বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১২

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আন্দোলন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা কোন ভাবেই শেষ হচ্ছে না । শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্রলীগ নেতা জুবায়েরের হত্যা, ভিসি ছাত্রলীগের কোরাম, দূর্নীতি আর অনিয়ম নিয়ে একের পর এক আন্দোলন চলছেই । বর্তমান সময়ের মাননীয় ভিসি বিশেষ ক্ষমতা বলে ক্ষমতা দখল আসলেও তিনি এখন এই পদবি ছাড়তে নারাজ, বিভিন্ন আন্দোলনের মুখে তিনি তার ক্ষমতা ছাড়ার ব্যপারে মন্তব্য করেন “ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী যদি চায় তবে আমি এখনই ক্ষমতা ছেড়ে দিব” । কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী এই বিষয়টি চাইবে না, কারণ তাদের হলে থাকতে হয় । আর হলে থাকতে হলে ছাত্রলীগের আর্শিবাদ পুষ্ট হতে হয় । আর এখন যে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে তারা সকলেই ভিসি ছাত্রলীগের অনুগত সদস্য । জুবায়েরের হত্যার পরে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরাই আন্দোলন করেছিল । সেই আন্দোলনে ছেলেদের চাইতে মেয়েরাই বেশি আগ্রহী ছিল । এর পেছনের কারণ হলো ছাত্রদের হলে রাজনীতি থাকলেও মেয়েদের হলে রাজনীতি নেই । যখন ভিসি কে অবরূদ্ধ করে রাখায় তখন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে এক হয়ে ছাত্রগীল ভিসিকে বের করে নিয়ে আছে আর শ্লোগান দিতে থাকে “ভিসি তোমর ভয় নাই, ছাত্রলীগ পথ ছাড়ে নাই” । ভিসি সম্পর্কে আরেকটি গুরুত্ত্ব পূর্ণ অভিযোগ হচ্ছে তিনি স্বজনপ্রীতি, জেলাপ্রিতী এবং ছাত্রলীগ প্রিতির করে অনেক অযোগ্য লোককে শিক্ষক বানিয়েছেন, যার খেরাসরত অন্তত পক্ষে জাবি ৪০ বছর পর্যন্ত দিতে হবে ।

আবার বর্তমান সময়ে যে সকল শিক্ষক ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন তাদের উদ্দেশ্যও যে মহৎ সে কোন ভাবেই বলা যায় না । জাবি শিক্ষকদের একংশ যারা আন্দোলনের সাথে জরিত তারা ক্লাস বাদ দিয়ে আন্দোলন করছে, এতে তাদের লাভ হলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে । এই বিষয়টি অন্তত শিক্ষকদের মাথায় রাখতে হবে যাতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় ।
আমি নিয়মত্রান্ত্রিক গনতন্ত্রে বিশ্বাসী । ভিসির এর পদত্যাগ সরাসরি না চেয়ে নির্বাচন চাওয়া ভাল । নির্বাচনে যে জয়ী হবে সে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ