সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১২

বাংলাদেশ আর বিচার যেন দুই গ্রহের দুই বাসিন্দা। কুয়েট

সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একই অবস্থা। জাবি তে শিক্ষক ধর্মঘট, রুয়েট এ শিক্ষার্থী মৃত্যুর পর ২৯ তারিখে খুলেও ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ মান। চুয়েট বন্ধ, মেডিকেল কলেজ গুলোতেও একই অবস্থা,চট্রগ্রামে শিবিরের ধর্মঘট.........। তাহলে আমরা সাধারন ছাত্ররা কি বলির পাঠা?
এই সব অপরাধ করবে গুটি কয়েক ছেলে আর দূর্ভোগ পোহাবে সবাই!!!! আবার এদের এইসব অন্যায় মাথা পেতে সহ্য করবে আমাদের বলদ মার্কা সাধারন ছাত্ররা। কখনো টু শব্দটি করবে না। এমন একটা ভাব "মা মারবে"। আজব!!!!!!! এই টাইপ সহপাঠী দেখলে থাপরাইতে ইচ্ছা হয়। নিজেরেও থাপ্রাইতে ইচ্ছা হয়। আমরা সবাই একজায়গায় হলে এই দশটা ছেলে কোথায় যে হারাবে ......... আর তারাই কিনা এখন কষ্টের কারন হয়ে গেছে।
অন্য বিশ্ববিদ্যালয় নয় শুধু চারটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা বলি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা এই চার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমষ্টির ৩ গুনের ও বেশি। তাই ছোট গুলোর অবস্থা দেখলে বাকি বিশ্ব বিদ্যালয়ে যে কি সুদিন তা বোঝা যাবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা ভালই ছিল। এটা আর সহ্য হলনা কিছু লোকের। তাই কিছু আবর্জনা পাঠালো বুয়েটে। আর এই আবর্জনা দূর্গন্ধ ছড়াতেই বুয়েটের ছাত্ররা অতিষ্ট হয়ে আন্দোলন করলো। বিচার ও হল। কিন্তু কিছু দিন পরেই স্যামুর পোষ্ট আসল
বুয়েটের সফল ছাত্র আন্দোলন কি বৃথা গেল?



চট্রগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ধর্মঘট। অনেক বার ছুটি পেয়ে এমনিতেই ক্লান্ত ছাত্ররা ক্লাস করতে চায়। কিন্তু এদিকে আবার ভিসি নিয়োগের দাবিতে শিক্ষক ধর্মঘট।

রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় , রুয়েট সবাই কে তাক লাগিয়ে দিল। নিজেদের অভ্যন্তরিন গোলমাল কে কেন্দ্র করে একটা মায়ের বুক ফাকা হয়ে গেল।
পত্রিকাতে কি এসেছে সেটা লিখবনা। সত্য খবরটা নিলাম। এই ছেলের বিপক্ষে অভিযোগ অনেক। সে একসময় ছেলেদের কাছে টাকা(চাঁদা) নিত, সরকার দলের কর্মী হওয়াই সে যখন যারে ইচ্ছা গালাগালি করত। তার ক্লাসের কেউই তাকে তেমন পছন্দ করত না। মারা যাবার কয়েক দিন আগেও সে তার এক ফ্রেন্ড কে অন্যায় ভাবে মেরেছে। আর সর্বশেষ ঘটনা, তারা ছাত্রলীগের অন্য(বিপরিত) গ্রুপের এক বড় ভাইকে ধরে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে তারা এটার শোধ নেয়। আমার এক ফ্রেন্ড বলছিল "আসলে ওরে মেরে ফেলতে চাইনি। যে ভাইরা মেরেছে তারা মারার পরে বলছিল 'একটু শিক্ষা দিলাম'।" তবে এটা শেষ শিক্ষা হয়ে গেল। এখন বাকি দের শিক্ষা হলেই হয়!!!!!!

রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে আজ



শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট। ছুটি শেষে এখন ক্লাস পরিক্ষা নিয়ে ব্যাস্ত সবাই। অনেক মারামারি, আন্দোলন , মানব বন্ধন শেষে শিক্ষকদের আল্টিমেটাম, তারপরে বিচার হল। কিন্তু লাভের লাভ কি হল? সবাই আমাদের মহামান্য হাইকোর্টে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে বুক ফুলিয়ে ক্লাস , পরিক্ষা দিয়ে চলেছে। বুয়েটের সফল ছাত্র আন্দোলন কি বৃথা গেল, এর মত করে বললে কুয়েটের সফল ছাত্র আন্দোলন কি বৃথা গেল
সাধারন ছাত্ররা ধরেই নিয়েছে, এদের বিচার করা সম্ভব না। সতিই তাই। এদেশে এদের বিচার করা সম্ভব না। বাংলাদেশে এখন বিচার পাইতে গেলেও বিশেষ ক্ষমতার অধিকারি হতে হয়।
যারা সাজা পেয়েছিল তারা ফিরে আসাতে আবারো গোলমালের আতঙ্কে আছে ছাত্ররা। ইস কবে বিচার বাংলাদেশে আসবে? কবে আমরা বিচার পাব?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ