রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কারণ ‘জেনেছে’ পুলিশ

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহরুন রুনি খুন হওয়ার ১৫ দিন পর পুলিশ বলেছে, তারা হত্যাকাণ্ডের কারণ ‘মোটামুটি’ নিশ্চিত হয়েছে। 
 
তবে তদন্তের ‘স্বার্থে’ এখনি এই বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মো. মনিরুল ইসলাম। 

সাগর-রুনির খুনিদের ধরতে রাজধানীর ভেতরে বা বাইরে ‘ব্লক রেইড’ এবং কাউকে গ্রেপ্তার বা আটকের খবরও নাকচ করেছেন তিনি। 

গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে রাজধানীর রাজাবাজারের বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিক সাগর এবং এটিএন বাংলার রুনি। বাসায় থাকলেও বেঁচে যায় তাদের পাঁচ বছর বয়সি ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। 

হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশপ্রধান হাসান মাহমুদ খন্দকার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে দাবি করলেও এরপর পুলিশ এই খুনের কোনো কূলকিনারা পাওয়ার কথা জানাতে পারছিল না। খুনি কাউকে গ্রেপ্তাররও করতে পারেনি। 

এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত উপকমিশনার মনিরুল রোববার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “মোটিভ অনেকটা নিশ্চিত হয়েছি। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এখনি ডিসক্লোজ করা যাবে না।” 

তদন্তে কতভাগ অগ্রগতি হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অনেক অগ্রগতি হয়েছে, তবে এখনি কোয়ানটিফাই করতে পারছি না।” 

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর ও মুন্সীগঞ্জ থেকে কয়েকজনকে আটকের খবর বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। 

সে বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, ব্লক রেইড পরিচালিত হয়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তার বা আটকও করা হয়নি। 

“কোনো কোনো পত্রিকায় ব্লক রেইডের কথা বলা হয়েছে। যারা লিখেছেন, তারা হয়ত তাদের প্রাপ্ত সূত্রের ভিত্তিতে এ কথা বলেছেন। তদন্তের সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র নেই। ব্লক রেইড সম্পর্কে অনেকেরই সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে এমন বক্তব্য ছাপা হচ্ছে।” 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুক ও বিভিন্ন ব্লগে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্যে প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মনিরুল বলেন, “আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যখনি বড় কোনো ঘটনা ঘটে, কিছু লোক গুজব ছড়ায়, এই ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম পাইনি। 

“অনেকের স্বভাবই আছে, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা। এ ধরনের বেনামি চিঠি আমি কমপক্ষে ২০টি পেয়েছি, মোবাইলে এসএমএসও পেয়েছি। প্রত্যেক চিঠিতে হত্যাকারী আলাদা, উদ্দেশ্য আলাদা।” 

তাহলে ফেইসবুক ও ব্লগের লেখা তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে মনে করা যায় কি না- জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আমরা সব কিছুকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ