শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১২

বাংলা নববর্ষ উদযাপন, মেলায় না গিয়ে অন্যভাবেও কাটানো যায়, কেউ ভেবে দেখবেন কি?

 
পহেলা বৈশাখ আজ।

বাংগালীর বৈশাখ উদযাপনের দিন। একদিনের বাংগালী সাজার দিন। একদিনের জন্য বাংলাকে উপলদ্ধির দিন। একদিনের জন্য বাঙ্গালী সেজে ঘুরে বেড়ানোর দিন। পান্তা ইলিশ আর নানা রকম ভর্তা খাওয়ার দিন। বাসন্তী রং শাড়ী আর পাঞ্জাবী পড়ার দিন।

এইদিনে কি আমরা মনে করি তাদের?
যারা সারা বছরই বাংগালী থাকে।
আমাদের কৃষক, মজুর, জেলে, তাতী, কামার, কুমার।
গ্রামের মক্তবের হুজুর, শিক্ষক, ভিক্ষুক সহ অগণিত অবহেলিত মানুষ। যারা আমাদের মোট জনসংখ্যার ৮০ ভাগের বেশি।
পান্তাভাত আর মরিচ ভর্তা যাদের প্রাত্যাহিক আহার।
যারা প্রতিনিয়তই বৈশাখ উদযাপন করতে বাধ্য হয়।
 

আমরা পহেলা বৈশাখে বড় বড় চাইনিজে দামী দামী খাবার খেয়ে থাকি আর তারা নিত্যদিনের মতই যাপিত জীবন চালিয়ে যায়।
 

আসুন আজ আমরা একদিনের জন্য প্রকৃত বাংগালী সাজি। আমরা আমাদের শিকড়ে ফিরে যাই। প্রত্যেকেই গ্রামের একেকটি গরীব ফ্যামেলীর সাথে একটি দিন কাটাই। একবেলা খাবার খাই। উপলদ্ধি করতে চেষ্টা করি তাদের জীবন যাপন টুকু। আমাদের বাচ্চারা তাদের বাচ্চাদের সাথে মিশবে খেলবে। তাহলেই আমরা এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে বাংগালীয়ানা কি জিনিষ, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য কি ছিল। আমাদের মা বাবারা কোন ধরনের জীবন যাপন করতো। আমার কোথা থেকে উঠে এসেছি। কোথায় আমাদের শিকড়। 

না হলে হাই সোসাইটিতে বড় হওয়া আামাদের সন্তানরা মনে করবে চাইনিজে পান্তা ইলিশ খেয়ে রমনা বটমুলে ঘুরে বেড়ানোটাই মনে হয় আমাদের বাংগালী সংস্কৃতি। তারা বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানবেনা। তারা ভুল র্বাতা লাভ করবে।

কেউ কি এরকম করার চিন্তা করছেন? আরো আইডিয়া থাকলে শেয়ার করতে পারেন। 


ভাল থাকুন সবাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ