাংশ রোধ হইবে ।
তৃতীয়ত: স্থানীয় ও জাতীয় উভয় ক্ষেত্রে কেহ রাজনীতি করিতে চাহিলে , জনপ্রতিনিধি হইতে চাহিলে এবং রাজনীতি করিতে চাহিলে তাহাদেরকে অবশ্যই খুবেই সুক্ষ্ম ভাবে তাদের ধন সম্পদের , আয় ব্যয়ের ত্রৈমাসিক , বার্ষিক বিবরনী নিয়মিত ভাবে দিতে হইবে রাজস্ব বিভাগ সহ অরো সংস্লিষ্ঠ বিভাগেএবং নিজ আইডি তথ্যভান্ডারে, হোক সে নিঃস অথবা সম্পদশালী , কারণ এরাই দেশের রাষ্ট্রিয় অর্থ সম্পদের রক্ষা, ব্যবহার ,বন্টন করে থাকেন।
চর্তুথত: দেশে প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশুনার সঠিক মান , স্বাভাবিক সৎ ও চরিত্র গঠনের মান , নির্ভেজাল পরীক্ষা পদ্ধতি, ডোনেশন মুক্ত ভর্তি পদ্ধতি সহ ধর্মীয় অনুশাসন কড়াকড়ি প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা ভবিষৎ দেশ গড়ার সৎ ও আদশ্য কারিগর তৈরী যেন অব্যহত থাকে এরকম ব্যবস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চালু করিতে হইবে । ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করিতে হইবে ।
পঞ্চমত: এনআইডি/এমআইডি/এসআইডি নম্বর সহ জন্মনিবন্ধন নম্বরকে আরো তথ্য প্রযুক্তিসমৃদ্ধ করিতে হইবে। কেহ কোন ব্যাংক একাউন্ট খুলিলেই এক সপ্তাহের মধ্যে তার এন আই ডি নম্বর ও জন্মনিবন্ধন নম্বরকে ঐ ব্যাংক একাউন্ট তথ্য দিয়ে উক্ত তথ্য সম্বিলিত কপি ব্যাংকে দাখিল করে ব্যাংক একাউন্ট এক্টিভেট করিতে হইবে নতুবা এর ব্যতিক্রম হইলে ঐব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন বা লেনদেন করা যাবেনা।এভাবে ব্যক্তির সকল ব্যাংক একাইন্ট নম্বর আপনা আপনি এনআইডি/ এমআইডি/এসআইডি নম্বর এবং জন্মনিবন্ধন নম্বরে আপগ্রেড উল্লেখ থাকিবে । খোলাকৃত ব্যাংক একাউন্ট নম্বর সম্বিলিত লিখিত তথ্য ব্যাংক থেকে নিয়ে তথ্য এনআইডি/এমআইডি/ এসআইডি নম্বর এবং জন্মনিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে প্রদত্ত তথ্য আপগ্রেড করে এনআইডি/ এমআইডি/এসআইডি নম্বর এবং জন্মনিবন্ধন কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত লিখিত তথ্য ব্যাংকে জমা দিলেই উক্ত ব্যাংক একাউন্ট এক্টিভেট হইবে। এই অবস্থায় ব্যক্তির সকল ব্যাংক একাউন্টের টাকা জমা/উত্তোলনের তথ্য পাওয়া যাইবে । কোন ব্যক্তির ব্যবসায় আয় বা চাকুরীর বেতনের আয় খরচের সাথে সর্ম্পকৃত হবে তা বুঝা যাইবে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ