রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১২

সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যাশায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন


শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যাশায় দেশজুড়ে উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। স্বাধীনতার ৪১তম বার্ষিকী। শ্রদ্ধাবনত চিত্তে বীর শহীদদের স্মরণ করেছে জাতি। স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের প্রত্যাশা আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি। নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে এবারের স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসে এবার বাড়তি অনুষঙ্গ হয়েছেন বিদেশী যুদ্ধবন্ধুরা। তারাও এবার স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সারা দেশে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন হলেও সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া এ সংঘর্ষের জের ধরে স্মৃতিসৌধ এলাকার রাস্তায় গাড়িও ভাঙচুর করে দু’দলের কর্মীরা। বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া স্মৃতিসৌধে ফুল দেয়ার পথে বার বার বাধা দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। 
প্রত্যূষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে প্রেসিডেন্ট স্মৃতিসৌধে ফুল দেন। এর পর ফুল দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে স্পিকার এডভোকেট আবদুল হামিদ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী বিদেশী বন্ধুরাও। ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে স্মৃতিসৌধে ফুল দেন বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া। এর পর স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল ছিল সরকারি ছুটির দিন। রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো সাজানো হয় জাতীয় পতাকাসহ রঙ-বেরঙের পতাকায়। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকালে প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনে মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা। দিবসটি উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাজারো মানুষ। এদিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতেও আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। 
স্মৃতিসৌধে লাখো জনতার ঢল
হাফিজ উদ্দিন, সাভার থেকে জানান, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গতকাল ভোর হওয়ার আগেই লাখো মানুষের জমায়েত হয় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ অবনত চিত্তে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় বীর শহীদদের। সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান। এরপর ফুল দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেন। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় সংসদের স্পিকার এডভোকেট আবদুল হামিদ, জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আবদুস শহীদ এবং সংসদ সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী বিদেশী বন্ধুরাও শ্রদ্ধা জানান। এ সময় ৩ বাহিনী প্রধান, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সদস্য, বিদেশী কূটনীতিবিদ এবং পদকপ্রাপ্ত বিদেশী অতিথিরা তাদের সঙ্গে ছিলেন। সূর্য ওঠার আগেই মানুষের ভিড় জমতে শুরু করে স্মৃতিসৌধের সামনে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে ভিড়। গালে বা কপালে লাল-সবুজ পাতাকা এঁকে, হাতে ফুল আর কণ্ঠে জাতীয় সংগীত নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তারা।
সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে  সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছান বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকা, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভীসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন। পরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান  হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পুষ্পমাল্য অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সবাই এক হয়েছে। তিনি বলেন, কোন অবস্থায়ই দেশে আর সামরিক শাসন আমরা চাই না। সিপিবির পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দু’দলের কেউই দেশের গণতন্ত্রের জন্য শুভকর নয়। তারা উভয়ই সঠিকভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করছে না। সঠিক গণতন্ত্র চর্চার অভাবেই দেশ এতদিনেও আশানুরূপ সামনে এগোয়নি। পিডিপির চেয়ারম্যান ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী বলেন, বিরাট প্রত্যাশা নিয়ে এবং রক্ত দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু আমাদের সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। মানুষ মুক্তি পায়নি বঞ্চনা থেকে। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানায় জাকের পার্টির ঢাকা মহানগর, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি), জাবি ভিসি ড. শরীফ এনামুল কবীর, মীর মশাররফ হোসেন হল-জাবি, জাহানারা ইমাম হল-জাবি, প্রীতিলতা হল-জাবি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, মাওলানা ভাষানী হল-জাবি, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিএলআরআই), মহিলা ক্লাব-জাবি, কর্মচারী সমিতি-জাবি, শহীদ সালাম বরকত হল-জাবি, আলবেরুণী হল-জাবি, অফিসার্স সমিতি-জাবি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার উপজেলা ও পৌর আওয়ামী হর্কাসলীগ, সাভার উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগ, পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পূর্ণবাসন কেন্দ্র (সিআরপি), বেগম খালেদা জিয়া হল-জাবি, নওয়াব ফয়জুন্নেছা হল-জাবি, আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল-জাবি, ফজিলাতুননেছা হল-জাবি, জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন দুগ্ধ খামার, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, বাধন কেন্দ্রীয় পরিষদ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, আশুলিয়া থানা মুক্তিযোদ্ধাগণ, বাংলাদেশ মাশরুম ফাউন্ডেশন, গণস্বাস্থ্য এন্টিবায়োটিক লিমিটেড, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হল-ঢাবি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল-ঢাবি, গণবিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এ এফ এম রহমান হল-ঢাবি, কবি জসীমউদ্‌দীন হল-ঢাবি, জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়ন, জাসদ, নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ নেভি প্রাক্তন সদস্য কল্যাণ সংস্থা, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, রোকেয়া হল-ঢাবি, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, অফিসার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রশিকা, বাংলাদেশ গণআজাদী লীগ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ন্যাপ, জাতীয় গামের্ন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এমএল), বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, টেক্সটাইল গামের্ন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, জাতীয় পেশাজীবী পরিষদ, ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশন, জগন্নাথ হল-ঢাবি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন, মাওলানা ভাষানী মেডিকেল কলেজ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্যফোরাম, সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
বিদেশী বন্ধুদের শ্রদ্ধা নিবেদন: স্বাধীনতার ৪১তম বার্ষিকীতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন একাত্তরে বাঙালি জাতির পাশে দাঁড়ানো বিদেশী বন্ধুরা। 
মিত্রবাহিনীসহ বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক, কূটনীতিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংগঠন সে সময় নানাভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগিতা করেন। বিশ্বের কাছে তারা তুলে ধরেন পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর গণহত্যার কথা। সে বন্ধুরা এবার বাংলাদেশের মানুষের কাছে থেকে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেন। সাভার স্মৃতিসৌধে তারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। 
স্মারক ডাক টিকিট ও খাম উদ্বোধন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল স্মারক ডাক টিকিট ও একটি খাম অবমুক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ইস্যু করা ২৬ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাক টিকিট ও ১০ টাকা মূল্যমানের খাম অবমুক্ত করেন তিনি। এ স্মারক ডাক টিকিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও শিখা চিরন্তনের ছবি রয়েছে। অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়। অবমুক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব সুনীল কান্তি বোস ও ডাক বিভাগের মহাপরিচালক মোবাশ্বেরুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবেও শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. এস এ মালেক, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, এডভোকেট সাহারা খাতুন, এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও সতীশ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমনি, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। এদিকে সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে ভিড় করে সাধারণ মানুষ। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। 
বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের নেতৃত্বে গতকাল সকালে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে দলীয় নেতা-কর্মীরা ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এর আগে রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আনসার ভিডিপি, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনসমূহ, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. সামছুল হুদা মানিক, জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গীপাড়া পৌরসভা, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, জাতীয় কবিতা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে পৃথকভাবে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ