রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ডিজিটাল চলচ্চিত্র টিআইসিতে 'এবং কান্না'



ক্ষুধা, দারিদ্র্য, দুর্নীতি ও বর্বরতার ভেতর দিয়ে চলতি বিশ্ব যাপন করে চলেছে এক অমানবিক, অস্থির সময়। ঔপনিবেশিক ভাবধারায় পুষ্ট সব নিয়মনীতি ও ব্যবস্থার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের স্বপ্ন নিয়ে ২০০৭ সালে ঢাকায় জন্ম নেয় চলচ্চিত্র সংগঠন 'সৃষ্টিগড়'। সৃষ্টিগড়ের প্রযোজনা ও পরিবেশনায় ২০১০ সালে নির্মিত হয় 'এবং কান্না' নামে ডিজিটাল ফরমেটের একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রে প্রধান সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন চট্টগ্রামের ছেলে শমী সুহৃদ। ছবিটির পরিচালনায় আছেন মারুফ হোসন। নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে (টিআইসি) গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে চলচ্চিত্রটির তিনদিনব্যাপী প্রদর্শনী।
'এবং কান্না' চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করা প্রসঙ্গে শমী বলেন, 'আমাদের দেশে সিরিয়াস ছবি খুব কম হয়। এ ধরনের ছবির পৃষ্ঠপোষকতাও কম। আমরা চলচ্চিত্রের গড়পড়তা বা বাঁধাধরা শৃঙ্খলটা ভাঙতে চাই।কাজ করতে চাই মূলধারার চলচ্চিত্রের বাইরে। এ চিন্তা-ভাবনা থেকেই 'এবং কান্না'র মতো চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করেছি।' আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ছোটগল্প 'কান্না' অবলম্বনে 'কান্না' চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। ইলিয়াসের সাহিত্যকে চলচ্চিত্রে রূপদানের তাগিদ ছিল পরিচালক মারুফ হোসেনের। সেই আগ্রহও এ ছবি নির্মাণের পেছনে কাজ করেছে বলে জানান শমী।
১ ঘন্টা ৫৪ মিনিট ব্যাপ্তির এই ছবি এ বছর জানুয়ারিতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দ্বিতীয় প্রদর্শনী হয়। এছাড়া পরবর্তীতে সৃষ্টিগড় নিজেদের ও বাংলাদেশের কিছু পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে আয়োজন করতে যাচ্ছে। 'সৃষ্টিগড় ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম ফেষ্টিভাল'র আয়োজন করবে। যার ধারাবাহিকতায় টিআইসিতে 'এবং কান্না'র প্রদর্শনী হয়েছে বলে জানান ছবিটির প্রধান সহকারী শমী।
তিনি বলেন, 'এখনো সিনেমাহলগুলো ডিজিটাল ফরমেট ছবির উপযোগী হয়নি বলে আমাদের বিকল্প ব্যবস্থায় ছবি প্রদর্শন করতে হচ্ছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন জেলা শহরে ছবিটির প্রদর্শনী করার ইচ্ছে আছে আমাদের।'
প্রসঙ্গত, শমী সুহৃদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকত্তোর শেষে বতর্মানে ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে কাউন্সিলর হিসেবে কর্মরত আছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ