স্মৃতিসৌধ এলাকায় সংঘর্ষ, আহত শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর

সাভার থেকে: লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া -পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে জাতীয় পার্টির দু’টি পক্ষও। গতকাল সকালে দফায় দফায় সংঘর্ষে গোটা এলাকা কিছুক্ষণের জন্য রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ভাঙচুর করা হয় অর্ধশতাধিক গাড়ি। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাকর্মী, পথচারী ও দর্শনার্থীসহ শতাধিক ব্যক্তি। গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা একটি সিএনজি স্টেশনও ভাঙচুর করেছে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশের পরপরই প্রধান ফটকের বাইরে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকরা। নবীনগর সিএনজি পাম্পের সামনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে পরস্পরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়কে অবস্থানকারী অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে। হামলা চালানো হয় আশপাশের দোকানেও। আতঙ্কে লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস আলীসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্মৃতিসৌধের বাইরে অবস্থান করছিলেন। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে যুবদল নেতা প্রকৌশলী মুখলেছুর রহমান, ছাত্রদল কর্মী ডালিম, আলামিন, রেজাউল করিম জুয়েল, সমর্থক আযম, শাহেদ ও মানিককে সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মতিয়ার রহমান জানান, প্রায় ১৫-২০ মিনিটের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার নবীনগর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ওসি আরও জানান, সকাল সোয়া ৮টার দিকে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করলে দলের দু’টি পক্ষ ফুল দেয়া নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৫-৭ মিনিটের এ সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়। আহত জাতীয় পার্টির নেতা মাজহারুল ইসলাম ও কামাল হোসেনকে সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।