আগুন ছড়াচ্ছে মাছ-মাংসের দামে। অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই মাছ-মাংসের দাম বাড়ছে প্রায় প্রতিদিন । মাছের দামে কোন স্থিতিশীলতা নেই। একেকদিন একেক দাম। তবে কমার চেয়ে বাড়ার প্রবণতাই বেশি। আর মুরগির দাম অব্যাহতভাবেই বাড়ছে। গতকাল সাদা রঙের ব্রয়লার বড়গুলো প্রতিকেজি বিক্রি হয় ১৬০ টাকা। আর ছোট আকারের মুরগি ১৫০ টাকা। লাল রঙের মুরগি বিক্রি হয় ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। মাছের ক্ষেত্রে বেড়েছে ইলিশ, রুইসহ আরও কয়েকটির দাম। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একেক বাজারে একেক হারে দাম হাঁকা হচ্ছে। আবার একই বাজারে একেক ব্যবসায়ী চাচ্ছেন ভিন্নরকম দাম। হাতিরপুলে বাজার করতে আসা ভূতের গলির গৃহিণী সায়মা জামান বলেন, কাওরানবাজারে এক দাম আর এখানে কিনলে আরেক দাম। এ যেন ব্যবসায়ীরা মানুষের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে পারছেন না। তো তা পণ্য হাতে ধরিয়ে দিয়ে নিচ্ছেন।
কাওরানবাজারের মাছ ব্যবসায়ী হারিস আলী বলেন, পরিবহন ব্যয় ও জীবন মান বাড়ায় মাছেরও দাম বেড়েছে। তবে ইলিশসহ কিছু বিলাসী মাছের ক্ষেত্রে পাইকারি পর্যায় থেকে উচ্চ মূল্য কোন নিয়মের ধার না ধরেই নেয়া হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। যে জন্য তাদেরও দাম না বাড়িয়ে উপায় থাকে না।
গতকাল বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়। ছাগল ৩৭০ টাকা। আবার হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৩৫০ টাকা এবং হাড়সহ ২৭০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। কেউ কেউ আবার ২৮০ টাকাও বিক্রি করছেন। গলদা চিংড়ি ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা প্রতিকেজি। পাঙ্গাস ৯০ থেকে ১৩০ টাকা। রুই ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। টেংরা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। ইলিশ প্রতিটি ২০০ থেকে ৯০০ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লায় নির্দিষ্ট কোন দাম নেই। যে যার কাছ থেকে যা পারছেন সেই দাম নিচ্ছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন