চট্টগ্রামে নিহত খাদিজা বেগম (৪৫) খালপার রসুলবাগ আবাসিক এলাকার এ ব্লকে নিজের দোতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় দত্তক শিশুকে নিয়ে থাকতেন। তার স্বামী আবুল কালাম কাতার প্রবাসী।
ইয়ামিন নামে দুই বছরের দত্তক ছেলেটি ছাড়া আর কেউ ওই বাসায় থাকত না বলে খাদিজার ভাই মোহাম্মদ ইউনুচ জানিয়েছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর খাদিজাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। তবে ঘটনাটি সবাই জানতে পারে সন্ধ্যা ৭টার দিকে।
খাদিজাকে তার শয়ন কক্ষে রক্তাক্ত এবং শরীরের উপরের অংশ কম্বল দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায় বলে বাকলিয়া থানার ওসি আনোয়ার কামাল সাংবাদিকদের জানান। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি।
ওসি বলেন, উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। শয়ন কক্ষের বিছানায় প্রায় দুই ফুট লম্বা রক্তাক্ত একটি ছুরি নীল তোয়ালে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আরো একটি ছোট ছুরিও পাওয়া যায় বিছানায়।
ঘটনাটি পরিকল্পিত, নাকি ডাকাতি- তা নিশ্চিত হতে পারছেন না পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
পাশের ভবনের চার তলার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আরিফুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দত্তক শিশুটির ‘মা মা’ ডাক শুনে কয়েকজন প্রতিবেশী ঘরে গিয়ে লাশ দেখে সবাইকে খবর দেন।
তিনি বলেন, “তখন বাসার ড্রয়িং রুমে টিভি ও পাখা চলছিল। টয়লেটের পানির কলও খোলা ছিল।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের প্রত্যেকটি আলমারি, কেবিনেট ও ওয়্যারড্রব খোলা। কক্ষে বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে ছড়ানো-ছিটানো। শয়ন কক্ষের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাবপত্রেও রক্তের দাগ রয়েছে।
শয়ন কক্ষের এ অবস্থা দেখে পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, খুনিদের সঙ্গে নিহতের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়েছে।
নিহতের ভাই ইউনুচ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে খাদিজা সবার বড়। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার মোহাম্মপুর এলাকায় তাদের বাড়ি।
একই উপজেলার গহিরা গ্রামের কাতার প্রবাসী আবুল কালামের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই রসুলবাগ এলাকার ওই বাসায় থাকতেন খাদিজা।
ইউনুচ জানান, ওই এলাকায় পাশাপাশি দুটি ভবন রয়েছে খাদিজার। একটি চার তলা ও আরেকটি দোতলা। দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় তার বোন থাকতেন।
নিহতের ছোট ভাই ইউনুচ এবং দেবর পাঁচলাইশ সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু তৈয়ব সাংবাদিকদের বলেন, কারো সঙ্গে খাদিজার শত্র“তা ছিল না।
কেন তাকে এভাবে খুন করা হল, সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই। তবে বিষয়টিকে নিছক ডাকাতি হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না তারা।
ইয়ামিন নামে দুই বছরের দত্তক ছেলেটি ছাড়া আর কেউ ওই বাসায় থাকত না বলে খাদিজার ভাই মোহাম্মদ ইউনুচ জানিয়েছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর খাদিজাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। তবে ঘটনাটি সবাই জানতে পারে সন্ধ্যা ৭টার দিকে।
খাদিজাকে তার শয়ন কক্ষে রক্তাক্ত এবং শরীরের উপরের অংশ কম্বল দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায় বলে বাকলিয়া থানার ওসি আনোয়ার কামাল সাংবাদিকদের জানান। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি।
ওসি বলেন, উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। শয়ন কক্ষের বিছানায় প্রায় দুই ফুট লম্বা রক্তাক্ত একটি ছুরি নীল তোয়ালে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আরো একটি ছোট ছুরিও পাওয়া যায় বিছানায়।
ঘটনাটি পরিকল্পিত, নাকি ডাকাতি- তা নিশ্চিত হতে পারছেন না পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
পাশের ভবনের চার তলার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আরিফুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দত্তক শিশুটির ‘মা মা’ ডাক শুনে কয়েকজন প্রতিবেশী ঘরে গিয়ে লাশ দেখে সবাইকে খবর দেন।
তিনি বলেন, “তখন বাসার ড্রয়িং রুমে টিভি ও পাখা চলছিল। টয়লেটের পানির কলও খোলা ছিল।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের প্রত্যেকটি আলমারি, কেবিনেট ও ওয়্যারড্রব খোলা। কক্ষে বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে ছড়ানো-ছিটানো। শয়ন কক্ষের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাবপত্রেও রক্তের দাগ রয়েছে।
শয়ন কক্ষের এ অবস্থা দেখে পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, খুনিদের সঙ্গে নিহতের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়েছে।
নিহতের ভাই ইউনুচ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে খাদিজা সবার বড়। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার মোহাম্মপুর এলাকায় তাদের বাড়ি।
একই উপজেলার গহিরা গ্রামের কাতার প্রবাসী আবুল কালামের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই রসুলবাগ এলাকার ওই বাসায় থাকতেন খাদিজা।
ইউনুচ জানান, ওই এলাকায় পাশাপাশি দুটি ভবন রয়েছে খাদিজার। একটি চার তলা ও আরেকটি দোতলা। দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় তার বোন থাকতেন।
নিহতের ছোট ভাই ইউনুচ এবং দেবর পাঁচলাইশ সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু তৈয়ব সাংবাদিকদের বলেন, কারো সঙ্গে খাদিজার শত্র“তা ছিল না।
কেন তাকে এভাবে খুন করা হল, সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই। তবে বিষয়টিকে নিছক ডাকাতি হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না তারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন