বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১২

ভাগ্যবানের বউ মরে অভাগার মরে গরু !!!



খবরটি নিশ্চয়ই চটকদার। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি সম্প্রতি দুবাইয়ে তানভীর জামানি নামক এক মধ্যপ্রাচ্য বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিকের সাথে গোপনে বিবাহ বন্দ্বনে আবদ্ব হয়েছেন। প্রথম স্ত্রী পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ার ৩ বছরের মাথায় পুনরায় বিয়ে করলেন জারদারি। তবে প্রেসিডেন্টের এই গোপন বিয়ের রহস্য জানা না গেলেও আর্থিক, রাজনৈতিক নাকি সম্পদের লোভে ৫৭ বছর বয়স্ক জারদারি তাকে বিয়ে করেছেন তা নিয়ে পাকিস্তানি গণমাধ্যমে জল্পনা-কল্পনা চলছে। কেউ কেউ আবার একে হৃদয়ঘটিত ব্যাপার-স্যাপার বলেও মনে করছেন।

কিছু দুর্ঘটনা "সাপে বর" অর্থাৎ বিপরীতে হীতের মত দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার কতেক রাজনীতিক / আমলার ভাগ্য যে রাতারাতি বদলে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষায় এটা পরিবারতন্ত্র হলেও রাশিচক্রবিদরা নিশ্চয় এটাকে গ্রহের ফেরই বলবেন। যেমন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্দ্বি নিহত হলে কপাল খুলে রাজিবের, রাজিবের মৃত্যুতে ভাগ্য খুলে সোনিয়ার। তেমনি বাংলাদেশের একচ্ছত্র দোর্দন্ড় প্রতাপশালী শাসক শেখ মুজিবের মৃত্যুতে কপাল খুলে হাসিনার, জিয়ার মৃত্যুতে গদিনশিন হন বেগম খালেদা জিয়া। রাজনৈতিক সংশ্লিস্টতা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা নয়, স্রেফ নিহতের উত্তারিধাকারী হওয়ার কারণেই যে উল্লেখিত ব্যাক্তিগন বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত / ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছেন তা অনিস্বিকার্য্য।

শুধুমাত্র মা, বাবা কিংবা স্বামীর মৃত্যুতে কেন! বউয়ের মৃত্যুতেও যে ভাগ্য খুলে তারও অন্ততঃ দু'টি প্রমান আছে এই আমাদের উপমহাদেশে। আততায়ির গুলিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেনজীর এবং ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড় হামলায় মহিলা বাআলের সভানেত্রী নিহত হওয়া "সাপে বর" হয়েছে বেনজিরের স্বামী পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারীর এবং বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের। বয়সের কারণে জিল্লুর রহমানকে শুধুই রাজত্ব নিয়ে সন্তুস্ট থাকতে হলেও জারদারি বেনজিরের মৃত্যুর ৩ বছর পর তানভীর জামানি কে বিয়ে করে রাজত্ব এবং রাজকুমারী দুটোই হাসিল করেছেন।

এমতাবস্থায় আবহমান বাংলার চীর সবুজ প্রেমিক বাংলা মুলূকের সাবেক সিপাহসালার ও প্রেসিডেন্ট লেজেহুমো এরশাদ বেনজির এবং আইভির মৃত্যূতে বিপত্মিকদ্বয়ের ক্ষমতারোহন দেখে হা পিত্তেস করেছেন কিনা জানা না গেলেও জারদারির বিবাহোত্তর মিডিয়াপনায় যে এরশাদের প্রেমিক হৃদয়ে দোলা লেগেছে তা বলাই বাহুল্য। জিনাত, মেরী, বিদিশার প্রেমকে ছুটি দিয়ে এখন এরশাদ রীতিমত সৌন্দর্য্য বর্ধক চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে মিডিয়ায় জোর গুন্জন চলছে । তিনি ইতোমধ্যে জনগন কে জানিয়ে রেখেছেন "তার কোন চাওয়া পাওয়া নেই, শুধু আরেকবার রাস্ট্রপতি হবার খায়েস" । কি জানি আড়চোখে তাকিয়ে বেগম রওশনের দীর্ঘ্যায়ূকে অভিশাপ দিয়ে বলছেন কিনা "ইস্ যদি ...... আইভি'র আগে মরতো ,,,,, প্রধানমন্ত্রীর মন গললেও গলতো"!! অথবা আমি যদি আইভী কিংবা বেনজিরের স্বামী হতাম !!!!!

সম্প্রতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ড়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জনগনের বেড রুমের নিরাপত্তা নাকচ করার পর রাস্ট্রের জনৈক নীরিহ ভীতসন্ত্রস্থ নাগরিক মহামান্য রাস্ট্রপতির শরনাপন্ন হলেন তার সুরক্ষিত বঙ্গভবনে আশ্রয় লাভের আশায়।
- রাস্ট্রপতি বললেন তোমার সাথের ভদ্রমহিলাটি কে?
- নাগরিক কাঁচুমাচু হয়ে বললেন হুজুর ইনি আমার পরমা স্ত্রী।
- রাস্ট্রপতি উত্তেজিত হয়ে কটমট চোখে বললেন, এখানে থাকতে হলে আগে বিপত্মীক হতে হবে আমার মত, সস্ত্রীক নয়। যাও, বেরিয়ে যাও এখান থেকে ....... ।
- আশাহত হয়ে নীরিহ নাগরিক ফিরে আসে আর ভাবে ... ভাগ্যবানের বউ মরে অভাগার মরে গরু ,,,, রাস্ট্রপতি আপনি কতইনা ভাগ্যবান ।     

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃষ্ঠাসমূহ