সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১২

অংশগ্রহণ অনিশ্চিত বিএনপির মাঠ ছেড়ে দিতে নারাজ মধ্যম সারির নেতারা

বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। তবে বিএনপির মধ্যম সারির কিছু নেতা ডিসিসি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী। তারা মহাজোট সরকারকে সহজেই মাঠ ছেড়ে দিতে নারাজ। তাদের মতে, বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রকাশ্যে প্রার্থী না দিলেও গোপনে প্রার্থী দিয়ে জয়লাভ করাবে। যেভাবে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিএনপি। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সফর শেষ করে ফিরে এসে ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামে আলোচনা হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। এমনকি এ বিষয়ে দলীয় ফোরামে কোন আলোচনাও হয়নি। ডিসিসি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী দিলে আবারও জয়লাভ করত। তাই সরকার ভয় পেয়ে ডিসিসিকে দু'ভাগ করেছে। এতে বোঝা যায় সরকারের উদ্দেশ্য কি হতে পারে। আগামী মে মাসের শেষের দিকে বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন হতে পারে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারে নেমেছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দুদলের পক্ষে কে হবেন ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনার ঝড়। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের যোগ্যতার কথা তুলে ধরে প্রার্থী হওয়ার আবেদন করছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভক্ত ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে দলের হাই কমান্ডের চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত না হলেও মধ্যম সারির নেতারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী। তারা সিনিয়র নেতাদের বুঝাচ্ছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে মহাজোটকে মাঠ ছেড়ে দেয়া যাবে না। তাই প্রকাশ্যে প্রার্থী না দিলেও গোপনে প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে তাকে জয়লাভ করাতে হবে।
সূত্র জানায়, বিএনপি বিভক্ত ডিসিসি নির্বাচনে অংগ্রহণ করলেও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল হক মিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মধ্যম সারির নেতারা এখন আলোচনার শীর্ষে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বলেন, সরকার ঢাকা মহানগরের নেতৃত্বে আসার জন্য কৌশলে ডিসিসি ভাগ করেছে। সরকারের এ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি। এমনকি এ নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণ করার প্রশ্নেই ওঠে না।
ঢাকা মহানগর উত্তর
ডিসিসি নির্বাচনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় এসেছে বিএনপির সিনিয়র নেতা এসএ খালেক, দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
ডিসিসি নির্বাচনে ঢাকা মহানগর উত্তরণ থেকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় এসেছে বিএনপির অর্থ সম্পাদক ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব, সাবেক ডেপুটি মেয়র আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, আবদুল কাইয়ুম।
এদিকে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী কাউন্সিলর হিসেবে দলের মনোনয়ন পেতে কাজ শুরু করেছে। তাদের নিজ এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। দল থেকে কোন ইঙ্গিত পেলেই তারা জোরালো প্রচারণা চালাবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ