শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

৫০ টাকার বিনিময়ে নন্দীরহাটে মসজিদ ভাংতে রাজি হয় জসিম

Please note this what is happening in the country. এই যদি হয় অবস্থা তাহলে আমরা তাদেরকে কি বলতে পারি? যারা সাম্প্রাদায়িকতার এই হিংসাত্বক আগুন ছড়াতে চায় তাদের শাস্তি কী হওয়া উচিত?

শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১২
৫০ টাকার বিনিময়ে নন্দীরহাটে মসজিদ ভাংতে রাজি হয় জসিম

মোস্তফা মোহাম্মদ এমরান, আদালত প্রতিবেদক: মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে হাটহাজারীর নন্দীরহাটে মসজিদ ভাংতে রাজি হয় স্থানীয় রাজমিস্ত্রি জসিম। জনৈক লোকমান ও বিএনপি কর্মী এমদাদ ওই রাজমিস্ত্রিকে মসজিদের সামনের কিছু অংশ ভাঙ্গার কাজে রাজি করাতে সক্ষম হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে চুক্তিমতো জসিম নন্দীর হাট সংলগ্ন মসজিদের সম্মুখভাগের বিভিন্ন পিলারের ইট ভেঙ্গে ফেলে।

সকালে স্থানীয় মানুষের কাছে গুজব ছড়িয়ে দেয় অপর একটি ধর্ম বিশ্বাসীরা ওই মসজিদটি রাতের অন্ধকারে ভাংচুর করে। এ-ঘটনায় দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। হাটহাজারীর নন্দীর হাট এলাকায় দুটি সম্প্রদায়ের কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল মানুষের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার রাজমিস্ত্রি জসিম গতকাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ-এর আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এমন তথ্য দেন। জসিম ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে অনুশোচনা প্রকাশ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জসিম শুধু টাকার জন্য মসজিদ ভাঙ্গার জন্য রাজি হয়। ওই ঘটনা যে পরবর্তীতে দুটি ধর্মের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে সে ব্যাপারে তিনি জানতেন না। গতকাল দুপুরে জসিম আদালতে ওই জবানবন্দি প্রদান করেন। নন্দীর হাটে মন্দির-মসজিদে হামলার ঘটনায় হাটহাজারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের নেতৃত্বে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদের মধ্যে রাজমিস্ত্রি জসিম গতকাল আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এমদাদ বিএনপি কর্মী বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে অন্যান্য আসামিদের মধ্যে কয়েকজন জামায়াত ও শিবির কর্মী রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ