রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

দ. কোরিয়ায় বাংলাদেশি ছাত্রদের ব্যতিক্রমী আয়োজন


দেশের মাটিতে যা এতোদিন হয়নি, তাই করে দেখালেন বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় একঝাঁক তরুণ। দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশি ছাত্রদের সংগঠন ‘বাংলাদেশি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশান ইন কোরিয়া (BSAK)´গত ২৩-২৪ জুলাই দুই দিনব্যাপী এক ব্যতিক্রমী ‘ডক্টরেট সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠান করেছে।

গ্রীষ্মকালীন সেমিস্টার ২০১১ সালে যে সমস্ত বাংলাদেশি মেধাবী ছাত্ররা দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট (পিএইচডি) ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাদেরকে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা ও সনদ দেয়া হয়।

সুন্দর প্রকৃতি ঘেরা গহীন সাগর মাঝে নাঞ্জিন্দো দ্বীপে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাংলাদেশি ছাত্রদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।

বিদেশের মাটিতে একসঙ্গে এত ছাত্রদের সম্মিলন সত্যিই এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি করে। এদেশে ইতিপূর্বে এ ধরনের অনুষ্ঠান কখনই হয়নি।

সেজান ইউনিভার্সিটি থেকে এ বছর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনকারী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এহসানুল কবির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তার অনুভুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এটি সত্যিই একটি ব্যতীক্রমী উদ্যোগ। আপন দেশের মানুষের কাছ থেকে এ ধরনের সম্মাননা পেয়ে সত্যিই অভিভূত।

তিনি বলেন, দেশের পক্ষ থেকে এ ডক্টরেটদেরকে একত্রিত করে সংবর্ধনা দেয়া হলে, তারা দেশের কাজে উৎসাহ পাবেন এবং অর্জিত জ্ঞান দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে পারবেন।

চননাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি অর্জনকারী আইটি বিশেষজ্ঞ ড. জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ প্রবাস জীবনে এত আনন্দময় মুহূর্ত আর আসেনি।

সংগঠনের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য পিএইচডি শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ বলেন, কারও কোন অনুদান ছাড়াই নিজেদের টাকায় এত বড় অনুষ্ঠানই প্রমাণ করে আমরা সত্যিই পারি।

কনকুক ইউনিভার্সিটির আরেক পিএইচডি শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ আল-আমিন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় অনেক বিদেশি ছাত্রদের ইউনিক প্লাটফর্ম রয়েছে। যেমন- চীন, ভারত, ভিয়েতনাম। শুধু বাংলাদেশি ছাত্রদের কোন প্লাটফর্ম ছিল না। আমরা চেষ্টা করছি যাতে বিদেশে এসেও এক সঙ্গে সবাই মিলে কাজ করতে পারি, অন্তত সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করতে পারি।

অন্যান্য পিএইচডি গবেষক আব্দুর রহিম, বাতেন, মানিক, হাসান, রাসেল এবং তৌহিদ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে জানালেন, ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা পরিচিত হই, তার পরেই এত বড় আয়োজনের কথা মাথায় আসে। যাই হোক ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠানের চিন্তা-ভাবনা আছে আমাদের।

তারা জানান, অদূর ভবিষ্যতে আমরা একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক হোমপেজ খুলে তাতে দক্ষিণ কোরিয়াস্থ সব বাংলাদেশি স্টুডেন্টদের ডাটাবেজ ইনফরমেশান আপলোড করব। এখানে এসে যদি কোন ছাত্র বিপদে পড়ে তাহলে যাতে আমরা সহজেই সবাই মিলে তাকে সাহায্য করতে পারি সেই লক্ষ্য আমাদের আছে।

এছাড়া এই ওয়েবপেজে  বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপের তথ্যও থাকবে। ফলে দেশে থেকেই কোন মেধাবী ছাত্র জানতে পারবে কোরিয়ার উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ