রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১২

২২শে এপ্রিল থেকে পেট্রল পাম্পে ধর্মঘট


বিক্রির ওপর কমিশন বাড়ানোসহ চার দফা দাবিতে পূরণ না হলে ২২শে এপ্রিল থেকে সারা দেশের সব পেট্রল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদ। গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক মো. নাজমুল হক এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, পরিষদের ১৩টি দাবির মধ্যে সরকার ৯টি দাবি মেনে নিয়েছে। কিন্তু তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ চারটি দাবি এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। ২১শে এপ্রিলের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা না হলে ২২শে এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দেয়া হবে। ঐক্যপরিষদের অন্য দাবিগুলো হলো- পেট্রোল পাম্প স্থাপনে নীতিমালা প্রণয়ন, ট্যাংক লরির ভাড়া বৃদ্ধি এবং লরির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে পুলিশি ‘হয়রানি’ বন্ধ করা। ধর্মঘট হলে সারা দেশে প্রায় ৯ হাজার পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্ক লরির মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে ঐক্যপরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। 

পেট্রল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল হক বলেন, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও ট্যাঙ্ক লরি শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে জন্য গত কয়েক বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসা হলেও সরকার দাবি বাস্তবায়ন করছে না। এর আগে ২০১০ সালের ৯ই মে একই ধরনের দাবিতে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘট শুরু করে ঐক্যপরিষদ। সারা দেশে পেট্রোল পাম্পে তেল বিক্রি এবং ট্যাঙ্ক লরির মাধ্যমে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ওইদিন দুপুরেই প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুল হক ঐক্যপরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার পর ধর্মঘট স্থগিত করে সংগঠনটি। 
নাজমুল হক বলেন, আমরা কমিশন বাড়ানোসহ ১৩ দফা দাবিতে ২০১০ সালের ৯ই মে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলাম। ধর্মঘট চলার সময় সরকার আমাদের সঙ্গে বৈঠক করে একটি কমিটি গঠন করে। আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করি। ওই কমিটি ডিজেলে ৩ দশমিক ৪ এবং পেট্রোল ও অকটেনে ৪ ভাগ কমিশন দেয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু সরকার তা ঝুলিয়ে রাখে। তিনি জানান, বর্তমানে ডিজেলে ২ দশমিক ৪৫, পেট্রোলে ৩ দশমিক ২৭ এবং অকটেনে ৩ দশমিক ৩ ভাগ কমিশন দেয়া হচ্ছে। 
তিনি বলেন, দফায় দফায় তেলের দাম বাড়ার কারণে আমাদের বিনিয়োগ বেড়েছে কিন্তু কমিশন বাড়েনি। আমরা গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কাজ না হওয়ায় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাঙ্ক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ ট্যাঙ্ক লরি ফেডারেশনের সভাপতি হাজী শাজাহান, পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের মহাসচিব হারুন অর রশিদ, পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি ইহসানুর রহমান চৌধুরী, পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের পদ্মা ইউনিটের সভাপতি আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ